আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নের জন্য ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মন্ত্রী এসব কথা জানান। সভায় মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ যা বিশ্বপরিমন্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ইলিশ উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সবার অবদান রয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, বিভিন্ন সময়ে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা, জাটকা নিধন বন্ধ করা, আহরণ বন্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করবে। তারাই লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কোনভাবে বিপন্ন না হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। ইলিশ সারাদেশের সম্পদ। এজন্য এ মাছ রক্ষায় সবাই মিলে আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।

ইলিশ সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স এর সভা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ দ্রুততার সাথে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইলিশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দরিদ্র-অসহায় মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে একশ্রেণীর মুনাফা লোভী দুর্বৃত্ত। তারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে নদীতে-সমুদ্রে মাছ ধরতে জেলেদের নামায়। এক্ষেত্রে কোন ছাড় নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষায় রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে, যতই প্রভাবশালী হোক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত এলাকায় এ সময় প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ করে দিতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল, মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, র‌্যাব, নৌ পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, ইলিশ সম্পৃক্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালক সমিতি, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ও মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০ এর অধীন প্রণীত প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ অনুযায়ী প্রতিবছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শহীদ ইশমামের নামে সড়ক ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়া হবে: চট্টগ্রাম ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরলোকগত লোহাগড়ার কৃতি সন্তান শহীদ ইশমামের স্মরণে তার বাড়ির সন্নিকটে কাঁচাসড়কটি যা অনেকদিন ধরে ইশমামের পরিবারসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ, সেখানে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হবে এবং এটি শহীদ ইশমামের নামে নামকরণ করা হবে।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এ প্রতিশ্রুতি দেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ আন্দোলনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ।

লোহাগাড়া পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আন্দোলনে শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত করেন এবং পরবর্তীতে তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে শহীদ ইশমামের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক দ্রুত শহীদ ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহায়তা আনয়নে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া লোহাগাড়া থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ এবং সাতকানিয়া থানা পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক করতে চাইলে থানাগুলো সচল না করার বিকল্প নেই, এবং এজন্য আমাদের শিক্ষার্থীরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসে থানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সাহায্য করবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে জেলা প্রশাসনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমার দৃঢ বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমার পুলিশ বাহিনীর ভীতি অনেকটা দূরীভূত হবে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম  সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন,  আমাদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি কুচক্রী গোষ্ঠী হামলা গুলো চালিয়েছে; এ কাজ শিক্ষার্থীদের হতে পারে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ যেন আপনাদের দিকভ্রান্ত করতে না পারে। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে তিনটি ভাগে উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরে আমাদের তিনটি প্রতিনিধি দল নিয়োজিত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমাদের এই প্রতিনিধিরা জনজীবন স্বাভাবিক করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং করবে। এসময় তিনি শহীদ ইশমামের পরিবারের জন্য এগিয়ে আসায় এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে এরূপ অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের জন্য জেলা প্রশাসককে সাধুবাদ জানান।

পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপচারিতায় তাদের অভয় বাণী দেন এবং দেশ গঠনে সচেষ্ট শিক্ষার্থীদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দিনব্যাপী এই পরিদর্শনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও এনএসআই কর্মকর্তাগণ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ছাত্র আন্দোলনে বেতাগীতে নিহতদের পরিবারকে অনুদান

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

Image

বরগুনার বেতাগীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের নিলখোলা গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. টিটু হাওলাদার ও সোনার বাংলার করুনা গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মো. লিটন মাতুব্বর'র পরিবারকে ২ লক্ষ করে মোট ৪ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।

রবিবার (২৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় আছমত আলী কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল নিহত টিটু ও লিটনের পরিবারের কাছে এ অনুদােনর টাকা হস্তান্তর করেন।

উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মুন্নার সঞ্চালনায় ও উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শায়খ আফজালুর রহমান, জেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন, হোসনাবাদ ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ফুয়াদ প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: বেতাগী

আরও খবর



ওসি হারুনের ‘মহানগর’ দেখা যাবে ফ্রিতে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সালটা তখন ২০২১। বিশ্ব তখন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে ব্যস্ত। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে কোনো এক রাতের ঘটে যাওয়া এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয় একটি সিরিজ। জুন মাসে হইচই নিয়ে মুক্তি পায় সেই সিরিজ; নাম মহানগর। জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম অভিনীত এই সিরিজটি নির্মাণ করেন বাংলাদেশের হালের আলোচিত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।

সিরিজটি বাংলা ভাষার দর্শককে যেন নাড়িয়ে দিয়ে যায় সে সময়। মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি দর্শক প্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এখনো দর্শক মনে দাগ কেটে চলেছে ওসি হারুন চরিত্রটি। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে মহানগর এর প্রথম সিজন দেখা যাবে একদম ফ্রি-তে। হইচই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই দেখা যাবে সিজন ১। লাগবে না কোনো সাবস্ক্রিপশন, লাগবে না রেজিস্ট্রেশন। সেই সাথে হইচই বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলে মহানগর এর প্রথম কিস্তির ১টা পর্ব দেখা যাবে ফ্রি।

এ ব্যাপারে পরিচালক আশফাক নিপুণ বলেন, মহানগর নির্মাণের সময় ভাবিনি যে সিরিজটি মানুষ এতো পছন্দ করবে। ওয়েব সিরিজটি দুই বাংলাতেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু এটি নির্মাণের পর আমাকে বেশ সমস্যাতেও পড়তে হয়। যেই বিষয়টি নিয়ে আমি কখনো মিডিয়াতে কথা বলিনি। সেসব ব্যাপার নিয়ে আলাপ করা যাবে অন্য কোনো সময়। তবে আনন্দের ব্যাপার হলো, যে কেউ, যে কোনো স্থান থেকে মহানগর হইচই-তে স্ট্রিম করতে পারবেন ফ্রি।

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, মহানগর মুক্তির পর থেকেই সাধারণ মানুষের যে রেসপন্স ও ভালোবাসা পেয়েছি তা অবিশ্বাস্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বাস্তবে সবখানে প্রসংশা পেয়েছি কাজটার জন্য। এখনো দর্শক ওসি হারুনকে দেখতে চায়। আপাতত, ৩০ আগস্ট থেকে মহানগর প্রথম সিজন হইচইতে দেখা যাচ্ছে একদম ফ্রি।

শুধুমাত্র হইচই অ্যাপ ডাউনলোড করেই দেখে নিতে পারবেন মহানগর। মহানগর-এর প্রথম সিজনে মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা, খাইরুল বাসার প্রমুখ।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জামিন পেলেন সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

সংবাদ প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির রিপোর্টার অধরা ইয়াসমিন। 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

ট্রাইবুনাল শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন অধরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক।

তিনি বলেন, অধরা ইয়াসমিনকে ১০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবরের দিন ধার্য করেন ট্রাইবুনাল।

অধরা ইয়াসমিন বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় সেই সময় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিকরা ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। তারা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সাইবার ট্রাইবুনাল সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেন অধরা ইয়াসমিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ১৩ মে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন২০১৮ এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের শাকেরুল কবির। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইবুনালের দাখিল করা হলে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

নিউজ ট্যাগ: অধরা ইয়াসমিন

আরও খবর



চট্টগ্রাম নগরীর ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে চসিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

টানাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধ্বসের কারণে সৃষ্ট দূর্যোগে নগরীর ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জনসাধারণের যানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরী কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত এ কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা জনগনের সেবায় কাজ করবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বর ০২৩৩৩৩৬৩০৭৩৯।

বৃহস্পতিবার চসিক ভবনের কনফারেন্স রুমে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্ত্বে এক জরুরি সভায় অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধ্বস থেকে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে চসিকের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম মহোদয় কুইক রেসপন্স টিম গঠনসহ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের জন্য ৭টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা জনগণকে দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া এবং তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে ৭টি টিম কাজ করছে। এছাড়া এম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ মজুদ সহ ৩টি জরুরী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি চসিকের ৫৪টি হেলথ কমপ্লেক্স নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারনের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, জরুরী ঔষধ, এম্বুলেন্সসহ পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে জরুরী কুইক রেসপন্স টিম উদ্ধার কাজ সহ যাবতীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নাগরিকদের সরে যেতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় চসিকের কর্মীরা দুর্যোগপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে মাইকিং শুরু করেছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর