আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে কারণে বাড়ছে ডিমের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ৩০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাল-ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়তি। এবার বাড়তি দামের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আমিষের অন্যতম উপাদান ডিম। যা নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে পড়া ক্রেতাদের আরও কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর প্রতিদিনের আমিষের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখে ডিম। কিন্তু অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় ডিম কেনা থেকে বিরত থাকছেন অধিকাংশ ক্রেতা। 

মাছ, মাংসের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যদিনের খাবারের তালিকায়  জায়গা নিয়েছিল ডিম। কিন্তু সেই ডিমের দামও এখন আকাশ চুম্বি। ১১-১২টাকার কমে বাজারে প্রতি পিস বয়লার মুরগির ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। যা আগে ৮টাকা করে বিক্রি হতো। অর্থাৎ ৯৬ টাকা ডজনে বিক্রি হওয়া ডিম খুচরা বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়।  রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ডিমের আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা মো. জুলহাস নামে ক্রেতা বলেন, দামের কারণে তো মাছ, মাংসের বাজারে যাওয়া যায় না। এমন সময় আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এখন ডিমের দামও যেভাবে বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে আর কিছু দিন পর ডিমও ঘরে নেওয়া যাবে।

তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ডিমের বাজার এখনই স্থিতিশীল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সামনে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম বৃদ্ধির তিনটি কারণ। প্রথমত, পোলট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি, হাঁস মুরগীর রানিক্ষেত রোগে প্রচুর ক্ষতি ও গ্রাম পর্যায়ে খামার বন্ধ হয়ে যাওয়া।

তেজগাঁওয়ে গত ৩০ বছর ধরে পাইকারিভাবে ডিম বিক্রি করছেন আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ও লাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন। কিন্তু রোজার মাসের আগে এবং রোজার মাসে খুচরা বাজারে ডিম বিক্রি হতো ৯৬-১০০ টাকায়। আর হাঁসের ডিম ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন বড় কোম্পানি: ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পাইকারি এ ব্যবসায়ী বলেন, পোলট্রি ফিড তৈরির ৮০ শতাংশ উপাদান আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক মার্কেটে এসব উপাদানের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফিডের দাম বেড়েছে। ফলে খামারিরা লোকসান থেকে বাঁচতে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সামনে আরও দাম বাড়তে পারে। গ্রামে ছোট ব্রয়লার মুরগির খামারগুলো লোকসানে পড়ে গত কয়েক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ডিমের বাজারে এখন‌ একচ্ছত্র আধিপত্য বড় বড় কোম্পানিগুলোর। তাই এদের সিন্ডিকেটের কারণেও ডিমের বাজারে অস্থিরতা। বেশি দামে বিক্রি করে বেশি লাভ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের লাভ কমে গেছে। দাম কম থাকলে আমাদের বেশি লাভ হয়। কিন্তু দাম বাড়তি থাকলে আমাদের লাভ কম হয়। কারণ দাম বেড়ে গেলে বিক্রি কমে যায়। আর বিক্রি কম হলেই তো লাভ নেমে যায়।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ডিমের আড়তদার মো. ইউনুস বলেন, আমাদের এখন ১০০ পিস ডিম (লাল) কিনতে হচ্ছে ৯১০-৯৫০ টাকায়। আর বিক্রি করছি ১ হাজার টাকায়, কিন্তু এক মাস আগে সাড়ে ৭০০ টাকা কিনতে পারতাম। বেশি দামে কিনে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ডিমের দাম বাড়িতে কেন চানতে চাইলে তিনি বলেন, নানা কারণে বিশ্বব্যাপী ভুট্টা ও গমের দাম বেড়ে গেছে। পোলট্রি ফিড তৈরি করতে এ দুটি উপাদান লাগে। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফিডের দাম বেড়েছে আর এর সরাসরি প্রভাব ডিমের দামে পড়েছে। আগে দেখা যেত গ্রাম-গঞ্জে ছোট ছোট অসংখ্য মুরগির খামার ছিল। পোলট্রি ফিডের দামের কারণে তারা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। গ্রামের খামার থেকে কিছু কম দামে ডিম কেনা যেত। কিন্তু এখন ব্যবসা বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে চলে আসায় কম দামে আর ডিম পাওয়া যায় না।

রানিক্ষেতের কারণে কমেছে ডিমের উৎপাদন: তেজগাঁওয়ের এ ব্যবসায়ী বলেন, শীতের শেষে গরমের পর শুরু হয়েছে বৃষ্টির মৌসুম। এ সময় খামারের মুরগি সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় রানিক্ষেত রোগে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে, তাই ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। এতে চাহিদা অনুযায়ী কিছুটা সংকটও রয়েছে। এসবের প্রভাবেই বাজার এখন চড়াও।

আড়তদারদের বিনিয়োগ বাড়লেও লাভ কমেছে: ডিমের আড়ৎদার মো. ইউনুস বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে আমাদের বিনিয়োগ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু লাভ কমে গেছে। আগে যেখানে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলেই হতো, এখন সেখানে বিনিয়োগ করতে হয় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া পাল্লা দিয়ে কমছে ডিমের বিক্রি। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ পিস ডিম বিক্রি হতো এখন সেখানে ৪০-৫০ হাজার পিস বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিক্রিও কমেছে সঙ্গে আমাদের লাভও।

এদিকে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার, শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন পোলট্রি মুরগির ডিম ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ঠিক কি কারণে ডিমের দাম বেড়েছে জানেন না খুচরা বিক্রেতারা। রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের খুচরা ডিম বিক্রেতা মো.বড় মিয়া বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ী একবার বলে পোলট্রি ফিডের দাম বাড়ার কারণে, আবার বলে ডিমের উৎপাদন কম তাই দাম বেশি। আসলে সঠিক কারণ আমরা জানি না।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে বাধা নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে আগামী ৫ মে এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণে আর কোনো বাধা নেই। বুধবার (৮ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভায় শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ৫ জুন উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

এই আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় শুনে আসামী পক্ষ অজ্ঞান হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামকে আসামীরা শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পারিবার পুরাতন কবরে লাশ লুকিয়ে রেখে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়রা ওই কবরে জীবজন্তু খাওয়া অবস্থায় তার লাশের পা দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মোঃ শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর



রাজধানীতে এবার চালু হলো বাসের গেটলক সিস্টেম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যানজট সমস্যা নিরসনে এবার চালু হলো আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম। এর ফলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট পথের যাত্রার সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণ নিরবচ্ছিন্ন ও আনন্দদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে এ কার্যক্রম চালু করা হয়।

গেটলক সিস্টেম চালুর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে শ্রমিকরা আছেন, যাত্রীরা বাসে চলাচল করেন। সুতরাং সকল প্রকার সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যাতে যাত্রীরা কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন। যে কারণে আমরা কখনো কঠোর হই কিংবা একটু নরমভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আন্তঃনগর গেটলক সিস্টেম নগরবাসী ও যাত্রীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী উঠায়। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিই যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী উঠাবে না। এর মাধ্যমে এই এলাকায় যানজট নিরসন হবে। মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বরসহ একটি প্রস্থান পত্র দেওয়া হবে। পরে বনানীতে আমাদের সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি না।

ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত গেটলক সিস্টেম তদারকি করবে। কোনো পরিবহন এ নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর