আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যে কারণে মৌলভীবাজারে কমলা চাষে বিপর্যয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারে অনাবৃষ্টিতে ফুল ঝড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে কমলার ফলনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বাগানের জায়গায় সাফারি পার্ক নির্মাণের ঘোষণার পর থেকে চাষিরা হতাশায় বাগান পরিচর্যা করেননি আগের মতো। এতে আশানুরূপ ফলনও হয়নি। মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা জুড়ী। এলাকার লাটিটিলা বনভূমির লালছড়া, রূপাছড়া, শুকনাছড়ার টিলায় টিলায় ছোট বড় কমলার গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে সবুজ কমলা।

কৃষি বিভাগ কমলা লেবুর ফলন বৃদ্ধির জন্য জাত পরিবর্তন করে হাতে নিয়েছে নতুন প্রকল্প। লাটিটিলার ৯৬ হেক্টর ভূমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এসব কমলার মধ্যে রয়েছে নাগপুরি, খাসি, ছাতকী, চায়নিজ কমলা। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে এর ব্যাপক চাষ হয় বলে ফলটির এ নামকরণ হয়েছে। তবে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লালছড়া গ্রামের কমলা চাষি মুর্শেদ মিয়ার বাগানে বিভিন্ন জাতের কমলা চাষ হচ্ছে। চলতি বছর বৃষ্টির পরিমাণ কম ও সাফারি পার্ক নির্মাণের ঘোষণায় চাষিদের মন বসেনি বাগান পরিচর্যায়। এতে আশানুরূপ ফলনও হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মুর্শেদের বাড়ির চারপাশে টিলার ঢালে সারি সারি কমলাগাছ। তবে আগের মতো গাছভর্তি ফল নেই। স্থানীয় জাতের কমলার পাশাপাশি সেখানে রয়েছে বেশ কিছু চায়নিজ কমলার গাছ। চায়নিজ কমলার গাছ ও ফল স্থানীয় জাতের চেয়ে আকারে ছোট। ঘুরে ঘুরে বাগান দেখার ফাঁকে কথা হয় বঝি টিলার জালাল মিয়া ও শুকনাছড়ার রাজ্জাক মিয়া ও মুর্শেদ মিয়ার সঙ্গে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জাতের কমলার চাষ করছেন। তাদের বাগানে স্থানীয় জাতের কয়েকশ কমলাগাছ রয়েছে।

অনেক দিন আগ থেকে হায়ছড়া, লালছড়া, শুকনাছড়া, রুপাছড়া, জরিছড়া ও কচুরগুল গ্রামের লোকজন বিছিন্নভাবে নিজ উদ্যোগে কমলা চাষ করে আসছেন। ২০০১ সালের দিকে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ এলাকায় নতুন রূপে কমলা চাষ শুরু হয়। মুর্শেদ মিয়া সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার একটি নার্সারি থেকে কৌতূহলী হয়ে ১৮০টি চায়নিজ কমলাগাছের চারা কিনে আনেন। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে লাগান এসব চারা।

জালাল মিয়া বলেন, চায়নিজ কমলার একেকটি গাছে এক থেকে দেড় হাজার ফল ধরেছে। কার্তিক মাসের শেষ দিকে ফল পুরোপুরি পাকবে। তখন বিক্রি শুরু করবেন। স্থানীয় জাতের কমলায় রোগবালাই বেশি দেখা দেয়। তবে চায়নিজ কমলায় এখনো রোগবালাই দেখা দেয়নি।

জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে যেসব বাগান আছে সেখানে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে এ বছর বৈরী আবহাওয়ায় ফলন আগের মতো হয়নি। আব্দুল গফুর,মুর্শেদ মিয়াও জয়নুল মিয়ার বাগানের চায়নিজ কমলার ফলন সরেজমিনে দেখাশোনা চলছে। মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে ফুল ঝড়ে গিয়ে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ লেবুজাতীয় ফসল সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পে স্থানীয় জাতের ফসল বারি কমলা-১ বারি কমলা-৩ ও দার্জিলিং কমলার চারা উৎপাদন করে কমলাচাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

মুর্শেদ মিয়া বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফলটির বীজ থেকে চারা উৎপাদন করি। ছোট আকারের কমলার জন্ম চীনে। সে কারণে বাজারে এটা চায়নিজ কমলা নামে পরিচিত। স্থানীয় জাতের চেয়ে চায়নিজ কমলা মিষ্টি বেশি। ফলে অনেকেই সেটা পছন্দ করে। কৃষি বিভাগ নতুন জাতের চারা দিয়েছে আমরা রোপণ করেছি। কমলার ফলন ভালো না হলেও বাজারে দামে বিক্রি করতে পারলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

কমলা চাষি মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম বলেন,আর কিছুদিন পরেই দেশি জাতের কমলা বাগানের গাছ থেকে সংগ্রহ হবে। এসব কমলা পাইকারদের কাছে বিক্রি হবে। এ বছর খরায় ফুল ঝড়ে গেছে। তারপর অসময়ে বেশি বৃষ্টিতে অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে এই শঙ্কায় আছি আমরা। সব মিলিয়ে কমলার অবস্থা আগের মতো নেই। তিনি আরও বলেন, সাফারিপার্ক নির্মাণের খবর শুনে হতাশায় এলাকার মানুষ কমলার পরিচর্যা ছেড়ে দিয়েছেন। কমলার বাগান থাকবে কি? না, আমরা থাকব কি? না, এমন ভাবনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দুটি কমলাবাগানে ৩০০ গাছ রয়েছে। ফলন সম্পর্কে জানতে চাইলে ছালেহা বললেন, এইবার কমলার ফুল ঝড়ে যাওয়ার পরও মোটামোটি ফল আসছে।

এলাকাবাসী জানান, লালছড়ার আশপাশের হায়ছড়া শুকনাছড়া, রুপাছড়া, জরিছড়া ও কচুরগুল গ্রামের টিলায় টিলায় রয়েছে কমলার বাগান। বিপর্যয়ের পরও বিভিন্ন বাগানে এবার আশানুরূপ না হলেও কমলার মোটামুটি ফলন হয়েছে। এখানকার কমলা দেশি জাতের। আকারভেদে ১০০ কমলা ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। সিলেট, কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও চট্টগ্রামের ফলের আড়তদারেরা এখান থেকে কমলা কিনে নেন। এখানে বছরে কোটি টাকার কমলা বেচা-কেনা হয়। বানর ও কাঠবিড়ালি ফল নষ্ট করে ফেলে। সে কারণে পুরোপুরি পাকার আগেই চাষিরা কমলা পেড়ে বিক্রি করে ফেলেন। জেলার ১৫৪ হেক্টর টিলাভূমিতে কমলার চাষ হয়। গাছের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ। ব্যক্তি মালিকানাধীনসহ বাগান আছে ১৯৩টি।

মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, কমলা চাষিদের উৎসাহিত করেছেন। সাময়িক সমস্যার পরও আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কমলা চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে তাই নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া উপজেলায়। কমলা চাষিদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমান বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ১০টা ৬ মিনিটে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। ১০টা ২৮ মিনিটে বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছেন।

বিমানবাহিনীর YAK130 ট্রেনিং ফাইটার বিমানটি খুঁজতে ডুবুরি, ফায়ার ফাইটার, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের নাবিকরা কাজ করছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সড়কের আনোয়ারা প্রান্তে মাইক্রোবাস-সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ একই পরিবারের চার জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০ টার দিকে টানেল সড়কের বৈরাগ গোল চত্বরে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সিএনজিচালক খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ জামাল, রায়হান, শরীফ, ইয়াসমিন আকতার, মোহাম্মদ রায়হান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে চট্র-মেট্রো (চ ৫১-১৪৪১) সিরিয়ালের নোহা মাইক্রোবাস গাড়িটি টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারার বৈরাগ গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিও অটোরিক্সার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে সিএনজি অটোরিকশাসহ একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আনোয়ারা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, টানেল সড়কে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। গাড়ি দুইটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।


আরও খবর



কালশী পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোরিকশা চালকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা। রবিবার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।


আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর