আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নের জন্য ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মন্ত্রী এসব কথা জানান। সভায় মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ যা বিশ্বপরিমন্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ইলিশ উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সবার অবদান রয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, বিভিন্ন সময়ে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা, জাটকা নিধন বন্ধ করা, আহরণ বন্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করবে। তারাই লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কোনভাবে বিপন্ন না হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। ইলিশ সারাদেশের সম্পদ। এজন্য এ মাছ রক্ষায় সবাই মিলে আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।

ইলিশ সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স এর সভা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ দ্রুততার সাথে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইলিশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দরিদ্র-অসহায় মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে একশ্রেণীর মুনাফা লোভী দুর্বৃত্ত। তারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে নদীতে-সমুদ্রে মাছ ধরতে জেলেদের নামায়। এক্ষেত্রে কোন ছাড় নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষায় রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে, যতই প্রভাবশালী হোক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত এলাকায় এ সময় প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ করে দিতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল, মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, র‌্যাব, নৌ পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, ইলিশ সম্পৃক্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালক সমিতি, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ও মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০ এর অধীন প্রণীত প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ অনুযায়ী প্রতিবছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বিজয়নগরে আজমেরী গ্লোরি পরিবহনে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে আজমেরী গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাসে আগুনের খবর পেয়ে সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়। দুপুর ১টা ৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।


আরও খবর
বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ ঢাকা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ চারে ঢাকা

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




আয়ের একমাত্র অবলম্বনে আগুন, জ্ঞান হারালেন মালিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
দেলু তার শেষ সম্বল ৭ কাঠা জমি বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেছেন। এজন্য প্রতি মাসে তাকে ৬২ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত সরণি এলাকার শিববাড়ী-জয়দেবপুর সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে আয়ের একমাত্র অবলম্বন বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাসের চালক ও মালিক দেলোয়ার হোসেন দেলু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।

দেলুর চাচাতো ভাই সাগর হোসেন জানান, দেলুর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। বর্তমানে তারা শহীদ বরকত সরণি এলাকায় সপরিবারে বাসা ভাড়া করে থাকেন। সেখানে থেকে দেলু তুরাগ পরিবহন নামে তার গাড়িটি ঢাকা-শেরপুর  রুটে চালান। তিনিই গাড়ির মালিক তিনিই চালক। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রিপ শেষে বাসটি বাসার কাছে সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে রাখেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোররাতে একই স্থানে বাসটি রেখে বাড়ি যান। দুপুরে কে বা কারা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুড়ো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পরে এলাকাবাসী পাশের পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভায়।

তিনি আরও জানান, দেলু তার শেষ সম্বল ৭ কাঠা জমি বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেছেন। এজন্য প্রতি মাসে তাকে ৬২ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাসা থেকে গিয়ে বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন দেলু কীভাবে বাসের কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছিদ্দিক বলেন, শহীদ বরকত সরণির পাশে পুকুর পাড় দাঁড় করানো বাসে অগ্নিসংযোগের খবর শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা করা বাসটিতে আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ: ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে কালিসীমা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উভয়পক্ষের ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আসলাম হোসাইন জানান, সংঘর্ষে ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন নারী ও ২৩ জন পুরুষসহ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এবং উভয়পক্ষ থেকে মামলা এলে সেগুলো গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন>> ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রসঙ্গত, পূর্ব বিরোধের জের ধরে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের লোকজন ও আরজু মেম্বারের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় ও সোমবার দুপুরে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০জন আহতসহ বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুরের শিকার হয়। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও খবর



ইসরায়েলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি বাইডেনের

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) যেসব কর্মকর্তা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংসতা পরিচালনা করছেন, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ব্যক্তিগত কলামে তিনি লিখেছেন, যুদ্ধের পর গাজাকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতেই রাখার পক্ষে তারা। সেখানে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ মানে না যুক্তরাষ্ট্র। আমি ইসরায়েলের নেতাদের জোরালোভাবে বলছি, পশ্চিম তীরে ব্যাপক সহিংসতা চলছে এবং অবশ্যই তা বন্ধ করতে হবে। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে বাধ্য হবে। সেসব পদক্ষেপের মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত।

জো বাইডেন লিখেছেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, হামাস এবং পুতিন উভয়ই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্তির পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র কখনও তা হতে দেবে না। কারণ এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ সরাসরি সংশ্লিষ্ট।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গাজায় বোমা বর্ষণ শুরু দিন থেকে পশ্চিম তীর অঞ্চলেও অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। গত দেড় মাস ধরে চলমান এ অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতায় পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে প্রাণ হারিয়েছেন দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি। এছাড়াও সেখানকার বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের সঙ্গেও সংঘাত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের।


আরও খবর



আরও ১৯১২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, সাতজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৯১২ জন রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৫৩ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৬৭৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ২ হাজার ৩২০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৮৫ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬০ জন। ঢাকায় ৯৯ হাজার ৭৯৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর