দেশে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী সব শিশুকে কোভিড টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার বলেন, পাঁচ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে।
“এই টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাব, আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টিকা হাতে
পেলেই জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে টিকা নেওয়া যাবে।”
করোনাভাইরাস
মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার।
দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয় সরকার। পরে ধাপে
ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুলেছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের
নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে এ বছরের শুরু থেকে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে গত ২১ জানুয়ারি
ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসে। এরপর ছুটি বাড়তে বাড়তে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
গিয়ে ঠেকে।
সংক্রমণ কমতে শুরু করায় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সচল হয়। তবে যে শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছে, কেবল তারাই ক্লাসে ফেরে সে সময়।
ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেছিলেন, যেহেতু ১২ বছরের কম বয়সীরা টিকা পায়নি, সেহেতু ২২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিকের
শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরবে না।
১২ বছরের কম
বয়সীদের কোভিড টিকার আওতায় আনার বিষয়টি তখন থেকেই ঝুলে ছিল। তবে কোভিডের প্রকোপ কমতে
থাকায় ১ মার্চ থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও।