আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে তিন সদস্যের অনুপস্থিতিতে ড. ইউনূস ও অন্য ১৩ সদস্য শপথ গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের দপ্তর বণ্টন করেছেন।

উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতিতে কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টারা দায়িত্ব পালনকালে কী কী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। কারণ, ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যমান সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের বেতন ও সুযোগ সুবিধার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা নেই।

তবে, বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সমান পদমর্যাদাসম্পন্ন হবেন প্রধান উপদেষ্টা। একইভাবে মন্ত্রীর সমান মর্যাদার বলে গণ্য হবেন উপদেষ্টারা। সেই হিসাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সব সুযোগ-সুবিধাই ভোগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীদের সব সুবিধা ভোগ করবেন উপদেষ্টারা। পরবর্তীতে দায়িত্বপালন শেষ করে তারা যখন সরকার ছাড়বেন, তখন তারা সবাই সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব ছাড়ার পরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই বছর আবাসিক সুবিধা ভোগ করবেন।

দ্য প্রাইম মিনিস্টার'স (রেমুনারেশেন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন মাসে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া তিনি মাসিক বাড়ি ভাড়া পান ১ লাখ টাকা, দৈনিক ভাতা পান ৩ হাজার টাকা। একই সুবিধা ভোগ করবেন বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও।

প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ছাড়াও, যাতায়াত খরচ, বাড়িভাড়া, ডেইলি অ্যালাউন্স, ইনস্যুরেন্স সুবিধা, কূটনৈতিক পাসপোর্ট, নিজ দপ্তর এবং অন্য টেলিফোন ব্যয়, চিকিৎসা সেবাসহ আরও অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন সরকারপ্রধান; যার পুরো ব্যয়ভারই রাষ্ট্রের। নতুন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জন্যও এসব খরচ পুরোটাই বহন করা হবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা সাধারণত নির্বাচিত হওয়ার পর একটা সরকারি বাসভবন পান। এর সাজানো থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। কেউ চাইলে নিজের বাড়িতে অথবা অন্য কোথাও বাড়িভাড়া নিয়েও থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সেই বাড়িও সরকারি টাকায় অত্যাধুনিক বিলাসবহুল করে সাজিয়ে দেওয়া হবে। বাড়িভাড়া হিসেবে প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা পান প্রধানমন্ত্রী। তার বাড়ির নিরাপত্তায় থাকেন স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা। বর্তমান উপদেষ্টাও একই সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে বঙ্গভবন সূত্র।

প্রধানমন্ত্রীর মতো প্রধান উপদেষ্টাকেও বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, পানির বিল যত খরচই হোক না কেন, সবকিছুই দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। দেশ এবং দেশের বাইরে যাতায়াত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে টাকা খরচ হয়, তাও সম্পূর্ণ বহন করে রাষ্ট্র। দেশের মধ্যে ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে, তার জন্য বরাদ্দ থাকে বিলাসবহুল রেলওয়ে সেলুন কোচ। পরিবারের কোনও সদস্য থাকলে, তারাও ফ্রিতে যাতায়াত করতে পারেন রেলে। এছাড়াও বিমানে ভ্রমণে যে খরচ হয়, তাও বহন করে রাষ্ট্র। আকাশপথে ভ্রমণের সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে, বাৎসরিক ২৫ লাখ টাকার ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ পান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও প্রতিদিন তিন হাজার টাকা পান তিনি। প্রধান উপদেষ্টাও একই সুবিধা ভোগ করবেন।

একইভাবে মন্ত্রিসভার একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমান বেতনভাতা ও আনুষঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা। দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী, একজন মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী কাউকেই তাদের বেতনের জন্য কোনো কর পরিশোধ করতে হয় না। সেক্ষেত্রে একজন উপদেষ্টাকেও রাষ্ট্র একই সুবিধা দেবে।

সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, একজন মন্ত্রী দৈনিক ভাতা পান দুই হাজার টাকা। নিয়ামক ভাতা পান মাসে ১০ হাজার টাকা। স্বেচ্ছাধীন তহবিল থাকবে ১০ লাখ টাকা। মোবাইল ফোন কেনার জন্য পান ৭৫ হাজার টাকা। সরকারি খরচে সার্বক্ষণিক গাড়ি পান মন্ত্রীরা। ঢাকার বাইরে অফিশিয়াল ট্যুরের জন্য অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি পান, যার যাবতীয় খরচ বহন করে সরকার। সেই মোতাবেক উপদেষ্টারাও একই সুবিধা ভোগ করবেন।

এছাড়া উপদেষ্টারা সরকারি খরচে রেল ভ্রমণ ও বিদেশ ভ্রমণের খরচ পাবেন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকারের একজন পূর্ণমন্ত্রী বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসভবনের সুবিধা পান। তার বাসার গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোনসহ ভবনটির যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ সরকার বহন করে সরকার। সরকারি বাসায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ছাড়াও বাড়ি ভাড়া বাবদ ৮০ হাজার টাকা, সেইসঙ্গে বাড়ি ব্যবস্থাপনা খরচ ও সব ধরনের সেবা খাতের বিল, বিমান ভ্রমণের জন্য বিমা সুবিধা হিসেবে ৮ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন একজন মন্ত্রী। এছাড়াও মন্ত্রীরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী পান। বাসস্থান থেকে অফিস বা অফিস থেকে বাসস্থানে যাতায়াতের জন্য খরচ পান। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ খরচও পান তারা। এছাড়া অন্তত দুজন গৃহকর্মীর ভ্রমণের খরচ পান একজন মন্ত্রী। এই সবগুলো সুবিধাই নতুন সরকারের উপদেষ্টারা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একজন মন্ত্রী উপসচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব ও জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেডের দুজন কর্মকর্তা পান। আরও পান একজন জমাদার ও একজন আরদালি, দুজন এমএলএসএস এবং একজন পাচক বা পিয়ন। এসব সুবিধাও দেওয়া হবে উপদেষ্টাদের।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহাবুব হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর মতো রাষ্ট্রের নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন। উপদেষ্টারাও মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। সেক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের বিদ্যমান সব সুযোগ-সুবিধাই ভোগ করবেন।


আরও খবর



বঞ্চিতদের পদোন্নতি না দিলে কঠোর ও লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে প্রশাসন বাদে বাকী ২৫ ক্যাডারের বৈষম্যমূলক ভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত নবম থেকে ২২ তম বিসিএস ব্যাচের যুগ্ম সচিব বা তদুর্ধ্বে পদে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিলে কঠোর ও লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেনন ক্যাডারগুলোর সমন্বয়করা।

শনিবার রাতে নগরীর অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত ২৫ ক্যাডারের সমন্বয়কদের এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় আন্দোলন চালিায়ে যাওয়া ও প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে তাদের দাবি গুলো নিয়ে কথা বলার জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংগঠন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সংগঠনের নাম দেওয়া হয় সুপেরিয়র অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (সাব)।

এ সময় সর্বসম্মতিক্রমে কর ক্যাডারের ড.মোহাম্মদ নুরুল আমিনকে সংগঠনের মুখপত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সভায় বিভিন্ন ক্যাডারের ২৫ জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

তারা হলেন-সমবায় ক্যাডারের মো.সাইফুল ইসলাম, আনসার ক্যাডারের ডক্টর মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ ক্যাডারের ড.মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, মৎস্য ক্যাডারের কৃষ্ণেন্দু সাহা, কর ক্যাডারের ডক্টর নাসিদ রিজওয়ানা মনির, ডাক ক্যাডারের কেএম আবুল কালাম আজাদ, তথ্য প্রকৌশল ক্যাডারের আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ বালিগুর রহমান, তথ্য সাধারণ ক্যাডারের মাসুদা খাতুন, আনসার ক্যাডারের ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান খান, খাদ্য ক্যাডারের ধরিত্রী কুমার সরকার, শিক্ষা ক্যাডারের ইয়াসমিন আক্তার, প্রাণিসম্পদ ক্যাডারের শহীদ আতাহার হোসেন, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারের নজরুল ইসলাম আজাদ, গণপূর্ত ক্যাডারের মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ডা. আবুল কাশেম মোহাম্মদ কবির, ডাক ক্যাডারের মো.মনির হোসেন, তথ্য ক্যাডারের একে এম ফজলুল হক, কৃষি ক্যাডারের অশোক কুমার রায়, টেলিকম ক্যাডারের ওয়ালীউল্লাহ, গণপূর্ত ক্যাডারের তানজিলা খানম, নিরীক্ষা ক্যাডারের এ এসএম লোকমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মো.জাহাঙ্গীর আলী খান, ঢাকা ম্যাস রেপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের এ বি এম আরিফুর রহমান।

সভা শেষে সংগঠনের মুখপাত্র ডক্টর নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ আগস্ট সোমবার জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের কাছে পদোন্নতি বঞ্চিতদের প্রমোশনসহ তারা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো উত্থাপন করেছেন।

১৪ আগস্ট একই দাবিতে দ্বিতীয় দফায় সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তাদের পদোন্নতির জন্য দাবি উত্থাপন করেছেন। জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ এবং জ্যেষ্ঠতাসহ পদোন্নতি প্রদানের জন্য নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।

আগামী ২১আগস্টের মধ্যে তারা আমাদের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছি। তারাও আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়েছেন।

ড.নুরুল আমিন বলেন, আজ রোববার আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইবো। যদি ২১ আগস্ট এর মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। একই সঙ্গে দাবি বাস্তবায়নে যা যা করার সবকিছু করব।


আরও খবর



নিখোঁজের দুইমাস পর রেহানার লাশ উদ্ধার, আটক ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

নিখোঁজের দুই মাস পর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রেহেনা পারভিনের (৩৭) লাশ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহাম্মদ মুঈদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বিষয় তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার জানান, গত দুইমাস আগে নিখোঁজের পর অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ ও হাইকমিশন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেহেনা পারভিনের অবস্থান সনাক্ত ও উদ্ধারে তথ্য চেয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বার্তা পাঠান। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর নিখোঁজ রেহেনার মা আইরিন আক্তার বাদি হয়ে রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার চারদিন পর দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় অভিযান পরিচালনা করে আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করে।

পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও লাশ গুমের তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়ার নয়ারহাট মৌনদিয়া চৌরপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ রেহেনার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরো জানান, মূলত রেহেনা ও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো। চলতি বছরের ৬ জুন রেহেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে আসে। একই মাসে তার স্বামী দেশে এসে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে কৌশলে রেহেনাকে আশুলিয়া নিয়ে হত্যা করে এবং  অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করে অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নিহতের পরিবারের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে নবাবগঞ্জ থানার পরিবেশ। জরিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।


আরও খবর



রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে রাজস্থানের বারমেরের কাছে একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন বিমানের পাইলট। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী জানায়, ফাইটার জেটটি উড্ডয়নের পর এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিমান থেকে প্যারাসুটের সাহায্যে বের হয়ে যান পাইলট।

বারমেরের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র মীনা পিটিআইকে বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাতে বিমানটি বারমেরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাটি জনবহুল এলাকা থেকে দূরে ঘটেছে। দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে দমকল বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। দুর্ঘটনার কারণ বিস্তারিতভাবে জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ট্রাকচাপায় ২ পোশাকশ্রমিক নিহত, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

Image
গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেপরোয়া গতির একটি মালবাহী ট্রাকের চাপায় পোশাক কারখানার দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরও তিনজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ট্রাকটি আটক করে আগুন দিয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে জেলার ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলাধীন হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকরা ওই এলাকার স্টারলিং কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্টারলিং নামে ওই কারখানায় দুপুরের বিরতি দিলে শ্রমিকরা খাবার খেতে বের হন। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অতিক্রম করার সময় উত্তরবঙ্গগামী মালবাহী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে এসে শ্রমিকদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন আরও ৩ জন। আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে কারখানার অন্যান্য শ্রমিক ও স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে।

গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শ্রমিকরা ট্রাকে আগুন এবং সড়ক অবরোধ করেছে।


আরও খবর



যমুনায় চলছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠক চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক শুরু হয়েছে। তার আগে সকাল ১০টা থেকে উপদেষ্টাদের যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। বৈঠকটি দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। 

এদিকে গত ২৭ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ পাঁচ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহামদ ইউনূস ছয়টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে ১৬ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়। তার আগে ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।

পরদিন ৯ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সবশেষ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। নতুন উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।


আরও খবর