আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ভরা মৌসুমেও আলুর দাম নিয়ে বিপাকে নীলফামারীর চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নীলফামারী প্রতিনিধি:

ভরা মৌসুমে আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর কৃষকরা। লাভ তো দুরের কথা খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন হাজারো কৃষক। যার কারণে জমি থেকে আলু তুলতে চাচ্ছেন না তারা।

কৃষকরা বলছেন বিঘা প্রতি আলু উৎপাদনে খরচ ১৫-১৬ হাজার টাকা, যেখানে বর্তমান বাজার দর ৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি আসে ১২টাকার টাকার কিছু বেশি। সে হিসেবে লোকসানে থাকতে হবে আলু নিয়ে।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে এখনো আলু তোলা ও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার অনেক সময় রয়েছে। সে কারণে কৃষকদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা দফতরটি কর্মকর্তাদের।


নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আলু চাষী রশিদুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে আলু করেছি আমি। এখন বাজার দর অনেক খারাপ। পাঁচ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জমিতে। এই দামে বিক্রি করলে লাভ তো দুরের কথা খরচ উঠবে না।

পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার কৃষক জগদিশ রায় জানান, এক বিঘা জমিতে আলু করেছি আমি। ১৫হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়। এবার দাম কম মনে হচ্ছে। আলুর ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজার তর ভাবিয়ে তুলছে আমাকে।

কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, এবারে জেলায় ২২হাজার ৩শ হক্টরে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৩১০ হেক্টরে। যেখানে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪লাখ ৪৯হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন।

এদিকে আগের মৌসুমে (গেল বছর) ২২হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ উৎপাদন হয় ৪লাখ ৪৮হাজার ১৫০মেট্রিক টন।

এই এলাকায় সাগিতা, সেভেন, কারেজ, রোমানা, ডায়মন্ড, গ্রানুলা, এ্যাস্টোরিজ, বিরি আলু ৩৭, ৫৭সহ বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ হয়ে থাকে। এরমধ্যে সেভেন, গ্রানুলা, সাগিতা, কারেজ জাতের আলু বেশি আবাদ হয়ে থাকে।

জেলা শহরের পাইকারী আলু ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, আলুর এখন ভরা মৌসুম। সে কারণে দাম কম। আমরা পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় কিনছি আর বিক্রি করছি ছয়টাকা দরে। তবে মাসখানিক পরে আলুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, গতবছর এই সময়েও ভালো বাজার ছিলো কিন্তু এবার অনেক কম। কৃষকরা তাৎক্ষনিক মুল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন কিন্তু সংরক্ষণের বিষয়টি ভাবেন না। সংরক্ষণ করলে লাভবান হওয়া যায়।

তিনি বলেন, এই এলাকায় আরো হিমাগার স্থাপন প্রয়োজন। তাহলে কৃষকরা হাতের নাগালে আলু সংরক্ষণে উদ্যোগী হবেন।


নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল আলম ডাবলু বলেন, এই জেলায় যে পরিমান আলু উৎপাদন হয়, তা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু কৃষকরা আলু দাম পান না।

আমি মনে করি সরকারী ভাবে আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং আলু দিয়ে তৈরিকৃত খাদ্যদ্রব্য কারখানা স্থাপন জরুরী। তাহলে আলুর ব্যবহার বাড়বে এবং আলুর খাদ্যদ্রব্যও পাওয়া যাবে এই এলাকায়। সেক্ষেত্রে আলুর বাজার দরে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আপাতত বাজার দর কম কিন্তু এই অবস্থা থাকবে না। যেভাবে হোক আলুগুলোকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

কারণ মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে সে কারণে ওই এলাকায় আলু ভালো ফলন হয়নি। এসব বিবেচনা করে আলু সংরক্ষণ করে রাখলে মাস দুয়েক বা তিনেক পর ভালো দাম আসবে।

তিনি বলেন, জেলায় ১১টি হিমাগার রয়েছে। এগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে আলু রাখার জন্য। এছাড়া সরকারী ভাবে বিএডিসি’র বীজ উৎপাদন খামারে একটি বীজ হিমাগার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। সেটি হয়ে গেলে অনেক উপকৃত হবেন কৃষকরা।


আরও খবর



আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ নয়, বরং এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা ভিসা নীতির প্রয়োগ নয়। এটি এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ। সেখানে এপ্রোপিয়েশন একটা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।


আরও খবর



এমপি আনারের আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে খুন হয়েছেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ২২ মে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তবে এখন পর্যন্ত এমপি আনারের লাশ পাওয়া যায়নি। মরদেহ পাওয়া না গেলে সংসদে তার আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনেরও ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব পরিচালনার জন্যও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

১২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত সফরে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৭ মে থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন তাঁর নিখোঁজের বিষয়ে উত্তর কলকাতার বরানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সেখানকার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকায় গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কাছে বাবার নিখোঁজের অভিযোগ দেন।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে রাতে খুন করা হয় আনোয়ারুলকে। কলকাতা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।

দেশের আর কোনো সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। এ ক্ষেত্রে মরদেহ পাওয়া না গেলেও কীভাবে তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে, তা নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে।

এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, একটা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে মৃত্যুর তথ্যটা পেতে হবে। অনেক সময় মারা গেলে তাঁর দাফন হয়, জানাজা হয়; কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো সেটা এখনো হয়নি।

বিষয়টি আজ রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংসদ সদস্য মারা গেলে কিংবা অনুমতি ছাড়া ৯০ কার্যদিবস সংসদের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে পদ শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে জানায় সংসদ। নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের আয়োজন করে। সাধারণত কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যেই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্য মারা গেলে স্পিকার শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেন। সংসদের অধিবেশন চলাকালে কেউ মারা গেলে ওই দিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ আছে।

তবে কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে বা খুন হওয়ার পর মরদেহ না পেলে কীভাবে সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে, তা সংবিধান বা সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, উনি যে খুন হয়েছেন, সেটা সংসদ সচিবালয়ের ব্যাপার না। তার নিহত হওয়ার ব্যাপারটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে সংসদ সচিবালয়কে নিশ্চিত করতে হবে। তারপর সংসদ সচিবালয় আসন শূন্য ঘোষণা করবে।


আরও খবর



লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

লবঙ্গ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। শরীরের যত্নের পাশাপাশি রান্নায়ও স্বাদ বৃদ্ধিতে লবঙ্গের জুড়ি নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়াতেও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। চলুন, জেনে নিই লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার নানা দিক।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ক্ষয় নিরাময়ে বেশ কার্যকর। লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে কিছু বিক্রিয়া করে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়।

যাত্রাপথে বমি বমি ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখা যেতে পারে। এটি মুখে সুগন্ধি তৈরি করে বমি বন্ধে বেশ কাজ করে। বমির ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ নিয়ে চুষতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও।

সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধে লবঙ্গকে মহৌষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এটি চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি, কফ, গলা ফুলে ওঠা আর শ্বাসকষ্টে বেশ সুফল পাওয়া যায়।

সাইনোসাইটিস রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহার করেন অনেকে। সাইনাসের কষ্ট কমাতে লবঙ্গের বিশেষ উপাদান ইগুয়েনাল সাহায্য করে।

মাথাব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গের জুড়ি নেই।

পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ উপাদান এনজাইম বৃদ্ধি করে পেটব্যথা, অজীর্ণ, বদহজম, খিদে না হওয়া, পেটের গ্যাস ও বায়ু এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগ নিরাময় করে।

প্রচণ্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমাতে এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে খেয়ে ফেলুন। এমনকি লবঙ্গের চা পানেও মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।

ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার বেশ পুরোনো। লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপর দিয়ে রাখলে দাগ চলে যায়।

লবঙ্গ শরীরের ক্ষতিকর উপাদানগুলো বের করে রক্তকে পরিশোধন করতে বেশ ভূমিকা রাখে।

পিপাসায় বারবার পানি পানের বিড়ম্বনা এড়াতে সকালে ও বিকেলে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এতে পিপাসাজনিত রোগ দূর হবে।

পেটের রোগ বা জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তের ফলে খাবারে অরুচি দেখা দিলে লবঙ্গ গুঁড়া করে সকালে খালি পেটে এবং দুপুরে খাবারের পরে খেলে রুচি ফিরে আসবে।

লবঙ্গ খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্তপ্রবাহেরও উন্নতি ঘটে।

লবঙ্গ ক্যান্সার, কলেরা, শরীর ব্যথা ও যকৃতের সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করে। লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ যে কোনো জীবাণুকে মারতে ভূমিকা রাখে।

নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। লংয়ের রস শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়।

মাড়ির সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ বেশ কার্যকর। লংয়ের মুকুল (মাথার অংশ) ওরালপ্যাথোজেনের বৃদ্ধি রোধ করে মুখকে কেসকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় দুটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতে হবে।

লবঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি হাঁটুতে, পেশির ব্যথা, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা কমাতে এই ঘরোয়া ওষুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাস সব মারা যায়। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে মোটেও সময় লাগে না।

লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ঠান্ডায় শরীরের কোনো অংশ ফুলে উঠলে লবঙ্গ খেতে পারেন। এতে শরীরের ফোলা কমে যাবে।

শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরাও লবঙ্গ চিবিয়ে রস খেলে আরাম পাবেন।

লবঙ্গে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড-ইউজিনল এবং ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করার পর বোন ডেনসিটির (হাড়ে ঘনত্ব) উন্নতি ঘটে। এটি হাড়ের ভেতরের নানাবিধ মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ করে। ফলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

লবঙ্গ ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

লবঙ্গ খাওয়ার অপকারিতা

উপকারিতা পেতে বেশি বেশি লবঙ্গ খাওয়া অনুচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকেই অকারণে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখেন, যা উপকারের চেয়ে অপকারই ডেকে আনতে পারে। যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তারা কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাবেন না। কেননা, এটি হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।

আবার যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও লবঙ্গ খাওয়ায় র‌্যাশ বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই মঙ্গলজনক।

নিউজ ট্যাগ: লবঙ্গ চা লবঙ্গ

আরও খবর



শনিবার ঢাকার যেসব সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ ডিএমপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে নির্দিষ্ট এলাকায় সর্বসাধারণ ও যান চলাচলে সুনির্দিষ্ট ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আগামীকাল শনিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা পালনে অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। উল্লেখিত সময়ে নগরবাসীকে এসব এলাকা ও সড়ক পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।

ডাইভারশন পয়েন্ট : হাইকোর্ট ক্রসিং, গোলাপশাহ মাজার ক্রসিং, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ক্রসিং, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির (অমর একুশে হল) সামনে, ফুলবাড়িয়া ক্রসিং, চাঁনখারপুল ক্রসিং এবং নিমতলী ক্রসিং।


আরও খবর



জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর