আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে কারণে অপহরণ করা হয়েছিল এনবিআর কর্মকর্তাকে

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে অপহরণের হাত থেকে প্রাণে বাঁচলেন এক যুগ্ম কমিশনার। নির্যাতনের শিকার মাসুমা খাতুন এনবিআরের যুগ্ম কমিশনারের (ট্যাক্স) কর অঞ্চল-২-এ কর্মরত। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাজনিত কারণে ভুক্তভোগী তার গাড়ি চালককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এলিট ফোর্স। শনিবার (২৬ আগস্ট) কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছে এলিট ফোর্স।

সংবাদ সম্মেলনের র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, নারী যুগ্ম কর কমিশনারকে অপহরণের পর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি মো. মাসুম ওরফে মাসুদসহ জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- মো. আব্দুল জলিল ওরফে পনু ও মো. হাফিজ ওরফে শাহনি।

র‌্যাব জানায়, গত ১৭ আগস্ট রাত সোয়া ৮টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন নারী যুগ্ম কর কমিশনারকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে অপহরণ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর ১৮ আগস্ট রাজধানীর মাদারটেক এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় ভিকটিম তার সাবেক গাড়ি চালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২০/১৭৩। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার মাসুদ ভুক্তভোগীর গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১ আগস্ট ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাজনিত কারণে ভুক্তভোগী তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। ফলে গ্রেফতার মাসুদের মধ্যে ভুক্তভোগীর প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রোশের সৃষ্টি হয়। মাসুদ জানান, তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামী হারুন অর রশিদ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ভুক্তভোগীকে উচিত শিক্ষা দিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মাসুদকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখান।

মাসুদের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুন অর রশিদ তাকে অগ্রিম ৭০ হাজার টাকা দেন এবং কাজ সম্পাদনের পর তাকে আর ড্রাইভিং করতে হবে না এবং উন্নত জীবনযাপন করার সব ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় গ্রেফতার মাসুদ তার সহযোগী হাফিজ, পনু, রাজু, সাব্বির, সাইফুল ও শান্তকে পরিকল্পনার কথা জানান এবং সবার মধ্যে ওই টাকা বণ্টন করে দেন। তারা রাজধানীর বেইলি রোড এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেন। ভুক্তভোগীর বর্তমান গাড়ি চালকের সঙ্গে গ্রেফতার হাফিজের সুসম্পর্ক থাকায় ভুক্তভোগীর অবস্থান গাড়ি চালক থেকে জেনে মাসুদকে জানান।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৭ আগস্ট রাত আটটায় তারা রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অবস্থান নেন। ভুক্তভোগী রাত সোয়া আটটায় রাজধানীর মগবাজার থেকে নিজ গাড়িযোগে বেইলি রোড এলাকায় পৌঁছালে তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশা দিয়ে ভুক্তভোগীর গাড়ির গতিরোধ করেন।

এ সময় ভুক্তভোগীর ড্রাইভার মোটরসাইকেল ও রিকশা সরানোর জন্য নামলে তাকে মারধর করেন এবং মাসুদ ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এসময় গ্রেফতার পনুসহ অন্যান্য সহযোগীরা গাড়িতে উঠে বসে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে হাতিরঝিলের দিকে নিয়ে যান। অপহরণের বিষয়টি ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামীকে জানান। তখন ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামী তাদের হাতিরঝিলে একটি বাসার ঠিকানা বলে দেন এবং তাকে সেখানে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা ওই বাসার মেইন গেইট বন্ধ পাওয়ায় ভুক্তভোগীকে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে করে ঘুরে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

পরে আনুমানিক রাত ১২টায় কাঁচপুর এলাকায় গ্রেফতার মাসুদের পরিচিত একটি গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং তার কাছে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। পরে তাকে নিয়ে অপহরণকারীরা ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মাদারটেক এলাকায় যান এবং জুমার নামাজ পর্যন্ত অবস্থান করেন।

এ সময় গ্রেফতার মাসুদ ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের জুমার নামাজের পর সেখানে নিয়ে যেতে বলেন। পরে দুপুরে খাবারের সময় হলে মাসুদ, রাজু ও সাব্বির খাবার আনতে যান এবং পনু, সাইফুল ও শান্ত গাড়ি বাইরে পাহারায় থাকেন। এসময় সুযোগ বুঝে ভুক্তভোগী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে সাইফুল, সাব্বির ও রাজুকে আটক করে এবং গ্রেফতার মাসুদ, পনু ও শান্ত কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে ভুক্তভোগীকে হেফাজতে নেয় এবং সাইফুল, সাব্বির ও রাজুকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।

গ্রেফতার মাসুদ গত ২৫ বছর ধরে গাড়ি চালান। তিনি ইতঃপূর্বে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চালাতেন। বাস চালানোর সময় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজনের নিহতের ঘটনায় তার নামে মামলা হলে তার ভারী যান চালানোর লাইসেন্সটি বাতিল হয়। এছাড়া তিনি গাড়ি চুরিসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ওই ঘটনার পর তিনি রাজধানীর বাবুবাজার এলাকায় তার এক বন্ধুর বাসায় এবং গাজীপুর শ্রীপুর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকেই র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার পনু পেশায় একজন সিএনজি চালক। একই এলাকায় বসবাস করার কারণে মাসুদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। ওই অপহরণের ঘটনায় মাসুদ তাকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা অগ্রিম দেন।

গ্রেফতার হাফিজ দূরপাল্লার বাস চালাতেন। ২০২২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেট যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার ফলে তার চাকরি চলে যায়।  একই পেশা এবং একই এলাকায় বসবাসের কারণে মাসুদের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। অপহরণের ঘটনায় মাসুদ তাকে পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুমার সাবেক স্বামী হারুনুর রশিদের বড় মগবাজারের বাসায় তার ছোট ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে কথা হয়। মতিঝিল আইডিয়ালের দশম শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান জানায়, মাকে দেখে থানায় কান্নায় ভেঙে পড়ি। তার চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। সে বলে, আমি জন্মের পর থেকে দেখে আসছি বাবা-মায়ের মধ্যে বিরোধ চলছে। প্রথমদিকে আমরা সবাই একই ফ্ল্যাটে থাকলেও পরে পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটে মা-বাবা আলাদা থাকতেন। আমি বাবার সঙ্গে এবং দুই বোন মায়ের সঙ্গে থাকতেন। ২২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দুটি বাবা কিনেছেন। একটি বড় বোনের নামে কেনা হয়েছে। বোনের বিয়ের পর একই ভবনে আরেকটি ফ্ল্যাট নেওয়া হয়। কিন্তু বোন ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন না। আমাদের সবার অগোচরে সেখানে মা তার দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে সময় কাটাতেন। তারা যে বিয়ে করেছেন-সেটি আগে জানতাম না। একদিন বাবা দুজনকে একসঙ্গে বেডরুমে দেখার পর, বাসায় অনেক ভাঙচুর করেন। ওইদিন দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেন মা।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, মাসুদ ও তার সহযোগীরা পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। মাসুদের পরিকল্পনাতেই এ ঘটনা ঘটেছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই সব জানা যাবে। এছাড়া এ অপহরণের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা সেটিও জানা যাবে। রমনা থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তাই এ নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করব না।


আরও খবর



সাভারে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার। অভিযানের সময় স্বপন নামে তাদের আরও এক সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে এদিন সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাভারের বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ ও একই ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে মোসা. পপি আক্তার (২০)।

এ ঘটনায় পপি আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী স্বপন পলাতক আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই যুবলীগ নেতা এই যুবলীগ নেতা ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপনের সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকায় এক সময় মাদক কারবার করতেন স্বপন। পরে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এ সময় মাদক কারবারি পপি ও আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩০০টি ইায়াবা ট্যাবলেট পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ করে সাভার ও বিরুলিয়ায় সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।


আরও খবর



নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

টেইলর সুইফট মানেই যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার এক কারিগর! নিজের নতুন অ্যালবাম দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট দিয়েও নতুন করে এক রেকর্ড গড়লেন সময়ের অন্যতম সেরা এই পপতারকা। বিশ্বের জায়ান্ট সব মিউজিক প্লাটফরমে মুক্তির প্রথম দিন সর্বাধিকবার শোনার রেকর্ড গড়েছে অ্যালবামটি।

গত কয়েক বছর ধরেই ক্যারিয়ারের সোনালি সময় পার করছেন মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট। একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন গায়িকা।

সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রি থেকে শুরু করে তার কনসার্টের সর্বোচ্চ আয় কিংবা নিজের মিউজিক্যাল কনসার্টের ফিল্ম প্রকাশ, যা বক্স অফিসে চালিয়েছে তাণ্ডব। কি নেই তার নামের পাশে! এবার নিজের সর্বশেষ অ্যালবাম দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট দিয়ে নিজের আগের রেকর্ড নিজেই ছাড়িয়ে গেলেন টেইলর সুইফট। গায়িকার ১১ তম স্টুডিও অ্যালবাম দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক সংখ্যক স্ট্রিম অর্জন করে সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গেছে। অ্যালবামটি প্রকাশের দিন প্রায় ৫৫২.২ মিলিয়নের বেশি স্ট্রিমিং অর্জন করেছে।

টেইলর সুইফটের এই অ্যালবামটি অ্যাপল মিউজিকের প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি স্ট্রিম করা পপ অ্যালবাম হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। অ্যামাজন মিউজিকে মুক্তির প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি স্ট্রিমিং অর্জন করেছে অ্যালবামটি। স্পটিফাইয়েও ইতিহাস তৈরি করেছে অ্যালবামটি। মিউজিক প্লাটফর্মটিতে দিনে সবচেয়ে বেশি শোনা অ্যালবাম এখন দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট

১৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট অ্যালবামটি। এতে রয়েছে ফোর্টনাইট, টিটিটিপিডি, ডাউন ব্যাড, সো লং, লন্ডন, মাই বয় অনলি ব্রেকস হিজ ফেভারেট টয়, বাট ড্যাডি আই লাভ হিম, ফ্লোরিডা, আই ক্যান ডু ইট উইথ অ্যা ব্রোকেন হার্ট, হু ইজ অ্যাফ্রেড অব লিটল ওল্ড মি?, ফ্রেশ আউট দ্য স্লামার, গিলটি অ্যাজ সিন?, আই ক্যান ফিক্স হিম (নো রিয়েলি আই ক্যান), দ্য অ্যালকেমির সহ মোট ৩১টি গান। অ্যালবামের প্রথম ১৬টি গান উন্মুক্ত করা হয় যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে। ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই আসে বাকি ১৫টি গান।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে বিশ্বরোডের সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক অবরোধ করেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং- দুই দিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল (আজ) সকালে ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংকক পৌঁছান। তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর