দূরপাল্লার বাস চলার সুযোগ দিলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। সুতরাং দূরপাল্লার বাস চলবে বলে আমার মনে হয় না
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে চলছে সরকারের দেওয়া দেশব্যাপী ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। এই বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে রবিবার। আগামী সোম ও মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল বাদে এক সপ্তাহের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ পথে হাঁটবে সরকার। এই এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি সেবা ব্যতিত অফিস-আদালত থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবে সরকার।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, সর্বাত্মক লকডাউনের আগের দুদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল কী হবে? মানুষ ইচ্ছেমতো চলাচল করতে পারবে, নাকি পারবে না? দূরপাল্লার বাস চলবে, নাকি চলবে না? শুধু তাই নয়, যেহেতু ওই দুদিনের জন্য এখন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বা সর্বাত্মক লকডাউনের কথা ঘোষণা করেনি সরকার; সেহেতু সব মুক্তভাবেই চলবে নাকি নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করা হবে- এসব প্রশ্নও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এমন সুযোগ থাকবে না। কারণ, সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে; তাতে দূরপাল্লার গাড়ি চলতে দিলে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাবে। কেউ ঢাকা ছাড়বে, কেউবা আবার ঢাকায় ঢুকবে। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের মানুষ চলাচল শুরু করবে। এই পরিস্থিতিতে সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দূরপাল্লার বাস চলার সুযোগ দিলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। সুতরাং দূরপাল্লার বাস চলবে বলে আমার মনে হয় না।’
১২ ও ১৩ এপ্রিলের জন্য বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রবিবার আমরা বৈঠকে বসব। সেখানে সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কোন পরিস্থিতিতে মাঝের দুদিন চলবে, তাও নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনের সময় কী কী করা যাবে, কী করা যাবে না সেই সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করা হবে। ১২ ও ১৩ এপ্রিল নিয়ে হয়তো আমরা কিছু বিধিনিষেধ জারি করতে পারি। এখন যে অবস্থায় চলছে, মাঝের দুদিনও হয়তো সেই অবস্থাতেই চলবে। তার মানে, সীমিত পরিসরে সবকিছু চললেও কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকতে পারে।’