আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

যে কাজের জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ করছেন আলিয়া ভাট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও বরুণ ধরনের বিপরীতে করণ জোহর পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

সম্প্রতি নতুন ছবি আলফা-তে নাম লিখিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তাকে এ ছবিতে একজন সুপার-এজেন্টের ভূমিকায় দেখা যাবে। অপরদিকে শর্বরী ওয়াঘও এই ছবিতে বিশিষ্টভাবে অভিনয় করবেন। শর্বরী এর আগে পরিচালক শিব রাওয়েলের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবিটির নির্মাণ শুরুর কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন।

অভিনেতা আলিয়া ভাট চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কাশ্মীরে তার অত্যন্ত প্রত্যাশিত স্পাই থ্রিলার আলফা -এর দ্বিতীয় শিডিউলের জন্য আবার শুটিং শুরু করতে চলেছেন।

জুলাইয়ের শুরুতে ওয়াইআরএফ স্টুডিওতে মুম্বইতে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, প্রোডাকশনের পরবর্তী ধাপ কাশ্মীরের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে পৌঁছে যাবে। প্রোজেক্টের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মতে, মুম্বাই শিডিউল শেষ করার পরে, টিম শুটিংয়ের পরবর্তী অংশের জন্য কাশ্মীর যাবে। এই সময়সূচি বেশ সংক্ষিপ্তই হবে। আগস্টের শেষে শুরু হবে এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শেষ হবে।

শিব রাওয়াইল দ্বারা পরিচালিত আলফা গুপ্তচরবৃত্তি এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে কেন্দ্র করে একটি আকর্ষণীয় ড্রামা সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলিয়া ভাট তার ভূমিকার জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি তীব্র অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং স্টান্টের কঠোর প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আলফা-তে আলিয়া একজন সুপার-এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। অপরদিকে শর্বরী ওয়াঘও এই ছবিতে বিশিষ্টভাবে অভিনয় করবেন। শর্বরী এর আগে পরিচালক শিব রাওয়েলের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবিটির নির্মাণ শুরুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। এটি একটি প্রতিশ্রুতিশীল কাস্ট এবং ওয়াইআরএফ স্পাই ইউনিভার্সের সাথে আলফা এর মুক্তির জন্য যথেষ্ট উত্তেজনা এবং প্রত্যাশা তৈরি করছে।

যশরাজ স্পাই ভার্সের প্রথম মহিলাকেন্দ্রিক ছবি আসতে চলেছে। আর তাতে মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন আলিয়া ভাট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে অ্যানিম্যালের পর আবার খলনায়কের চরিত্রে ধরা দেবেন ববি দেওল।


আরও খবর
সৌদির সিনেমা হলে ছয় মাসে আয় ১৩শ কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৫৩ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এর গতি বেড়েছে। আগস্টের প্রথম ২০ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়েছে, চলতি আগস্টের প্রথম ২০ দিনেই দেশে আসা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে ৪০৬ মিলিয়ন ডলার বা ৩৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলছে, গত ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার।

এ ছাড়া গত ২০ আগস্ট এক দিনেই প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১০৯ মিলিয়ন ডলার।

গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যায়। ওই সময় দেশে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব পড়েছিল প্রবাসী আয়ে।


আরও খবর
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট সমর্পণের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার উপদেষ্টা, বিগত মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের সব সদস্যের ব্যবহৃত কূটনৈতিক পাসপোর্ট সমর্পণ বা জমা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া যেসব ব্যক্তি কোনও পদে অধিষ্ঠিত থাকার কারণে কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিলেন, কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন এবং ওই পদে তাদের নিয়োগ বা কর্মকালের অবসান ঘটলে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবিলম্বে সমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার বা সমর্পণের ভিত্তিতে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছেএসব ব্যক্তির মধ্যে যারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, অন্তত দুটি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের অনুকূলে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা যেতে পারে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের বহিরাগমন-৪ শাখার উপ-সচিব মো. কামরুজজামানের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে কেউ যদি কূটনৈতিক পাসপোর্ট সমর্পণ না করেন, তাহলে আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: লাল পাসপোর্ট

আরও খবর



বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়েছেন রানা ফ্লাওয়ার্স। বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে রানা ফ্লাওয়ার্স শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, পানি এবং শিশু অধিকার সুরক্ষাসহ শিশুদের জন্য আবশ্যক সামাজিক সেবাসমূহের মানোন্নয়নে ইউনিসেফের কর্মতৎপরতায় কৌশলগত নেতৃত্ব দেবেন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইউনিসেফ বাংলাদেশ অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই প্রতিনিধি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মিসেস রানা ফ্লাওয়ার্স বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফের জোরালো সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া জলবায়ু সংকট, কিশোর বিচার ব্যবস্থা এবং তরুণদের ভালো কাজ পাওয়ার জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চারের মতো ক্ষেত্রগুলোতেও পরিবর্তন আনার জন্য তিনি দিকনির্দেশনা দেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য শিশু, তরুণ ও তাদের পরিবারগুলোর কথা সব সময় আমার মনে রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের কথাও আমি মনে রেখেছি।

তিনি বলেন, শিশুদের অধিকার রক্ষার প্রতি অঙ্গীকার ও ভালোবাসা থেকেই ইউনিসেফ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে; আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি শিশু ও তরুণেরই রয়েছে মর্যাদা ও অপার সম্ভাবনা; আর এই বিশ্বাস থেকেই আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরকার, বেসরকারি খাত ও ইউনিসেফের দীর্ঘ দিনের অংশীজনদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলার এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনো অনেক কিছু করার রয়েছে। রয়েছে চমৎকার আরও অনেক কাজের সুযোগ।

ইউনিসেফের এই বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরও বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের শিশু ও তরুণেরা যে আহ্বান রেখেছে, তাতে আমি অনুপ্রাণিত। আমরা তাদের কথা শুনছি। ইউনিসেফের পক্ষ থেকে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমার টিম (দল) শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সহায়তায় সম্ভাব্য সব কিছু করবে, যাতে প্রতিটি শিশু বেঁচে থাকতে পারে এবং এমন একটি পরিবেশে তারা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় যেখানে সহিংসতা থাকবে না, থাকবে সমৃদ্ধি ও সবার জন্য সমান সুযোগ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রতিনিধির নেতৃত্বে ইউনিসেফ তাৎক্ষনিক ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিবর্তনের জন্য করণীয়গুলো নির্ধারণ এবং সেগুলো বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এভাবে ইউনিসেফ তার চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি সমান তালে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতন জরুরী অবস্থায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা প্রদানের ন্যায় কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে চালিয়ে যাবে।৷ এছাড়াও প্রতিটি শিশুই গুরুত্বপূর্ণ, সেকারণে শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাসকারী শিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার রক্ষার প্রতি ইউনিসেফ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

জানা গেছে, রানা ফ্লাওয়ার্স অস্ট্রেলিয়ার একজন নাগরিক। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, শিশু উন্নয়ন ও পলিসি অ্যাডভোকেসিতে ৩৫ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি চীন, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া ও বেলিজে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের প্রধান তিনটি কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ সংকট দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। বেশি লোডশেডিং দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন কমেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। একইসঙ্গে জ্বালানির আমদানি নির্ভর এ খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বাড়ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।

দেশে বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।

শেখ হাসিনা সরকার গত পনের বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকার অর্থনৈতিক যে বিপর্যয় রেখে গেছে তারই ফলশ্রুতিতে এই পুরো খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া সম্ভব না হলেও যতটুকু টাকা দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় ততটুকু দিতে হবে।

এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সাময়িক সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডলার পেমেন্ট করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের মূল সমস্যা ডলার সংকট। একে কেন্দ্র করেই অন্য সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে এই মুহূর্তে। একইসঙ্গে বিগত সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।

ডলার সংকট

দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় বারো হাজার মেগাওয়াট। আগে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। অথচ এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ খাত দিনে ১২০ থেকে ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে। এখন ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দিনে গ্যাস আসে একশ দশ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭শে মে থেকে বন্ধ। ফলে এখন সরবরাহ হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট। ফলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং ছিল।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দিনে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল। কিন্তু বকেয়া পরিশোধ না করায় এখন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা। শেখ হাসিনার সরকার ব্যাংক থেকে বন্ড ছেড়ে বেসরকারি খাতের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কমাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের এখনও অনেক বকেয়া রয়েছে।

গ্যাস বিল, সরকারিবেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল, ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল সব কিছু মিলিয়ে পিডিবির বকেয়া টাকার পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, এখন অন্যতম প্রধান সমস্যাই অর্থ সংকট। তাই অন্য খাতে কমিয়ে এখানে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হবে। ডলার জোগাড় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস রেশনিং করতে হবে। তবেই লোডশেডিং এর সংকট সমাধান হতে পারে।

জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে পলিসিগত যে ভুল সবচেয়ে ভয়াবহ হয়েছে সেটা হলো পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা শক্তিশালী অর্থনীতির বিবেচনায় আমদানি নির্ভর করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতির একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাসের পাশাপাশি তেল ও কয়লার ব্যবহার বেড়েছে।

এই জ্বালানির বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর আগে সরকার কখনো নিজেরা প্রাথমিক জ্বালানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথবা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে গুরুত্ব দেয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানির এই আমদানি নির্ভরতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। যা সরাসরি ডলারের ওপর চাপ তৈরি করেছে। আমদানি নির্ভরতার সংকটের দৃষ্টান্ত হিসেবে ২০২২-২৩ সালকে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। জ্বালানি আমদানির জন্য অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় ওই বছর।

এ খাতের সংকট নিরসনে সরকারকে অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যতটুকু অর্থ দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় তা দিতে হবে। 

অপরিকল্পিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও সরবরাহ লাইন না থাকা

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এ খাতকে চরম অব্যবস্থাপনার খাত হিসেবে অভিহিত করেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের হিড়িক পড়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন পাস করে এগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এ আইনের অধীনে দরপত্র ছাড়াই একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতারাও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা নেন।

অনেক পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করা হলেও সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অর্থের অভাবে গ্যাস ও তেল কেনা যাচ্ছে না। এরকম বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি স্থগিত বা রিনিউ করা হয়নি।

দেশের দক্ষিণে চারটি বড় বড় কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো পায়রা, রামপাল, এস আলম এবং মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এগুলোর মোট উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ লাইন না থাকার কারণে এগুলো থেকে বিদ্যুৎ ঢাকার দিকে আনা যাচ্ছে না। অথচ তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়।

তারা বলছেন, এখন ক্যাপাসিটির অসুবিধা নেই। কিন্তু সরবরাহ লাইনের সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ৬০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করার কারণে এই সেক্টর বেশি প্রভাবিত বলে জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



ভারতবিরোধী পোস্টে লাভ রিয়েক্ট, ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশি ছাত্রীকে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতবিরোধী একটি পোস্টে লাভ রিয়েক্ট দেওয়ায় আসামের জাতীয় প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (এনআইটি) থেকে এক বাংলাদেশি ছাত্রীকে বহিষ্কার করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) পুলিশের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২১ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে বাংলাদেশি ওই শিক্ষার্থী ভর্তি হন। সম্প্রতি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত বিরোধী পোস্ট এবং এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর জের ধরে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ইনস্টিটিউটটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় শিলচরের সাবেক শিক্ষার্থী। সে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মন্তব্যের স্ক্রিনশর্টও শেয়ার করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে সোমবার সকালে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত বর্ডার করিমগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বেলা ১১টার দিকে তাকে কড়া নিরাপত্তায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

ওই শিক্ষার্থী দেশের ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং রোববার সে ছুটিও নিয়েছিল বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি শিলচরের কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, আসামের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে বাংলাদেশের প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে অধ্যায়ন করছেন।


আরও খবর
নিউইয়র্কে হতে পারে ইউনূস-শেহবাজ বৈঠক

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪