আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

যে যুগে ওজন কমাতে ফিতা কৃমি খেতেন নারীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।

এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।

তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।

এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।

এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।

খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।

অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!

মেঝে থেকে ভাঙা কাচের টুকরো পরিষ্কারের সহজ উপায়

কাচের কোনো জিনিস মেঝেতে পড়ে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায়। এসব ছোট ছোট টুকরো খালি চোখে দেখতে পাওয়া কঠিন। এগুলো পুরোপুরি সরিয়ে না ফেললে পায়ের তালুতে বিঁধে যেতে পারে। শিশুদের গায়েও বিঁধতে পারে। টর্চ জ্বালিয়ে খুব সহজেই এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাচের টুকরাগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলা যায়।

কাচের টুকরো শনাক্তে টর্চ

কাচের জিনিস মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেলে সাবধানে নড়াচড়া করতে হবে। ঘরে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়াই ভালো। এরপর প্রথমে ঘরটিকে অন্ধকার করতে হবে। অন্ধকার করার পর মেঝের দিকে টর্চ তাক করলে কাচের টুকরাগুলো জ্বলজ্বল করবে। সেই সঙ্গে মেঝেতে টুকরোগুলোর বিপরীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছায়া পড়বে। কাচের টুকরাগুলো ভালোমতো দেখতে সাবধানতার সঙ্গে মেঝের দিকে যতটা সম্ভব ঝুঁকতে হবে।

ভাঙা কাচের টুকরো নিরাপদে পরিষ্কার করতে

হাতে রাবার অথবা মোটা চামড়ার গ্লাভস পরে নিতে হবে। টর্চ ব্যবহার করে ছোট ছোট কাচের টুকরো শনাক্ত করার আগে সাবধানে বড় টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ঝাড়ু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম টুকরোগুলো ঝাড়ুতে লেগে যাবে এবং পরে ঝাড়ুটি ব্যবহারের সময় মেঝেতে আবার কাচের টুকরা ছড়িয়ে যাবে।

তাই সাবধানতার সঙ্গে বড় টুকরোগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলাই ভালো। এরপর বাকি ক্ষুদ্র টুকরোগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলতে হবে।

পাউরুটি ব্যবহার করে

পাউরুটির একটি স্লাইস ব্যবহার করে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাচগুলো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য টর্চ জ্বালায়ে রাখা অবস্থায় হাতে গ্লাভস পরে কাচের টুকরোগুলোর ওপরে পাউরুটির টুকরো চেপে ধরতে হবে। এতে পাউরুটিতে কাচের টুকরোগুলো লেগে যাবে।

আলু ব্যবহার করে

ঘরে পাউরুটি না থাকলে বড় আকারের আলু ব্যবহার করেও কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য একটি আলু অর্ধেক করে কাটতে হবে। সেই আলুর অর্ধেক কাটা অংশ কাচের ওপরে চেপে ধরতে হবে। এতে কাচগুলো আলুর সঙ্গে উঠে যাবে।

ভেজা টিস্যু

টাওয়েল বা টয়লেট টিস্যু ভিজিয়ে কাচের টুকরোগুলোর ওপর রাখলে সেগুলো টিস্যুতে লেগে যাবে। আর এভাবে কাচের টুকরোগুলো সহজেই পরিষ্কার করা যাবে।

টেপ ও লিন্ট রোলার

টেপ (স্কচ টেপও হতে পারে) ও লিন্ট রোলার ব্যবহার করেও মেঝে থেকে কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। লিন্ট রোলার হলো একধরনের আঠালো টুল যা বিভিন্ন স্থানে ঝরে পড়া পোষা প্রাণীর লোম পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়।

এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও দ্বিতীয়বার টর্চ জ্বালিয়ে নিশ্চিত হতে হবে, যেন কোনো কাচের টুকরো বাদ না পড়ে।

সতর্কতা: এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল ও হাতে গ্লাভস পরতে হবে। আর কাচসহ পাউরুটি বা আলুর টুকরাগুলো এমন স্থানে ফেলতে হবে যেন শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে থাকে।


নিউজ ট্যাগ: ফিতা কৃমি

আরও খবর



তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণ প্রজন্মদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

রবিবার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য মেলায় উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাত করণের দিকেও নজর দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। দেশের শিল্পখাতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন না হলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। এর ওপর গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ। পণ্য পরিবহন, সঞ্চালন, আমদানি ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।’


আরও খবর



ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ। এ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

নতুন মডেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭টি মডেলের ফ্রিজ। এছাড়াও আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্প্রিট টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইঞ্চির ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের প্রোডাক্টস উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান।

অনুষ্ঠানে সারাদেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ননস্টপ মিলিয়নিয়ার অফারের বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করা হয়। নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল ও মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।

এছাড়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার ও পরিবেশকগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।


আরও খবর



গ্রীষ্মে নতুন রুপে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রকৃতি থেকে কিছুদিন আগেই বিদায় নিয়েছে বসন্ত। ‌ঋতুর পালাবদলে আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বাংলা বর্ষপঞ্জির বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে রুক্ষতার ছাপ। তবে গ্রীষ্ম তার নিষ্প্রাণ রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে মেলে ধরেছে অপার সৌন্দর্য।

তেমনই গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়ে সবুজ প্রকৃতি আর লাল ইটপাথরে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস যেন হরেক রকম ফুলের ফসরা সাজিয়ে বসেছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কনকচূড়া, বাগানবিলাস, জবা, বেলী কাঠগোলাপ, মাধবীলতাসহ রঙ-বেরঙের বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ দ্যুতি ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

গাছঠাসা ফোটা এসব ফুলের মিষ্টি সুবাসে পাগল প্রায় পাখি আর প্রজাপতিরা। রাজ্যের সব ফুল যেন এখানেই জড়ো হয়েছে। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। দেখেই মনে হবে, এ যেন এক স্বপ্নের বাগিচা। সেখানে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের ফুল। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাসের এই নির্মল সৌন্দর্য উপভোগ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে, শহীদ মিনার, মুন্নী সরণি, চৌরঙ্গী এলাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনের সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত হচ্ছে ক্যাম্পাস। জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনের পুকুরপাড়, শহীদ মিনার ও মুরাদ চত্বর এলাকা সেজেছে হলুদ কনকচূড়ার।

এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, শান্তিনিকেতন এলাকা ও মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বেগুনি শোভা ছড়াচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক জারুল।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ সালাম-বরকত হলের পাশে, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রর পাশে , বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ও চৌরঙ্গী এলাকায় শোভা ছড়াচ্ছে সাদা ও গোলাপি রঙের মিশ্রণের ফুল ক্যাশিয়া রেনিজেরা ও ক্যাশিয়া জাভানিকা। ক্যাসিয়া রেনিজেরা ফুল লালন করছে অন্য রকম সৌন্দর্য। শ্বেতশুভ্র ভিনদেশি এ প্রজাতির ফুলগাছের আদি নিবাস জাপান। এর স্নিগ্ধ রূপ ও রং বৈচিত্র থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে  সোনালু, জবা, বেলী, মাধবীলতাসহ অসংখ্য ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রঙিন ফুলের সমাহার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। প্রকৃতির রুক্ষতা ও যান্ত্রিকতার রুদ্ধশ্বাস ভুলিয়ে যা আমাদের দেয় অপার স্বস্তি ও অনাবিল শান্তি। প্রকৃতি আমাদের বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের দৃশ্য মানুষকে প্রকৃতির সংরক্ষণ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আনিকা ইনতিসার বলেন, গ্রীষ্মের এই তাপদাহে চোখ মেলে তাকানোই যখনই দুষ্কর, তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন মন জুড়ানো লাল হলুদ সব ফুল দেখে শান্তি পাচ্ছি। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া তাদের লাল কমলা সংমিশ্রণ সবুজের মাঝে সজ্জিত হয়ে আছে। শহীদ শুভ্র স্নিগ্ধ রূপের জাপানি ক্যাসিয়া রেনিজেরো ও শোভা ছড়াচ্ছে। মৃদু হলুদ রঙের সোনালুর ছায়াতে বৈশাখের গান শুনতে বা কবিতা পড়ার আনন্দ অন্যরকম। রং পুকুরে ফুলের ছবি কিংবা রাস্তার ধারে ধারে দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া নয়নাভিরাম পুষ্পরাজি যেকোন নিমিষেই ক্লান্ত মনকে দুরন্ত করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও গবেষক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় মিলে মোট ৯১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে মাত্রাধিক উৎসব পালন এবং ছাত্রদের অসচেতনতার কারণে গাছের নিচে প্রায়ই পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতলের মতো অপচনশীল বর্জ্য জমা হয়ে থাকে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের প্রকৃতি।

নিউজ ট্যাগ: গ্রীষ্মকাল

আরও খবর



আফগানিস্তানে বন্যায় অর্ধশত নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যার কারণে অন্তত ২ হাজাার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ভারি বর্ষণে বন্যার সৃষ্ট হয়। গত সপ্তাহের বন্যার ক্ষতি এখনো তারা সামলে উঠতে পারেনি। তারমধ্যেই আবারও আকস্মিক বন্যা হলো আফগানিস্তানে।

ঘোর এলাকার পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বদ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার বন্যায় ঘোর প্রদেশের ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

সেন্ট্রাল ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মাওলাভি আবদুল হাই জাইম ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের দুর্যোগে কতজন আহত হয়েছেন তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

জাইমের মতে, প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহ-তে কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, চার হাজার বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কমপক্ষে দুই হাজার দোকান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শত শত হেক্টর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান জলবায়ু-জনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। ২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে সাহায্য তহবিলের ঘাটতির মুখে পড়েছে আফগানিস্তান।


আরও খবর



বায়ুদূষণে ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাজধানী ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেগাসিটি ঢাকাতেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলার পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হলেও বায়ুমানে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বৃস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা দূষণের দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকাতে ১৭০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৬২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। এছাড়াও ১৩৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং যার স্কোর ১২৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এ তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।


আরও খবর