আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসুমে ভোলার ৭ উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ হওয়ায় পাশাপাশি এবার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমানে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। আর প্রথম দিকের তরমুজ হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছে কৃষকরা। সামনের দিনগুলোতে এর বিক্রি আরো বাড়বে। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসে তরমুজের কদর তুঙ্গে থাকে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় মাঠে তরমুজের অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে।

এদিকে এবছর জেলায় তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর। হেক্টর প্রতি তরমুজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫২ টন করে। আর মোট তরমুজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৬ টন। সব কিছু ঠিক থাকলে তরমুজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এখানে তরমুজ চাষ শুরু করা হয়। অনেকে আবার আগাম তরমুজ আবাদ করেছেন। মূলত তরমুজ ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলে কৃষকরা। ইতোমধ্যে তরমুজ বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। ভোলায় সাধারণত ধানের চাইতে কয়েক গুণ বেশি লাভ হয় তরমুজ চষে। তাই বহু কৃষক স্বল্প মেয়াদের এই ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন।

উপ-সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এই জেলায় সাধারণত বাংলা লিংক-১, লাকী ড্রাগন, গ্রেট-১, ট্রপিক্যল ড্রাগন, পাকিজা, আস্থা, জামিরা, থাইল্যান্ড-২, সুগার এমপি আর, বিগ ফ্রামলী, এশিয়ান-২ ইত্যাদী জাতের তরমুজ আবাদ বেশি হয়। প্রত্যেকটি তরমুজ ৩-৪ কেজি ওজন থেকে শুরু হয়ে ২০ কেজির উপরে হয়।  জেলার মোট তরমুজ আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১২২০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৪৯ হেক্টর, বোরহানউদ্দিন ৭০০, লালমোহন ৪১৮, তজুমদ্দিন ৪০, চরফ্যাশনে ১৫ হাজার ৮৫০ ও মনপুরায় ৬ হেক্টর জমি রয়েছে। মূলত চারাঞ্চলগুলোতে তরমুজের আবাদ বেশি হয়।

উপজেলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক হাবিব, লোকমান ও কবির বলেন, তারা প্রায় ৩ একর জমিতে এবছর তরমুজের চাষ করেছেন। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছেন। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে তারা প্রথম পর্বের তরমুজ বিক্রি শুরু করবেন।

কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরের তরমুজ চাষি লিয়াকত আলী, জাবেদ হোসেন, সুবেদ মিয়া, বাসেত মাঝি ও কুদ্দুস মিয়া বলেন, তারা প্রত্যেক বছরই তরমুজ আবাদ করে থাকেন। তরমুজ মাঠে প্রথম দিকে ভালো থাকে। কিন্তু শেষ সময়টাতে ভয় বেশি। কারণ শিলা বৃষ্টি ও অতি বৃষ্টি এর প্রধান শত্রু। যদি এই সময়টাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হয় তবে তারা লাভবান হবেন।  শিলা বৃষ্টিতে তরমুজের ক্ষেতের উপর পলিথিন দিয়ে ডেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অফিস। এছাড়া অতি বৃষ্টিতে পানি জমে যাতে গাছের গোড়া পঁচতে না পারে সে জন্য বিশেষ স্প্রের কথা বলা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারেসুল কবীর বলেন, পুষ্টিগুণে ভরা রসালো এ ফলের প্রচুর চাহিদা থাকায় অনেক কৃষকই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।  সাম্প্রতিককালে তরমুজের বাজার দাম ভালো থাকায় এর আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এছাড়া উন্নত মানের বীজ, উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণের ফলে আমাদের তরমুজ আবাদ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা আগাম তরমুজ চাষ করেছেন সেসব তরমুজ ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।  প্রথমের দিকের ফলন হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল, ঢাকা হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভোলার তরমুজ চলে যায়। আগামী মে মাস পর্যন্ত তরমুজের ফলন পাওয়া যাবে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অবশ্যই এই জেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে কাজ করতেন গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবে। অভাবের সংসারে জম্ম হলেও এই মেধাবী ছাত্র বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বাবা প্রিয়তোষ বিশ্বাস সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনরকমে সংসার চালাতেন।

অভাব অনটনের মাঝে মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস হাল ছাড়েনি পড়াশোনার। সকালে স্কুলে আর বিকালে স্থানীয় বাজারে একটি দোকানে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতেন। রাতে বাড়ি ফিরে বসে পড়তেন পড়ার টেবিলে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করা সন্তানকে সামর্থ না থাকায় তাঁর কোনো প্রাইভেট শিক্ষাক দিতে পারেনি বাবা-মা। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে এই দরিদ্র ঘরের সন্তান জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাঁর এই সাফল্য দরিদ্র পরিবারে অসহায় বাবা মায়ের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের কুলাল পাড়া গ্রামের অটো চালক প্রিয়াতোষ বিশ্বাস ও নন্দিতা বিশ্বাসের সন্তান পূণ (১৬)। উপজেলার এয়াছিননগর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। গত রবিবার পরীক্ষার ফলাফলে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।

ছেলের সফলতা নিয়ে কথা হয় মা নন্দিতা বিশ্বাসের সাথে তিনি বলেন, আমার ছেলের এই অর্জন এলাকার সবার। আমরা গরীব তার বাবা একজন সাধারণ গাড়ি চালক। কোনো রকমে চলে আমাদের সংসার। সংসার চালাতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের ছেলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এ পেয়ে পাস করছেন। আমাদের স্বপ্ন তাকে ডাক্তার বানানো। এই অভাবের সংসারে কলেজে ভর্তি খরচ, পড়াশোনার খরচ আমরা কোথায় পাব। ছেলের এ সাফল্য অর্জনে চিন্তা বেড়েছে হতদরিদ্র মায়ের। তিনি সবার কাছে সন্তানের লেখাপড়া জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।

মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস বলেন, আমার আজকের এ সাফল্যের পেছনে আমার বাবা মায়ের এবং এলাকার ও স্কুলের শিক্ষকদের অনেক বেশি অবদান রয়েছে। আমি ভালো কলেজে পড়ে ডাক্তার হত চাই। মানুষের সেবা করতে চাই। তবে আমাদের অর্থ সংকটের কারণে আমার আর পড়াশোনা করা সম্ভাব হবে কিনা আমি জানিনা। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময়ে মাঝে মাঝে স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ কর করি। আমার এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে আমি ঐ গ্যারেজে প্রতিদিন কাজ করি।

এলাকার মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পূর্ন বিশ্বাসের মাঝে অন্যরকম প্রতিভা রয়েছে। অভারের সংসারে সেই আজকে যে আলো দেখিয়েছে। তা আমাদের সমাজ ও গ্রামকে উজ্জ্বল করছে। গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে এতোবেশি সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরিবার তার লেখাপড়া চালাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছেন গ্রামের মানুষ। দেশের মানুষকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তার এলাকার লোকজন। যাতে এই মেধাবী ছাত্র টাকা-পয়সার অভাবে পড়াশোনা থেকে বাদ পড়ে না যায়।

আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রির্টানিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী- আনারস প্রতীক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু-কাপ পিরিচ প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব- ঘোড়া প্রতীক, মো. আবুল কাশেম-দোয়াত কলম প্রতীক ও মো. নিজাম উদ্দিন- মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উল্যা-মাইক প্রতীক, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ- উড়োজাহাজ প্রতীক, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী-বই প্রতীক, মো. ইয়াছিন আরাফাত-তালা প্রতীক ও মো. মাসুদুর রহমান-চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা-ফুটবল প্রতীক, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার-হাঁস প্রতীক ও সেলিনা খানম-পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মজুরি বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। এ সময় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার আহ্বান জানান। বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বোও না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা।’

শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন,  সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করবো। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলবো। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর