আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যে ১০ দেশের ভিসা পাওয়া সবচেয়ে কঠিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ভিসার। কোনো কোনো দেশ অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিলেও বেশিরভাগ দেশে যাওয়ার জন্য আগেই ভিসা নিতে হয়। আপনার পাসপোর্টে যদি কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে বেশিরভাগ দেশের ভিসা পেতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবে কিছু দেশ আছে, যারা ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। চলুন জেনে নিই, কোন কোন দেশের ভিসা পেতে আপনাকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে।

রাশিয়া: রাশিয়া খুব সহজে বিদেশিদের ভিসা দেয় না। এই দেশটির ভিসা পেতে আপনাকে বেশ জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। জটিলতার কারণ হলো, ফরমে থাকা প্রশ্নের সংখ্যা। সেই সঙ্গে গত ১০ বছরে আপনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন, সেসব তথ্যও দিতে হবে।

চীন: চীনের ভিসা পাওয়াও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বেশ কিছু দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৭২ ঘণ্টার জন্য চীন ভ্রমণ করতে পারে। কিন্তু এর বেশি সময় থাকতে হলে প্রয়োজন ভিসা, যার প্রক্রিয়া কিছুটা ক্লান্তিকর। সব ধরনের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েই চীনের ভিসার জন্য আবেদন করুন। চীনের ভিসা পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

ইরান: ইরান ভ্রমণের জন্য ভিসার আবেদন করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভেরিফিকেশন কোড। মনে রাখবেন, আপনার পক্ষে কোডের আবেদন করবে ইরানের একটি সরকারি ট্রাভেল এজেন্সি এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোড দেবে। দেশটিতে ই-ভিসা চালু হলেও প্রক্রিয়া সহজ হয়নি।

তুর্কমেনিস্তান: ভিসার কঠোর নীতিমালার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে কম ভ্রমণ করা দেশগুলোর একটি তুর্কমেনিস্তান। যারা এই দেশ ভ্রমণ করতে আগ্রহী, তাদের তুর্কমেন স্টেট মাইগ্রেশন সার্ভিসের তিন কপি ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে তুর্কমেনিস্তানের কোনো স্পন্সরের দাওয়াতপত্র লাগবে। এটি পেতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগে।

সৌদি আরব: পর্যটকের জন্য ই-ভিসা চালু করলেও আগের মতো সব নিয়মকানুন মানার পর আপনি এই দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন, পর্যটক হিসেবে আপনার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সৌদি আরবে ভিসার কঠোর নীতিমালার অন্যতম কারণ হলো প্রতিবছর এখানে হজ করতে যাওয়া বিপুল সংখ্যক হাজি।

পাকিস্তান: পাকিস্তানে যেতে চাইলে ভ্রমণপিপাসুদের প্রথমেই স্পন্সর জোগাড় করতে হবে। স্পন্সর পাকিস্তানের কোনো ব্যক্তিও হতে পারে, আবার ট্যুর কোম্পানিও হতে পারে। স্পন্সরকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র, ভ্রমণকারীর সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য জমা দিতে হবে।

কিউবা: মূলত আমেরিকানদের জন্য কিউবার ভিসা পাওয়া কঠিন। দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি না পেলে আমেরিকানদের পিংক ট্যুরিস্ট কার্ড দেওয়া হয়, যা অন্য দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন ট্যুরিস্ট কার্ড থেকে আলাদা।

আফগানিস্তান: রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আফগানিস্তানে যাওয়া কোনোভাবেই সহজ বিষয় নয়। বেশিরভাগ দেশের সরকারই তাদের নাগরিকদের এই দেশে যেতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, চীন, ইরান ও তাজিকিস্তানের মতো দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে আর ভিসার আবেদন করতে হবে না।

উত্তর কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার ভিসা পাওয়া ভীষণ কঠিন। এর জন্য এমন ট্যুরিস্ট এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, যারা রাষ্ট্র অনুমোদিত ট্যুর দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া অথবা আমেরিকান পাসপোর্টধারীরা এই দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। যদি আপনি ভিসা পেয়েও যান, তবুও ইচ্ছামতো দেশ ঘুরে দেখতে পারবেন না। কারণ আপনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না বা দেশটির নেতাকে নিয়ে বাজে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে নিজের মতো হাঁটা বা হোটেল থেকে বের হওয়াও মানা।

শাদ: খুব সুন্দর দেশ শাদও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। দেশটির ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া বেশ ক্লান্তিকর। কারণ, এই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য তাদের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। আরও মজার বিষয় হলো, আবেদন ফরম শুধু ফরাসি ভাষায় পাওয়া যায়। তার মানে আবেদনকারীর এই ভাষা জানা ছাড়া উপায় নেই।


আরও খবর



ভারতের যেখানেই যাই অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই: কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নির্বাচন করছেন কঙ্গনা রানাউত। প্রচার অনুষ্ঠানে তার একেকটা বিতর্কিত মন্তব্য যেন টক অব দ্য টাউন।

সম্প্রতি এক প্রচার অনুষ্ঠানে ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে করেছেন নিজেকে তুলনা। আর সেখানেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী।

অমিতাভের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য, ভারতের যে প্রান্তে যাই, অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই। আমি ছাড়া তার পর ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ এতটা সম্মান পাননি।

ভোট প্রচারের অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেন, গোটা দেশ হয়রান, কঙ্গনা রাজস্থান যাক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি যাক বা মণিপুর এত সম্মান পাই মানুষের কাছ থেকে যে নিঃসন্দেহে বাজি ধরে বলতে পারি, অমিতাভ বচ্চনের পর ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ এত সম্মান পাননি।

বিজেপির তারকা প্রার্থীর এমন মন্তব্যে বিনোদন দুনিয়া তো বটেই, এমনকি বিরোধী শিবিরগুলোর মধ্যেও শোরগোল পড়ে গেছে। গেরুয়া শিবির সমর্থকেরা যদিও অভিনেত্রীর বুকের পাটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তাই বলে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের পরই নিজেকে দেখছেন! দিনদুপুরে স্বপ্ন দেখছেন নাকি কঙ্গনা? উঠেছে প্রশ্ন।

ক্যারিয়ারের ভাটার মাঝেই রাজনীতির ময়দানে নেমে প্রথম থেকেই লাইমলাইটে কঙ্গনা রানাউত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪২৬ জন।

এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও পরে আবার কিছুটা কমেও যায়।

শুক্রবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ দশমিক ৩৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে। খবর রয়টার্সর।

এদিকে, তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বাভাসের চেয়ে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানের রয়েছে।

এর আগে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম বেড়েছিল। কিন্তু দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত না বাড়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে যায়। যদিও এখন আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

শেষ প্রান্তিকে এক দশমিক ছয় শতাংশ মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাণিজ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেক ভালো করছে।


আরও খবর



সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান, মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর