ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) বিমা কোম্পানির কাছ থেকে এ অর্থ পেয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিএসসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। অলভিয়া বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে অবস্থানকালীন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়। এতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়া, পাইলট না পাওয়া এবং বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন ইত্যাদি কারণে অলভিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় ইনার অ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর ওই বছরের ২ মার্চ একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আঘাত হানে। এতে জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন এবং জাহাজের ব্রিজরুমসহ সব নেভিগেশন টুলস সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিএসসি আরও জানিয়েছে, জাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জাহাজের হাল বিমাকারী রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশনকে অবহিত করে ফরমাল নোটিশ অব এবানডান (পরিত্যক্ত) প্রদান করা হয় এবং কনস্ট্রাকটিভ টোটাল লস (সিটিএল) দাবি উপস্থাপন করা হয়।
গত বছরের ১৬ জুন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত নাবিক ও তাদের পরিবারের মাঝে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার বিমা দাবির ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। বিমা চুক্তির ব্লকিং অ্যান্ড ট্রপিং ক্লজ অনুযায়ী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিটিএল সাইকেল সমাপ্ত হওয়ার পর বিমাকারী ও পুনঃবিমাকারী দাবির ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দাবি করা ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন থেকে বিমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বিমাকারী সাধারণ বিমা করপোরেশন বিএসসিকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত ২১ মার্চ বিএসসির স্থানীয় ব্যাংকে গৃহীত হয়।
সাধারণ বিমা করপোরেশন থেকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাপ্তির মাধ্যমে বিএসসি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের বর্তমান বাজারমূল্যের সমপরিমাণ অর্থ আদায় করতে সক্ষম হয় বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।