আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

১৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সম্পাদক পাচ্ছে রয়টার্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
প্রধান সম্পাদকের চেয়ারে বসার পর তাকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এর মধ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ বর্তমান বাস্তবতায় সব গণমাধ্যমকেই মোকাবেলা করতে হচ্ছে; এর বাইরে বিস্তৃত ও জটিল সাংগঠনিক

নিজেদের ১৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী সম্পাদক পেতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আগামী সোমবার থেকে ইতালিয়ান আলেসান্দ্রা গ্যালোনিকে এ পদে দেখা যাবে বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। গত এক দশক ধরে রয়টার্সের বার্তাকক্ষকে নেতৃত্ব দেওয়া স্টিফেন জে. অ্যাডলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন ৪৭ বছর বয়সী গ্যালোনি।

অ্যাডলার চলতি মাসেই অবসরে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে এ বার্তা সংস্থা সাংবাদিকতা বিষয়ক কয়েকশ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে, যার মধ্যে আছে সাতটি পুলিৎজার; যা এই শিল্পের সর্বোচ্চ সম্মান। রোমে বেড়ে ওঠা গ্যালোনি চারটি ভাষায় পারদর্শী। রয়টার্স ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কাজ করেছেন। ব্যবসা ও রাজনীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও সংবাদ সম্পাদনায় তার অভিজ্ঞতা বিস্তর।

প্রধান সম্পাদকের চেয়ারে বসার পর তাকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এর মধ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ বর্তমান বাস্তবতায় সব গণমাধ্যমকেই মোকাবেলা করতে হচ্ছে; এর বাইরে বিস্তৃত ও জটিল সাংগঠনিক কাঠামো পরিচালনার ভার তো থাকছেই।

বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াই হাজার সাংবাদিক রয়টার্সে কর্মরত; নানামতের গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি এটি থমসন-রয়টার্সের বিস্তৃত তথ্য-সেবা ব্যবসার একটি শাখাও।

গ্যালোনি রয়টার্সের বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন, দেখভাল করেছেন বিশ্বের দুই শতাধিক স্থানে কাজ করা সাংবাদিকদের।

তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল রয়টার্সের ইতালিয়ান ভাষার নিউজ সার্ভিসে। হার্ভার্ড ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ডিগ্রি নেওয়া এ নারী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেও প্রায় ১৩ বছর কাজ করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রয়টার্সে ফেরেন।

রয়টার্স তাদের পরবর্তী প্রধান সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় গ্যালোনি বলেন, ১৭০ বছর ধরে রয়টার্স স্বতন্ত্র, বিশ্বস্ত বৈশ্বিক প্রতিবেদনের মান নির্ধারণ করেছে। প্রতিভাবান, নিবেদিত ও অনুপ্রেরণাদায়ী সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত এর বিশ্বমানের বার্তাকক্ষের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত।


আরও খবর



ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন ছাড়াও তিনটি পৌরসভার সাধারণ ও বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শূন্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, সাতটি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনসহ ১৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে ইমেজ সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর।

এদিকে, কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ টিম রয়েছে। এ ছাড়া নিয়োজিত রয়েছে র‌্যাবের ২৭টি টিম এবং ১২ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২২ জনের ফোর্স অন্য স্থানীয় নির্বাচনের কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৭ জনের ফোর্স। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য। ময়মনসিংহ সিটির ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে র‌্যাবের ১৭টি টিম এবং সাত প্লাটুন বিজিবি রয়েছে।


আরও খবর



সপরিবারে জাপানে ভূমিকম্পের কবলে রাজামৌলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জাপানে ভূমিকম্পের কবলে পড়লেন আরআরআর পরিচালক এস এস রাজামৌলি। ভূমিকম্পের বিষয়ে জাপানিরা মানসিকভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকলেও রাজামৌলির কাছে বিষয়টি নতুন। বর্তমানে সপরিবারে জাপানে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী নির্মাতা রাজামৌলি।

পুরো বিষয়টির ওপরে আলোকপাত করেছেন পরিচালকের ছেলে এসএস কার্তিকেয়। এক্স-এ একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে তার হাতের স্মার্ট ঘড়ির ডায়ালে ভূমিকম্পের সতর্কবাণী ফুটে উঠেছে।

ছবিটির সঙ্গে কার্তিকেয় লেখেন, ২৮ তলায় ছিলাম এবং ধীরে ধীরে মাটি দুলতে শুরু করল। ওটা যে ভূমিকম্প সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভয় পাওয়ার আগেই দেখলাম জাপানিদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, যেন বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

কার্তিকেয়র বক্তব্য নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরা তাদের জন্য সমাজমাধ্যমে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। আবার রাজামৌলি সুরক্ষিত আছেন জেনেও কেউ কেউ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন এসএস রাজামৌলি। সম্প্রতি সে দেশে তার সিনেমা আরআরআর-এর বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজিত হয়। সিনেমার প্রদর্শনে নিজের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক।


আরও খবর



চালু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল র‍্যাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসেই চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল র‍্যাম্প। এটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে আসা গাড়িগুলো সরাসরি নামতে পারবে এফডিসির সামনে হাতিরঝিলমুখী সড়কে।

হাতিরঝিল সংলগ্ন এই র‍্যাম্পটি চালু হলে সড়ক থেকে নেমে সোজা হাতিরঝিল, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী যেতে পারবে গাড়িগুলো।

এছাড়াও বাম দিক দিয়ে যাওয়া যাবে তেজগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী। আর ডান দিক দিয়ে সহজে যাওয়া যাবে মগবাজার, কাকরাইল, হাইকোর্ট, সচিবালয় ও গুলিস্তানে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যানজট নিরসনে সবচেয়ে বড় এই মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয় যান চলাচলের জন্য। মোট ১৫টি র‍্যাম্প আছে ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে।


আরও খবর



অর্জিত হচ্ছে না রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যদিও গেল বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সাময়িক হিসাব অনুসারে, ৮ মাসে আয়কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭২ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এছাড়া শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৬ মার্চ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন: গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।

গত ৬ মাসের রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বরগুনায় প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনা প্রেসক্লাবে ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে বরগুনার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বরগুনা প্রেসক্লাব, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরাম, জেলা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আলহাজ আব্দুর রশিদ মিয়া, বরগুনা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার দাস, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বরগুনায় অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। তাদের এসব অপকর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বরগুনা প্রেসক্লাবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তারা এ হামলা চালায়। বক্তারা এই হামলার সাথে জড়িত আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য যখন শিক্ষা সফর উপলক্ষে কলকাতা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। তখন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি কুচক্রী দল বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রেসক্লাব দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবে পৌঁছালে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজসহ একাধিক সদস্যকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাসুদ তালুকদার, বরগুনা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত সদস্য মুশফিকুল ইসলাম আরিফ এবং হারুন অর রশীদ রিংকুর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার আইনে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। বরগুনা প্রেসক্লাবের পক্ষে মামলা (নং ১৮/২৪) দায়ের করেন সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার।


আরও খবর