আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যেভাবে শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সময়ের সঙ্গে বাবা-মা উভয়ই কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ তো সন্তানকে শান্ত রাখতে বেছে নিচ্ছেন মোবাইল ফোন। খাওয়ানোর জন্য বা কাজের সময় মোবাইলে গান বা কার্টুন চালিয়ে দিচ্ছেন। শিশুরা কিছু না বুঝলেও হা করে তাকিয়ে থাকছে মোবাইলের পর্দার দিকে। এইভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় তাদের। এর বাজে প্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে। তবে ভয়ের কিছু নেই। চাইলেই শিশুর মোবাইল ফোনের আসক্তি দূর করা সম্ভব।

সন্তানকে সময় দিন

বাবা-মার কাছ থেকে পযার্প্ত সময় পায় না বলেই,  শিশুদের মোবাইলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। শিশুর আসক্তি কাটাতে হলে আপনাকে সময় দিতে হবে।  প্রতিদিন সন্তানের জন্য দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন। এই সময়ে শিশুর সঙ্গে গল্প করুন, খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকুন, মাঝে মাঝে বিকালে সময় করে ঘুরতে নিয়ে যান, বই পড়ে শোনান। পড়াশোনা ছাড়া নাচ-গান-আঁকা-খেলাধুলো যেদিকে ওর আগ্রহ আছে, তাতে বেশি করে উৎসাহ দিন।

শিশুর সামনে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের হাতে স্মার্টফোন দেখলে সে-ও স্মার্টফোন ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আপনাকে সারাক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে দেখলে শিশুরাও তাই করবে। শিশুর সামনে কাজের প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আলাদা রুমে গিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করুন।

সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন

শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন। গাছ লাগানো, কবুতর পোষা, পাখিকে খাবার দেওয়া, কাগজ কেটে এটা-সেটা বানানো ইত্যাদি কাজে মজা পেয়ে গেলে শিশু মোবাইল ফোনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

নির্দিষ্ট কাজে মোবাইল ব্যবহার

শিশু যদি অনলাইনে ক্লাস করে, তা হলে ইন্টারনেটে আর কী করছে সে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চেষ্টা করুন শিশুরা মোবাইল দেখলে যেন তথ্যমূলকই কিছু দেখে।

প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা দুটি দিকই সন্তানকে বোঝাতে হবে। প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করুন সন্তানদের সঙ্গে। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী বিপদ হতে পারে, সে সব বিষয়েও সতর্ক করুন।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয় জানবেন, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বলল আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? নিউজে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করুন, কী কারণে এইটা এই পর্যায়ে এল তাও জিজ্ঞেস করুন? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার... এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয় জানবেন, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি? ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের জন্য? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে, এই মুহূর্তের যে প্রবণতা... এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

ব্যাঙের বিয়ে! তা-ও মহা ধুমধাম করে। বিয়ের জন্য ছায়ামণ্ডপ, পুষ্পমাল্য, গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। শুধু তা-ই নয়, বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী। নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত নাগশোষা গ্রামে এ আয়োজন করা হয়।

সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। নেই বৃষ্টির দেখা। অধিকাংশ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে তীব্র তাপদহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রকৃতি যেন পানির জন্য আহাকার। তাই বৃষ্টির আশায়লালপুরে বাড়ি বাড়ি চালডাল তুলে ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে বছর তাদের এলাকা অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে, সেই বছরই তারা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের এই ধরনের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এটিকে ব্যাঙ্গা-ব্যাঙ্গির বিয়ে বলা হয়। বংশ পরম্পরায় তারা এই রীতি পালন করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়।

আয়োজকরা জানান, তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। জমিতে চাষাবাদের জন্য নেই পানি পাওয়া। ইতোমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। এ কারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কুমার ও রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, সনাতন রীতি অনুযায়ী অনেক বছর ধরে এই প্রথা চালু আছে। অনাবৃষ্টি হওয়ায় এই গ্রামের সবাই মিলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে এক প্রকার বিশ্বাস ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে ভগবানের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে।

এদিকে লালপুর উপজেলা জনপ্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানির লেয়ার পরীক্ষা করে দেখা গেছে গড়ে ৩২ ফিট নিচে নেমে গেছে। যা সাধারণত ২০/২২ ফিট থাকে। কোথাও যেন সুপেয় পানি সংকট না থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, চলতি মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির অভাবে রবি শস্য এবং আম, লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। খরা মোকাবেলায় কৃষি বিভাগ থেকে ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেও ।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে আসছে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চলতি সপ্তাহজুড়ে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী শনিবার এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, সিলেবাস শেষ করতে মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি বাড়ছে না কি ক্লাস কমিয়ে আগামী রবিবার থেকে খুলছে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

যদিও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, মাধ্যমিকের মতো ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে দুয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্য ছুটি বাদে ১৮০ দিনের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকার কথা। এর মধ্যে তাপপ্রবাহের কারণে অনির্ধারিতভাবে পাঁচ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই ছুটি দীর্ঘায়িত হলে সিলেবাস শেষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এসব চিন্তা করেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

গতকাল বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিকের ছুটি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এখন আগামী রবিবার থেকে ক্লাস কমিয়ে খুলছে নাকি ছুটি বাড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া অনলাইন ক্লাস চালুর কথাও ভাবছে।

এদিকে, সারাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাঁচদিনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল বুধবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অপরদিকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৫০ জনের ভিসা হয়নি। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১১ হাজার ৭৬৮ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৩৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ১০ হাজার ৩৫০ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদন করার সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। সেই সময়ের মধ্যেও সকল হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। পরে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এখনো ভিসা কার্যক্রম চলছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর