আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২০২৩ সালে জনপ্রিয় হতে চলেছে যে ৮ ডায়েট

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের বিকল্প নেই। এজন্য স্বাস্থ্য সচেতনরা বিভিন্ন ধরনের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করেন। যেমন গত বছর ভেগানিজম ও প্যালিও ডায়েট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এই দুটি ডায়েট ওজন কমানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা হলো জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনা। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় আবার সুস্থতাও মেলে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার বিকল্প নেই।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণের সঙ্গে আয়ু বাড়ার সংযোগ আছে। বিভিন্ন ধরনের ডায়েট শুধু ওজন কমাতেই সহায়তা করে না, বরং শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের দাবি, ২২ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেছেন তারা অন্যদের তুলনায় গড়ে সাত বছর বেশি বাঁচেন। তবে যে কোনো ডায়েট অনুসরণ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যারা এরই মধ্যে ওজন কমানোর কথা ভাবছেন কিন্তু কোন ডায়েট অনুসরণ করবেন তা বুঝতে পারছেন না তারা জেনে নিন ২০২৩ সালে কোন কোন ডায়েটগুলো ট্রেন্ডিংয়ে থাকবে। চলুন ধারণা নেওয়া যাক কোন কোন ডায়েট এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত-

মেডিটেরিয়ান ডায়েট: মেডিটেরিয়ান ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত থাকে ফল-মূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, লেবু, মাছ ইত্যাদি। এর সঙ্গে জলপাই তেলের পরিমাণ বেশি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটেরিয়ান ডায়েট কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কেটোজেনিক ডায়েট: কেটো ডায়েটে চর্বি বেশি ও কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণের পরামর্শ দেয়। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য ও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের মতো সমস্যা এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন কেটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি প্রোটিনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

ইন্টারমিটিং ফাস্টিং: বিরতিহীন উপবাস বা ইন্টারমিটিং ফাস্টিং করে ওজন কমানোর পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় বিশ্বব্যাপী। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘণ্টা উপবাসের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে রাত ৮টা থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত না খেয়ে থাকার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন কমানো হয় এক্ষেত্রে। শুধু ওজন নয়, ইন্টারমিটিং ফাস্টিং শরীরের সুস্থতাতেও ব্যাপকভাবে কার্যকরী বলে প্রমাণ হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।

ভেগান ডায়েট: হলিউড কিংবা বলিউডের অনেক তারকাই ভেগান বা নিরামিষাশী ডায়েট অনুসরণ করেন। বিভিন্ন গবেষণায় এর স্বাস্থ্য উপকারিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভেগানরা মাংস, ডিম, মাখন, জেলটিন, মধুসহ সব ধরনের প্রাণীজ পণ্য খাওয়া এড়িয়ে চলে।

লো-কার্ব ডায়েট: পুরোনো হলেও বিশ্বব্যাপী অনেকের কাছে জনপ্রিয় এই ডায়েট। এক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম ও শাকসবজি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

ড্যাশ ডায়েট: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ও ওজন কমাতে দারুন কার্যকরী এক খাদ্যতালিকাগত পদ্ধতি এটি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই ডায়েট। এতে প্রচুর ফল, সবজি, শস্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। আর সীমিত পরিমাণে চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগি, মাছসহ কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকা সত্ত্বেও ড্যাশ ডায়েটে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হয়।

প্যালিও ডায়েট: এটি বর্তমানে জনপ্রিয় একটি ডায়েট। তবে এই ডায়েটে খাবার অনেক কম থাকে। ফল, শাকসবজি, মাংস, মুরগি, মাছ, বাদাম, বীজ খাওয়া গেলেও দুগ্ধ, শস্য, লেবু ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় এই ডায়েটে। সমালোচকরা বলছেন, এই ডায়েটে যেহেতু খাবার খুব সীমিত থাকে তাই শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনসমৃদ্ধ ডায়েট: নতুন বছরে প্রোটিনসমৃদ্ধ ডায়েটের প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাবে। এই ডায়েট অনুসরণ করলে খাওয়ার প্রবণতা কমে, কারণ প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার এখনো প্রোটিনের জনপ্রিয় উৎস কিন্তু যারা মাংস খেতে পারেন না বা খেতে চান না তাদের জন্য ভেগান প্রোটিন পাউডারও আছে। অবশেষে পাস্তুরিত তরল ডিমের সাদা থেকে তৈরি ডিমের সাদা প্রোটিন পাউডারও আছে।


আরও খবর



মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করা হবে : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরে আইসিপি (ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বিজিবি ডিজি বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অন্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জের ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে জাহাজে করে সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। মার্চে মিয়ানমারের বিজিপির ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি ডিজি বলেন, আইসিপি- ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট (সমন্বিত চৌকি) যখন চালু হবে, আমাদের দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অর্থনৈতিক অনেক প্রাপ্তি ও সুবিধা হবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এদিকে ও ভারতের দিকেও আইসিপির দু'প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করছে। এই আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দুপাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধি করবে।

এর আগে তিনি বিজিবির সূতিকাগার ২২৯ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গৌরবমন্ডিত রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু এলাকা এবং বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন।

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দরটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অবস্থানটি ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সে জন্য এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা  দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু রয়েছে এবং এখানে যে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে সেটা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরও ত্বরান্বিত হবে।

বিজিবি প্রধান রামগড়ে বিজিবি স্সৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০ দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর রামগড়ে ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় এবং ইফতার করেন। এ সময় তিনি সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে এখনো আমরা রয়েছি। আমাদের লক্ষ্যে এখনো আমরা পৌঁছাতে পারিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাত থানার কারা-নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন গত আড়াই মাসে। পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই, কারও পা চলে গেছে, কারও হাত চলে গেছে আর কারও পৃথিবীর আলো চলে গেছেদুই চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আজকে অনেক নেতাকর্মী অন্ধ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঈর্ষা থেকে হুমকি দিচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন বলছেন, এবার আমরা বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করব। লজ্জা করল না বলতে? পৃথিবী মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকরতম সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন পার্শ্ববর্তী দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, একমাত্র তারাই আপনাদের সমর্থন জানিয়েছে।

এত বড় সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যতা মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের বন্ধুত্ব। আপনাদের মন্ত্রী বলেছেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আর আপনারা বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নাকি তাড়াবেন।


আরও খবর



সদরঘাটে ৫ জনের মৃত্যু

গ্রেপ্তারকৃতদের সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারদেরকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে (সিএমএম) তোলা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের চার চালকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে ১১ নং পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মা-সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের একমাত্র সন্তান রয়েছে। নিহতরা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘাটে বাঁধা টিপু-১৩ ও তাশরিফ-৪ লঞ্চের মাঝ দিয়ে ঢুকতে যায় ফারহান-৬ নামের একটি লঞ্চ। এ সময় ফারহান ধাক্কা দেয় টিপুকে। আর টিপুর ধাক্কায় তাশরিফের রশি ছিঁড়ে যায়। রশির বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার পরে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলার বেতুয়ায় যাতায়াত করে থাকে।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




আনোয়ারায় বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খাদে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-চন্দনাইশ সড়কের পুরাতন বরকল বেইলি ব্রিজ ভেঙে চানখালী খালে একটি ট্রাক পড়ে গেছে। এতে চালক আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত চালকের নাম মো. সাকিব (২২)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলায় কেশুয়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একটি খালি মিনি ট্রাক চন্দনাইশ থেকে আনোয়ারা যাওয়ার পথে পরিত্যক্ত বেইলি সেতুতে উঠতেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় লোকজন চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বরকল চাঁনখালি খালের ওপর নতুন একটি সেতু করলেও পাশের পুরোনো বেইলি ব্রিজটি ব্যবহার না করতে সওজ কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, বরকল চানখালী খালের ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১১৭ মিটারের নতুন একটি সেতু করেছে। ওই চালক কেন পরিত্যক্ত ব্রিজ দিয়ে গেল সেটাই প্রশ্ন।


আরও খবর



২০ দিনে আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে কার্যকর করা অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নথিবিহীন ২ হাজার ৫৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১ মার্চ দেশটিতে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু করেছে মালয়েশিয়া। এই কর্মসূচির আওতায় গত ২০ দিনে ১১ হাজার ৯৪৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি আছেন ২ হাজার ৫৩০ জন।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৮২৪ জন নথিবিহীন অভিবাসী নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে ১২ হাজার ৪৯৫ জন পুরুষ, ৩ হাজার ৭২৮ জন নারী, ৩১০ জন তরুণ এবং ২৯১ জন তরুণী রয়েছেন।

দেশটির এই কর্মকর্তা বলেন, কর্মসূচিতে অবৈধ অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিবন্ধনের রেকর্ড করেছেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা। ৭ হাজার ৭৮২ জন ইন্দোনেশীয় দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

তিনি বলেন, এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ২ হাজার ৫৩০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এরপরই ভারতের ২ হাজার ৪৫৪ জন এবং পাকিস্তানের এক হাজার ৬১৭ জন নাগরিক কর্মসূচিতে নিবন্ধন করেন।

রুসলিন বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্তত ৯৪ জন তাদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। তাদের সবাইকে চাকরির নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‌‌আমরা এই কর্মীদের কাউকে আটক করিনি। আমরা তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দিয়েছিলাম। কারণ তারা অভিবাসন আইনে কোনও অপরাধ করেননি। নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি এই কর্মীদের সাথে প্রতারণা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর