আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

১২০ জন কনেযাত্রীকে নেকড়ের আক্রমণ : বেঁচে ফিরলেন দুইজন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৯১১ সাল। পুরুষ, মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে ১২০ জনের একটি দল রাশিয়ার তাসখন্দের (তখন তাসখন্দ রাশিয়ার দখলে ছিল, তবে বর্তমানে উজবেকিস্তানে) ওবস্টিপফের কাছে একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের এমন পরিহাস যে, তাঁদের মধ্যে দুজন ছাড়া কেউই আর জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পারেননি। কী এমন ঘটেছিল?

তাসখন্দের ওবস্টিপফের কাছের ওই গ্রামে পাত্র-পাত্রীর বাগ্‌দান অনুষ্ঠানে যোগ দেন আত্মীয়-স্বজনেরা। খানাপিনার পাশাপাশি গানবাজনার মাধ্যমেও উল্লাসে মাতেন সবাই। বাগ্‌দান অনুষ্ঠানের পর প্রায় ৩২ কিলোমিটার ঘোড়ায় চড়ে তাসখন্দের উদ্দেশে রওনা দেন ১২০ জন কনেযাত্রী। বিয়ের মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখানেই।

সেন্ট পিটার্সবার্গের দীর্ঘ বরফের মরুভূমি জুড়ে গান গাইতে গাইতে এবং আমোদ করতে করতে এগোতে থাকে কনেযাত্রীর দল। ঘোড়সওয়ারিদের পাশাপাশি কয়েক জন রওনা দিয়েছিলেন ঘোড়ায় টানা স্লেজ গাড়িতেও।

১২০ জনের কনেযাত্রীর দল পাত্রপক্ষের বাড়িতে পৌঁছনোর অনেক আগেই থমকে যায়। তাদের পথ আটকে দাঁড়ায় কালো কালো ছায়া। কনেযাত্রীরা দেখেন, কালো মেঘের মতো কী যেন একটা তাঁদের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। একই সঙ্গে তাঁরা শুনতে পান মৃদু অথচ তীক্ষ্ণ গর্জনের আওয়াজ।

কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁরা টের পান তাঁদের দিকে এগিয়ে আসা কালো ছায়াগুলি আর কিছু নয়, অসংখ্য নেকড়ের একটি দল। বুঝতে পারেন তাঁরা অনেক দিন ধরে ক্ষুধার্ত। নেকড়ের দলকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে প়ড়েন কনেযাত্রীরা। ভয় পেয়ে যায় ঘো়ড়াগুলিও।

কিছু ক্ষণ স্থির থেকে গর্জন করার পরই কনেযাত্রীদের দিকে তেড়ে আসে ক্ষুধার্ত নেকড়ের দল। ভয় পেয়ে শহরের দিকে ছুটতে থাকেন তাঁরা। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ঘোড়াগুলিও।

তবে বরফের উপর দিতে ছোটা অত সহজ নয়। পুরু বরফের আস্তরণে পা আটকে পড়েও যান অনেকে। নেকড়ের আক্রমণে মৃত্যু হয় তাঁদের। ছাড় পায়নি ঘোড়ার দলও। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই শিকারদের টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে নেকড়ের দল।

স্লেজ গাড়ির চালকরা প্রাণ বাঁচাতে এবং গাড়ির ভার হালকা করতে গাড়িগুলিতে থাকা মহিলা এবং শিশুদের বরফের মধ্যেই ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় পাত্রীকেও।পাত্রীর প্রাণ বাঁচাতে স্লেজ গাড়ি থেকে লাফ দেন পাত্রও। তবে দুজনের কেউই বাঁচতে পারেননি।

অপেক্ষাকৃত হালকা ওজন নিয়ে প্রাণপণে দৌড়াতে থাকে স্লেজগাড়িগুলি। ৩০টি স্লেজ গাড়ির মধ্যে ২৯টি স্লেজ গাড়ির মানুষ এবং ঘোড়াগুলিকে শিকার করে নেকড়ের দল। মাত্র দুজন কনেযাত্রী নিয়ে একটি স্লেজগাড়ি অনেক দূর গিয়ে একটি বাড়ির দেখা পায়। ওই বাড়িতে ঢুকেই জ্ঞান হারান ওই দুই কনেযাত্রী।

১২০ জনের মধ্যে নেকড়ের দলের হাত থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে মাত্র ওই দুজন জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। এই মৃত্যুর ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে।

কিন্তু সত্যিই কি এমন ঘটনা ঘটেছিল? পরে এই ঘটনা নিয়ে অনেক অনুসন্ধান করা হয়। প্রমাণ দিয়ে একাংশ দাবি করেছেন, এ রকম কোনও ঘটনা কোনও দিন ঘটেইনি। তবে স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা সত্যি। বহু বছর ধরে তাঁরা এই ঘটনা শুনে আসছেন। তবে সত্যি হোক বা মিথ্যা, ঘটনা নিয়ে রহস্যের সমাধান হয়নি আজও।

নিউজ ট্যাগ: নেকড়ের আক্রমণ

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত চান ইমরান খানের প্রার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাত পোহালেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। তবে ভোটের আগমুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত করতে কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাই। খবর জিও নিউজের।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে লেখা এক চিঠিতে মাহমুদ খান বলেছেন, দেশের সংবিধান ও আইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেকটোরাল কলেজের কথা বলা হয়েছে। তবে ইলেকটোরাল কলেজ এখানো সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ জাতীয় পরিষদ ও সব প্রাদেশিক পরিষদে কিছু সংরক্ষিত আসন এখনো খালি রয়েছে। এসব সংরক্ষিত আসনে কেউ নির্বাচিত হননি। যদি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় তাহলে তাদের ভোটাধিকারকে অস্বীকার করা হবে।

পাকিস্তানে আগামীকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উভয় কক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়। জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন। এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মাহমুদ খান। আসিফ আলি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যৌথ প্রার্থী।


আরও খবর



শিশুর সামনে যে কাজগুলো কখনোই করবেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবামায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবামায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবামায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবামা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবামাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবামার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।

শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য

শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নামডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।

২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা

বাবাময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?

৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা

স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ! এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।

৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা

শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে না। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা

দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।

৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা

যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।

৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা

সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৯. মেজাজ হারানো

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালনপালনের চাপ থেকে রাগবিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।

১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা

বাবামা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।

১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা

শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।

১২. তুলনা

শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবামায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবামায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

১৩. ধূমপান বা মদ্যপান

শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

১৪. উৎকোচ দেওয়া

এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করবএমন কাজ অনেক বাবামায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২৫ মার্চ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট নিতে পারবেন। বিক্রিত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রেলওয়েরে একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, এবার ৭ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে। এ ছাড়া ভিড় এড়াতে কমলাপুরের পরিবর্তে ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে ছাড়া হবে উত্তরবঙ্গের ৩-৪টি ট্রেন।

২৫ মার্চ থেকে পাওয়া যাবে ৪ এপ্রিলের টিকিট। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ মার্চের টিকিট পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৬,৭, ৮, ৯, ১০ এপ্রিল।

একইভাবে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৪ এপ্রিল থেকে। অর্থাৎ ৪ এপ্রিল পাওয়া যাবে ১৪ এপ্রিলের টিকিটি। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০ এপ্রিল।

পশ্চিমাঞ্চলের সমস্ত আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিকেল থেকে এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিটি সকাল থেকে বিক্রি শুরু হবে।


আরও খবর



আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। তবে কতদিনের জামিন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ১৬ এপ্রিল।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির উপস্থিতিতে রবিবার (০৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এর আগে, রবিবার গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণের জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টায় শ্রম আপিল আদালতে হাজির হবেন। কারণ সেদিন তাদের এক মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করেছে। সেই মামলার চার্জশিট ইতোমধ্যে দাখিল করেছে তারা। একই দিনে সেই মামালার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেইদিন আদালতে হাজির হবেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


আরও খবর



এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে নৌকার সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. নান্নু (৪৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নান্নু একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নান্নু ইফতার শেষ করে নিজবাড়ি থেকে কেশবপুরে তার ইজারা নেওয়া দিঘিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।

স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে বিরোধে চলছিল। নান্নু নৌকা প্রতীকে ভোট করেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরও দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এ বিষয়ে সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ জানান, নান্নু নৌকা প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের পর থেকে তারা (বর্তমান এমপি) আমার সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে। আমি যেহেতু ঢাকায় রয়েছি তাই নিহতের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুষ্টিয়া

আরও খবর