২০২২ সালে হজে
যাওয়ার লক্ষ্যে লিড এজেন্সি নির্ধারণপূর্বক ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের এজেন্সি
স্থানান্তর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে,
১৫ মে’র মধ্যে লিড এজেন্সি নির্ধারণপূর্বক ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের এক এজেন্সি
থেকে অন্য এজেন্সিতে স্থানান্তর সম্পন্ন করতে হবে। মঙ্গলবার (১০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২০২২ সালে হজ
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বৈধ হজ এজেন্সির তালিকায় প্রকাশিত যেসব হজ এজেন্সির প্রাক-নিবন্ধিত
ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ বা তার চেয়ে বেশি, সেসব এজেন্সিকে ২০২২ সালে হজের নিবন্ধন স্থানান্তর
কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়, নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত/তালিকায় প্রকাশিত বৈধ যেসব হজ এজেন্সির
নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ জনের কম, সেসব হজ এজেন্সি পরস্পর সমঝোতা করে সমন্বয় করবে।
এক্ষেত্রে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং এর অধীনে প্রণীত হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা
বিধিমালা, ২০২২ (খসড়া)-এর ২৫ বিধি অনুযায়ী, লিড এজেন্সি (তফশিল-৬ এর ফরম ১১ মোতাবেক)
নির্ণয় করতে হবে। সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোর নিবন্ধিত ব্যক্তিদের লিড এজেন্সিতে স্থানান্তর
করে নির্ধারিত কোটা পূরণপূর্বক নির্ধারিত কোটার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে অনুসারে
১৫ মে’র মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সমন্বয় শেষে সৌদি আরবের ই-হজ সিস্টেমে ইউজার
আইডি তৈরির জন্য সৌদি আরবে হজ এজেন্সির তালিকা এবং হজ এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা
(গাইড ও মোনাজ্জেমসহ) পাঠাতে হবে। কোনও সময় বৃদ্ধি করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও
বলা হয়, সৌদি আরবে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর তথ্য পাঠানোর পর সব ধরনের প্রতিস্থাপনের
কাজ শুরু হবে। যেসব হজ এজেন্সি বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত, লাইসেন্স স্থগিত বা
লাইসেন্স সচল না থাকায়, যাদের ই-হজ সিস্টেমে এজেন্সির ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড বন্ধ
রয়েছে, সেসব হজ এজেন্সির অধীন বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ২০২২ সালে হজ কার্যক্রমে
অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে তাদের ইউজার আইডি অ্যান্ড এএমপি, পাসওয়ার্ড (অ্যাক্টিভ) সচল করা
রয়েছে, তারা সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠাতে উপযুক্ত। এমন হজ এজেন্সির কাছে ১৫ মে’র মধ্যে
শুধু হজযাত্রী স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। এরপর তাদের ইউজার আইডি এবং
পাসওয়ার্ড আগের মতো বন্ধ থাকবে। তাদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে কোনও নিবন্ধন,
হজযাত্রী স্থানান্তরপূর্বক গ্রহণ ইত্যাদি কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারবে না।