মাঝ নদী থেকে ‘সাবিত আল হাসান’ নামে লঞ্চটি টেনে পারের দিকে নিয়ে আসা হয়। সেসময় আশেপাশে ভিড় করেন স্থানীয়রা। উদ্ধারকর্মীদের
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তীরে তোলা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চটি ভিতর থেকে ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ‘সাবিত আল হাসান’ নামে লঞ্চটি তীরে তোলা হয়। এ সময় নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা রবিবার রাত থেকেই নদীর তীরে অপেক্ষা করছিলেন। মাঝ নদী থেকে ‘সাবিত আল হাসান’ নামে লঞ্চটি টেনে পারের দিকে নিয়ে আসা হয়। সেসময় আশেপাশে ভিড় করেন স্থানীয়রা। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি লঞ্চটি তোলার পর সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধারের কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা।
নারায়াণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তোলা হয়েছে। সেখান থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। আরও অনেক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার হতে পারে।
বিআইডাব্লিউটিএ -এর চেয়ারম্যান গোলাম মো. সাদেক বলেন, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের ডুবুরীরা মৃতদেহগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে রবিবার (৪ এপ্রিল) অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২৯ জন। ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে উদ্ধারকাজ।