আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১ লাখ ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র কৃষককে ঋণ দেবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উৎপাদনশীল ও আয়বর্ধক কার্যক্রমে কৃষকের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে দেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ক্ষুদ্র কৃষককে ঋণ দেবে সরকার। এ ঋণের সুদহার হবে ১১ শতাংশ। তবে সুফলভোগীদের তহবিলে ১ শতাংশ যুক্ত হবে। প্রকল্পের আওতায় কিছু বৃহৎ ঋণও দেওয়া হবে। ফলে প্রকল্প অনুমোদনের পর ঋণের আওতায় আসবে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার কৃষক। আড়াই থেকে ৫ শতাংশ জমি থাকলেই কোনো ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র কৃষক হিসেবে বিবেচনা করে এ ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হবে। ঋণ দেওয়ার দুই মাস পর থেকে নেওয়া হবে সুদ। প্রথম ধাপে ক্ষুদ্রঋণের ভলিউম হবে ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় কিছু কৃষক বা বর্গা নেওয়া খামারিদের দেওয়া হবে বড় ঋণ। এর ভলিউম দেড় লাখ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত হবে।

রূপকল্প ২০৪১: দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র সঞ্চয় যোজন প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এসএফডিএফ)। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ১৪৯ কোটি টাকা। আগামীকাল বুধবার (১ জুন) পরিকল্পনা কমিশনের একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় ১১ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন প্রান্তিক কৃষক। কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এ ঋণ বিতরণ করা হবে। এ ঋণের ১১ শতাংশ সুদহারকে সুদ না বলে সার্ভিস চার্জ বলছে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। এ ঋণ হবে জামানতবিহীন। ১ শতাংশ আবার কৃষক ফেরত পাবেন। ১ শতাংশ যাবে তহবিলে। দেশের দুইশো উপজেলার কৃষকের মাঝে এ ঋণের টাকা বিতরণ করা হবে।

ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (আইসিটি, পরিকল্পনা ও ডকুমেন্ট) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পটি বুধবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্প অনুমোদনের পর এ ঋণের আওতায় আসবে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র কৃষক। ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন অলাভজনক সংস্থা। আমরা ১১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নিই। এটা সুদ নয়, সার্ভিস চার্জ। ব্যাংক ঋণের সঙ্গে এর তুলনা করলে হবে না। আমরা কৃষকের ঘরে ঘরে গিয়ে ঋণ দিয়ে আসি। এ কাজে এনজিওগুলো ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ সুদ নেয়। আমরা নিচ্ছি ১১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ। ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আবার কৃষকদের ফেরত দেওয়া হবে। আমরা প্রফিট করি না, আয় থেকে ব্যয় হবে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৪৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হলেও লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্কসহ একাধিক অনুচ্ছেদে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ২৭৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকল্পে ক্ষুদ্রঋণ ৮৬ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ ২০ কোটি ৬০ লাখ এবং বিশেষ উৎসাহ তহবিল বাবদ ১০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এ অর্থ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৭৮ শতাংশ প্রায়। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর ৩০ জুন ২০২৪ সাল নাদাগ বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্প এলাকা: বর্তমানে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দেশের ৩৬টি জেলার ১৭৩টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি আরও ২৭টি নতুন উপজেলায় সম্প্রসারণসহ ২০০টি উপজেলায় বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রান্তিক চাষিদের জামানতবিহীন ঋণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। উৎপাদনশীল বা আয়বর্ধক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য দেশের ক্ষুদ্র কৃষকের আর্থিক সক্ষমতা অত্যন্ত অপ্রতুল। এরই ধারাবাহিকতায় পল্লি অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের একটি সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আর্থিক সহায়তা, উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আরও ২৭টি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করে মোট ২০০টি উপজেলায় ক্ষুদ্রঋণ বাস্তবায়নের জন্য রূপকল্প ২০৪১: দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র সঞ্চয় যোজন শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ২০০টি উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন। প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম উদ্দেশ্য ২০২৪ সালের মধ্যে সুফলভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু আয় চার হাজার টাকা বাড়ানো।

প্রকল্পের মেয়াদকালে ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া সুফলভোগীদের নিজস্ব সঞ্চয় ও প্রকল্পের অর্জিত সার্ভিস চার্জের ১ শতাংশ সঞ্চয় যোজনের মাধ্যমে মাথাপিছু সঞ্চয় দুই হাজার ৫০০ টাকা বাড়ানো হবে। প্রকল্প মেয়াদে ২০ হাজার সুফলভোগীর আয়বর্ধক কার্যক্রম পরিচালনা ও সচেতনতায় দক্ষতা বাড়ানোও অন্যতম উদ্দেশ্য। সুফলভোগীদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও বাড়ানো হবে। ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার কল্যাণ, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিয়ে রোধ, নারী নেতৃত্বের বিকাশ, নারীর ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ, শিশু অধিকার সংরক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণের যথাযথ ব্যবহার, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, মাতৃত্ব ও শিশুস্বাস্থ্য ইত্যাদি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণ ও উৎসাহ দেওয়া হবে প্রকল্পের আওতায়।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম: গ্রাম পর্যায়ে দুই হাজার চারটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক উন্নয়ন কেন্দ্র গঠন এবং ১০ হাজার সুফলভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবেন ১৭৩ জন উপজেলা ব্যবস্থাপক ও ৪৬৮ জন মাঠ কর্মকর্তা। প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার ২০০টি উপজেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিন কোটি প্রান্তিক কৃষক। তাদের মাসিক আয় আট হাজার টাকার মতো। প্রকল্পভুক্ত ২০০টি উপজেলায় দারিদ্র্য বিমোচন এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এসব উপজেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ অন্যতম স্বীকৃত পন্থা।

বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিভিন্ন ধরনের সংগঠন সমন্বিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বিশেষভাবে পল্লি এলাকার দরিদ্র, যারা কার্যত সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫ একর চাষযোগ্য জমির মালিক- এরূপ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র কৃষককেন্দ্রিক। ক্ষুদ্রঋণের সহজলভ্যতা প্রান্তিক এসব কৃষককে দারিদ্র্যসীমার নিচে নামা রোধ করতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ১৯৭৬ সালে কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহ জেলার তিনটি সদর থানায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষুদ্র কৃষক ও ভূমিহীন শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করে। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই দেশে সর্বপ্রথম জামানতবিহীন ঋণদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীসময়ে এ কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রসার লাভ করে। এরপর সরকার ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা এসএফডিএফ নামে স্বতন্ত্র একটি সংগঠন গড়ে তোলে। গরিব, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের সমস্যা সমাধানই এর মূল উদ্দেশ্য।


আরও খবর
আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যুব‌কের মর‌দেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদ থেকে এক যুবকের মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ট্রেন চলাকালে কোনো গা‌ছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লে‌গে হা‌নি‌ফ (৩০) না‌মের ওই যুব‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে ব‌লে ধারণা কর‌ছে রেলও‌য়ে পু‌লিশ।

মৃত হানিফ জয়পুরহাটের আমতলী উপ‌জেলার আমতলী গ্রামের হান্নানের ছেলে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে মর‌দেহটি উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশ‌ন মাস্টার মো. শাহীন বলেন, ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে আসার পর ছা‌দের ওপর ওই যুব‌কের মর‌দেহ আটকে থাকতে দেখা যায়। প‌রে সেখান‌ থেকে মর‌দেহ‌টি টাঙ্গাইল স্টেশ‌নে পা‌ঠি‌য়ে দেওয়া হ‌য়।

ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর বলেন, হানিফ মিয়া পঞ্চগড় থেকে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছিল। পথিমধ্যে কোথায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালে মর‌দেহটি উদ্ধার করা হয়। এখন রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরিবারের লেকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মর‌দেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



রাখাইনে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ২৩ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা। আহত হয়েছে আরও ৩৩ জন।

সোমবারের (১৮ মার্চ) এই বোমা হামলা সামরিক শাসকরা বিনা উসকানিতে চালিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। খবর ইরাবতীর।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সোমবার সকালের দিকে দুটি বোমা থার্ডার গ্রামে ফেলা হয়। এতে গ্রামটির ধর্মীয় গুরু, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানসহ ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বোমা হামলায় আহত ১৮ আহতকে চিকিৎসা দিচ্ছে আরকান আর্মি (এএ)। আর স্থানীয় ক্লিনিক থেকে আরও ১৫ আহত চিকিৎসা নিয়েছেন।

ইরাবতী জানিয়েছে, থার্ডার গ্রামে ৩০০ বাড়িতে দুই হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। বোমা হামলার পর তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে তারা আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী নেয় সান লিয়ন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে অপরাধ করছে তার জন্য তারা কখনও শাস্তি পায়নি। তারা শুধু রোহিঙ্গা নয়, অন্যান্য জাতিগত মানুষের সঙ্গে অপরাধ করে চলেছে। এই অপরাধগুলো তখনই শেষ হবে যখন এর দায়মুক্তি শেষ হবে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিনবিয়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় এএ। এরপর থেকেই সেখানে ক্রমাগত বিমান হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী। ইরাবতী জানিয়েছে, সিত্তওয়েতে অবস্থিত জান্তা ব্যাটালিয়নরা ৮ মার্চ রাত ১১টার দিকে মিনবিয়া শহরে গোলাবর্ষণ করে।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শনিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন তিনি। আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।

নতুন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। যাদের সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এ দিকে, অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএপের সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


আরও খবর



মুম্বাইয়ে নয় জনের সঙ্গে একঘরে রাত কাটিয়েছেন নোরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিগ বস-এ তার উপস্থিতির মাধ্যমে রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নোরা ফাতেহি। এরপর একের পর এক ছবি, মিউজিক ভিডিওর হাত ধরে এখন বিশ্বব্যাপী এক ঘরোয়া নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রের জন্য সকলের মন জয় করেছেন নোরা। কিন্তু, একটা সময় বলিউডে পা রেখেই নোরা বুঝেছিলেন সফরটা এতোটা সহজ নয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে, নোরা তার স্বপ্নের শহর মুম্বাইতে এসে কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরোক্কান নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহিকে মুম্বাই শহরে এসে ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, প্রথম যখন এখানে এসেছিলেন নয় জনের সঙ্গে একটি ঘর শেয়ার করে থাকতেন। নোরা এই রুমমেটদের সাইকোপ্যাথ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, আমি তিন বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্টে নয়জন সাইকোপ্যাথের সাথে থাকতাম যেখানে আমি অন্য দুই মেয়ের সাথে ঘরটি ভাগ করে নিতাম। সেখানে থাকাকালীন আমি ভাবতাম, আমি কীসের মধ্যে পড়েছি? আমি এখনও সেই ট্রমার মধ্যে আছি।

সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু অডিশনের সময় ভয়ানক অবস্থা হতো আমার। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতাম না। নিজেকে খুব বোকা বলে মনে হত। কিন্তু কিছু মানুষ তো ক্ষমা করেন না। সামনাসামনি হাসাহাসি করতেন তারা। বলতেন, আমি সার্কাস থেকে এসেছি। খুব অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে আমার। বাড়ি ফেরার সময় কাঁদতাম।

এছাড়া নোরা এজেন্সিগুলির হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যে শোষণের সম্মুখীন হয়, তাও তুলে ধরেছিলেন। তাকে সামান্য বেতন দিত সেই এজেন্সি। সেই সময়ে ডিম-পাউরুটি খেয়ে বেঁচে ছিলেন বলে জানান নোরা।

বিগ বস ৯ সিজনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নোরা। সে সময় প্রিন্স নারুলার সঙ্গে তার রোম্যান্টিক লিঙ্ক আপ আলোচিত হয়েছিল। বিগ বসের বাড়িতে তাদের প্রেম শিরোনাম তৈরি করতো।

বিগ বসের পর তাকে দেখা যায় ব্লকবাস্টার বাহুবলী ছবির একটি নাচের দৃশ্যে। ক্যারিয়ার শুরু হয় সেই থেকে। ঠিক মতো হিন্দি বলতে পারতেন না অভিনেত্রী। অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন নোরা। ধীরে ধীরে বলিউডের অন্দরমহলে নিজের জায়গা করেছেন তিনি।


আরও খবর