আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১০ টাকার জন্য স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইয়ামিন হোসেন নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগানে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান (১৬) পলাতক রয়েছে।

নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে। সে কানাইডাঙ্গা বৃত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গেই নানার বাড়িতে থাকত ইয়ামিন।

হত্যাকারী অভিযুক্ত জাহিদ হাসান কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, দুপুরে বন্ধুরা মিলে বাড়ির পাশে খেলছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এ সময় আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। পরে জাহিদ বাকি টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এ সময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন ভয়ে পালিয়ে এসে ঘটনা বাড়িতে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল বাড়ির পাশের আম বাগানে গিয়ে ইয়ামিনের জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী জাহিদকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চলছে। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশু ইয়ামিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: গলা কেটে হত্যা

আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




দুর্নীতির দায়ে এক বছরের মাথায় ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এক বছরের বেশি কিছু সময়ের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে দলীয় নিয়ম ভঙ্গ এবং নেতিবাচকভাবে দলের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকের পর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনি দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং দলের সুনামকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

বিবিসি বলছে, ভো ভ্যান থুং তার নিজ প্রদেশে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া অন্য একজন প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত হতে গত বছর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মূলত ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব দুর্নীতিকে একটি সমস্যা হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সমাধান করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে। ভিয়েতনামের নেতৃত্বের পরিবর্তন সাধারণত সাবধানে পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে করা হয়।

সুতরাং মাত্র এক বছরের মধ্যে দুজন প্রেসিডেন্টকে হারানো এবং উভয়ই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগ করার বিষয়টি এটিই দেখায় যে, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে দুর্নীতি মোকাবিলা করা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিবিসি বলছে, ভিয়েতনামের রাজনীতির শীর্ষে থাকা চারটি স্তম্ভের একজন প্রেসিডেন্ট। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চারটি পদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, যদিও ক্ষমতা কাঠামোতে প্রেসিডেন্টেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। বাকি দুজন হলেন- প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান।

গত বছর যখন ভো ভ্যান থুংকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন তাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখা হয়েছিল। মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার নেতৃত্বদানকারী শক্তিশালী পার্টি প্রধান নগুয়েন ফু ট্রংয়ের সমর্থন সেসময় পেয়েছিলেন তিনি। আর এখন পূর্বসূরি নগুয়েন জুয়ান ফুকের মতো ভো ভ্যান থুংকেও তার নিজ প্রদেশে অজ্ঞাত কেলেঙ্কারির সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও সরকার গোপনীয়ভাবে কেবলমাত্র সেই ত্রুটিগুলোর কথাই উল্লেখ করেছে যা পার্টির ভাবমূর্তিকে জনসাধারণের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বিবিসি বলছে, থুংয়ের পদত্যাগের জন্য জাতীয় পরিষদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন। আর এ জন্য জাতীয় পরিষদ বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক দিন আগে পুলিশ মধ্য ভিয়েতনামের কোয়াং এনগাই প্রদেশের একজন সাবেক নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। ভো ভ্যান থুং সেখানে দলীয় প্রধান থাকাকালীন ওই নেতা সেখানে দায়িত্বপালন করেছিলেন।


আরও খবর



লোকসভায় টিকিট পেলেন কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমা জগতের বাইরেও বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ সক্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। জানান দিয়েছেলেন রাজনীতিতে নামার আগ্রহের কথাও।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সমর্থনেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকেছেন বেশ সক্রিয়। এবার যেন সেটিরই পুরস্কার পেলেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে মোদির দলের হয়ে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

রবিবার (২৪ মার্চ) লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের পঞ্চম তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই পাওয়া গেল কঙ্গনার নাম। এছাড়া এই তালিকায় অভিনেতা অরুণ গোভিলের নামও রয়েছে। তিনি বিজেপির হয়ে লড়বেন উত্তর প্রদেশের মিরুত থেকে।

বিজেপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক্স-এ কঙ্গনা লিখেছেন,প্রিয় ভারত ও ভারতীয় জনতার নিজস্ব দল বিজেপির জন্য বরাবরই আমার সমর্থন ছিল। আজ দল থেকে আমাকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে, আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে। আমি দলের উচ্চ পর্যায়ের আদেশ মেনে নির্বাচন করব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করছি দলের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করতে পারব।

প্রসঙ্গত, ভারতে লোকসভা নির্বাচনে সাত ধাপে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে যা চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ৪ জুন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার পরিবার। একইসঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করা হয়েছে।

তবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে।  সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনো ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ তার হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন। খালেদা জিয়ার এবারের মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ৬ মার্চ পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।

আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই।

আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট।

কেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্নে পুরোনো ব্যাখ্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তারপর প্রতিবারই তারা প্রথম যে চিঠি লিখেছিল সেই আকারেই আবেদন করছে।

সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সরকারপ্রধান মানে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি যেহেতু এটা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন এটা পরিবর্তন করার আইনি কোনো বিধান নেই। সরকার প্রধানকে আইনের ভেতরে থেকে মানবিক বিবেচনা করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি মানবিক কারণ দেখাতে পারবেন না। প্রথম বার থেকেই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন (নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি) দেওয়া হচ্ছে। এখন সেই মেয়াদ বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটা কিন্তু মানবিক কারণেই হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।


আরও খবর



গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার বিএনপি নেতা বাবু গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় ২০১২ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ২০১২ সাল থেকে পলাতক এজাহার নামীয় কুখ্যাত আসামী রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ বাসাবো এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবু (৫২)-কে গ্রেফতার করা হয়।

বিবৃতিতে আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। উক্ত সময় সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস আসলে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং গাড়ির যাত্রীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখে গাড়ির যাত্রী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কিছুসংখ্যক সাধারণ লোকজন গুরুতর আহত হয়। গাড়ী ভাংচুরের শিকার ড্রাইভার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

গ্রেফতারকৃত কাজী বাবু ২০১২ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৪নং ওয়ার্ড এর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিল। উক্ত সময়ে তার নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একাধিক নাশকতা কার্যক্রম চালায়। সে ২০১৩ সালের নাশকতা মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন জেল খেটে  জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই ধৃত আসামী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত মামলায় কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত কাজী বাবুর বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় ০৩ টি নাশকতা মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।


আরও খবর



এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে পিএসজির বড় জয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে হ্যাটট্রিক করেছেন। তার হ্যাটট্রিকে ভর করে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ৬-২ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

এটা ছিল লিগে সবশেষ চার ম্যাচে পিএসজির প্রথম জয়। এই জয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রেস্টের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ করলো পিএসজি। ২৬ ম্যাচ থেকে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচ থেকে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্ট আছে দ্বিতীয় স্থানে। মঁপেলিয়ের ২৬ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে রেলিগেশনের একটু সামনে।

মঁপেলিয়ের মাঠে এদিন ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। এ সময় ক্রসে এমবাপ্পের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করেন ভিতিনহা।

২০০তম লিগ ম্যাচ খেলতে নামা এমবাপ্পে ২২ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পান। এ সময় রান্ডাল কোলো মুয়ানির সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান করে কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে বাম পায়ের শটে নিশানাভেদ করেন ফ্রান্সের অধিনায়ক।

৩০ মিনিটের মাথায় অবশ্য মঁপেলিয়ের একটি গোল শোধ দেয়। এ সময় জর্ডান ফেরির ক্রসে হেড নিয়ে জালে জড়ান আর্নাউড নর্ডিন। আর বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে (৪৫+২) পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরায় মঁপেলিয়ের। গোলটি করেন অধিনায়ক তেজি সাভানিয়ের।

বিরতির পর অবশ্য পিএসজির আক্রমণের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে মঁপেলিয়ের। ৫০ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়ে জালে জড়ান এবং দলকে এগিয়ে নেন। ৫৩ মিনিটের মাথায় তাদের লি কাং-ইনের গোলে ব্যবধান বেড়ে হয় ৪-২। বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে করা গোলটি ছিল লিগে তার দ্বিতীয়। যেখানে মুয়ানি করেন দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট।

৬৩ মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। এটা ছিল চলতি মৌসুমে তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এই গোলে ২৪ ম্যাচে মাঠে নেমে ২৪ গোল করেন পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এমবাপ্পে। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৭তম ম্যাচে এটা ছিল তার ৩৮তম গোল। ৮৯ মিনিটে পিএসজির নুনো মেন্ডেস গোল করে ৬-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।


আরও খবর