ক্রাইস্টচার্চে
মাত্র দেড় দিন ব্যাটিং করেই স্কোরবোর্ডে পাঁচশোর বেশি রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। এর
বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফলোঅনও এড়াতে পারল না বাংলাদেশ। হ্যাগলি ওভালের
সবুজ উইকেটে ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির বোলিংয়ে রীতিমতো ধোঁয়া দেখেছে বাংলাদেশ। দ্রুত
উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রথম ইনিংসে অল্পতেই গুটিয়ে গেল মুমিনুল হকের দল।
আজ সোমবার প্রথম
ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল মঙ্গলবার স্বাগতিকেরা
ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশকে পুনরায় ব্যাটিং করতে পাঠায় কি না, সেটাই দেখার। আজ দ্বিতীয় দিন
শেষে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে আছে ৩৯৫ রানে।
ইয়াসির আলী রাব্বি
ও নুরুল হাসান সোহান ছাড়া ব্যাটিংয়ে কেউই থিতু হতে পারেননি। বেশি হতাশ করেছেন টপ অর্ডাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমেই তাঁরা উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। স্কোরবোর্ডে ১১ রান তুলতেই
এরই মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে মুমিনুল হকের দল।
ব্যাটিংয়ের শুরুতেই
সাদমান ইসলামকে (৭) হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম।
রানের খাতাও খুলতে পারেননি প্রথম টেস্ট খেলতে নামা নাঈম। জোড়া উইকেট হারানোর পর ঘুরে
দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ফের হারায় আরও দুটি উইকেটে। সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন
শান্ত (৪) ও মুমিনুল হক (০)। এরপর হারায় লিটন দাসের উইকেটও। দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং
বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ
গড়েন নুরুল ও ইয়াসির। কিন্তু, দুজনের প্রতিরোধেও কিউইদের বোলিং চাপ সামলাতে পারেনি
বাংলাদেশ। ৯৫ বলে ৫৫ রান করে আউট হয়ে যান ইয়াসির। তাঁর আগে ৬৬ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে
ফেরেন নুরুল হাসান। বাকিরা কেউ ১০-এর ঘরও অতিক্রম করতে পারেননি।
বাংলাদেশকে হতাশ
করে বোলিংয়ে চমক দেখিয়েছেন বোল্ট। বাংলাদেশের ব্যাটার মিরাজকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে
তিনশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচ ৫ উইকেটে নিয়েছেন বোল্ট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে নবম বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন এই তারকা পেসার।
বোল্টের সঙ্গে বল হাতে তিনটি উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি।
এর আগে সিরিজের
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২১ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। ডাবল সেঞ্চুরি করা ল্যাথাম
খেলেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫২ রানের ইনিংস। আরেক সেঞ্চুরিয়ান কনওয়ে খেলেছেন ১০৯ রানের
ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড
প্রথম ইনিংস : (আগের দিন শেষে ৩৪৯/১) ১২৮.৫ ওভারে ৫২১/৬ ডিক্লে. (ল্যাথাম ২৫২, কনওয়ে
১০৯, টেইলর ২৮, নিকোলস ০, মিচেল ৩, ব্লান্ডেল ৫৭*, জেমিসন ৪*; তাসকিন ৩২.৫-৫-১১৭-০,
শরিফুল ২৮-৯-৭৯-২, ইবাদত ৩০-৩-১৪৩-২, মিরাজ ৩১-২-১২৫-০, শান্ত ৪-০-১৫-০, মুমিনুল ৩-০-৩৪-১)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৪১.২ ওভারে ১২৬/১০ (সাদমান ৭, নাঈম ০, শান্ত ৪, মুমিনুল ০, লিটন ৮, নুরুল ৪১, ইয়াসির ৫৫, শরিফুল ২, মিরাজ ৫, তাসকিন ২, ইবাদত ০* ; টিম সাউদি ১২-৪-২৮-৩, বোল্ট ১৩.২-৩-৪৩-৫, জেমিসন ৯-৩-৩২-২, নিল ওয়াগনার ৭-১-২৩-০)