রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নতুন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৯ হাজার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটে তা কমে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় নতুন বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ বাড়লো দুই হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে দেশের ৫২তম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে তিনি সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। তার বাজেট বক্তৃতায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য এ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ খাতে আমরা সব মাধ্যম অর্থাৎ সড়ক, সেতু, রেল, নৌ ও আকাশপথের সমন্বিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য হল- অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপদ, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, বর্তমানে চলমান কার্যক্রমগুলোর সময়ানুগ বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নোত্তর মান সংরক্ষণের ওপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
রেল প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেলখাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেল সেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প; যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ ইত্যাদি। সার্বিকভাবে, ৩০ বছর মেয়াদী রেলওয়ে মহাপরিকল্পনার আওতায় সরকার রেলখাতের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে।