কথিত ‘সিনিয়র সহকারী সচিব’ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রফিকুল হক মিঞা (২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার
করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে,
গ্রেফতার রফিকুল ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং
সেন্টারে (এনটিএমসি) উপ-পরিচালক পদে কর্মরত আছেন বলে দাবি করেন। তাকে পুলিশের সঙ্গে
চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়ে ডাকা হয়। পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে জানানো
হয় এই (রফিকুল) নামে কেউ সেখানে নেই। এক পর্যায়ে রফিক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা
পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
শুক্রবার (১৭
নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন,
প্রতারক রফিকুল মিরপুর মধ্য পীরেরবাগ এলাকার মো. শামছুল হক মিঞার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার
দিনগত রাতে মিরপুর থানা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের (মিরপুর জোন) অফিসে থেকে তাকে
গ্রেফতার করা হয়। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কিন্তু নিজেকে পরিচয়
দেন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে। ৩৫তম বিসিএস পাস করে তিনি বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন
মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) উপ-পরিচালক পদে আছেন বলেও দাবি তার।
ওসি মহসীন আরও
বলেন, গ্রেফতার রফিকুল এনটিএমসির পরিচালক পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ডও বানিয়েছেন। থানায় কোনো
প্রয়োজন হলে তার ভিজিটিং কার্ড দেখালে ‘কাজ হয়ে যাবে’ বলে
সবাইকে আশ্বস্ত করতেন। তার এমন কথা বিশ্বাস করেই বৃহস্পতিবার রাতে সেই ভিজিটিং কার্ড
নিয়ে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুক মিয়ার কাছে আসেন আনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
রফিকের ভুয়া
ভিজিটিং কার্ড দেখে সন্দেহ হলে তাকে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের
অফিসে ডাকা হয়। রফিক সেখানে যাওয়ার পর তার পরিচয়, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে
তিনি অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন। পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে এই নামে কেউ
নেই বলে সেখান থেকে জানানো হয়। এক পর্যায়ে রফিক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা পুলিশের
কাছে স্বীকার করেন।
গ্রেফতার রফিকের
বিরুদ্ধে মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিবুর রহমান বাদী হয়ে প্রতারণা ও সরকারি
কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো
হয়েছে।