আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ভাসমান সবজি চাষে ঝুঁকছেন গাইবান্ধার নারীরা

প্রকাশিত:রবিবার ২০ নভেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ নভেম্বর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে থাকা বিভিন্ন বিলে ভাসমান সবজি চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। জেলা সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদের তীরবর্তী উপজেলার বিল-ঝিলের জমি বছরের অর্ধেক সময় পানিতে ডুবে থাকে। এসব এলাকার মধ্যে সাঘাটায় ভাসমান বেডে কচুরিপানার ওপর মাটি ছাড়াই চাষ করা হচ্ছে সবজি। ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে খরচ কম, আয় বেশি হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।

বর্তমানে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা বিলে ভাসমান বেডে সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রথমদিকে চাষিরা সন্দিহান থাকলেও পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা আসায় ভাসমান বেডে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে জানা যায়, রাস্তার পাশেই ঝাড়াবর্ষা বিল। এ বিলে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করা হয়েছে। পরপর ভাসমান ৮টি বেড। তাতে কলমি শাক, লাল শাক, পুই শাকসহ বিভিন্ন রকমের সবজি আছে। কলাগাছের ওপর কচুরিপানা পচিয়ে বেড তৈরি কার হয়েছে। প্রতিটি বেডে বীজ ছিটিয়ে দেওয়ায় সবজির লতাপাতা ছড়িয়ে আছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সাঘাটা উপজেলার নদী তীরবর্তী বিলগুলোয় বর্ষাকাল শেষেও অনেক সময় পানিতে ডুবে থাকে। ভাসমান বেডে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করা সম্ভব। এ বছর সাঘাটার তিনটি পয়েন্টে পরীক্ষামূলক এ চাষ করা হয়েছে।

ভাসমান সবজি চাষি বিলকিস বেগম বলেন, উদয়ন এনজিও থেকে মমতা আপা এসে ডোবার মধ্যে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করতে বলেন। তার নির্দেশনায় বেড তৈরি করি। নাছিমা বেগম, শরিফা বেগম, তহমিনা বেগম মিলে ডোবায় ছয়টি বেডে সবজি চাষ করি। একটিতে কলমি শাক, একটিতে লাল শাক, একটিতে পুই শাক ও একটিতে ডাটা শাক আবাদ করি। এমন সবজি চাষের অভিজ্ঞতা নতুন। যে ফলন হয়েছে তাতে নিজেরা খেয়েও সপ্তাহে ৩-৪শ টাকা বিক্রি করতে পারছি। সবজি চাষি তহমিনা বেগম বলেন, কলমি শাক আবাদ করেছি। একদিন পরপর শাক তুলি। কিছু খাই, কিছু বিক্রি করি। ভালোই হয়েছে। খাওয়াও যায়, বেচাও যায়। পরেরবার আরও বেশি করে আবাদ করবো।

লাল শাক বেডে পরিচর্যা করতে আসা শরিফা বেগম বলেন, হামার ঘরে সবজি চাষ দেখিয়া গ্রামের সবাই করবের চাবার নাগছে। হামরা খুব খুশি। এ মাসে হাজার বারোশ টাকার শাক বেঁচচি। কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, উদয়নের সহযোগিতায় স্ত্রী নাছিমা বেগমকে নিয়ে ভাসমান বেডে পরিচর্যা করে নিজে খেয়েও এ মাসে ১৩শ টাকার শাক বিক্রি করেছি। আমাদের দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এলাকায় ভাসমান সবজি চাষ ভালো সাড়া ফেলেছে। তবে কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে চাষাবাদ করতে পারবো।

উদয়ন স্বাবলম্বী সংস্থার ফিল্ড অর্গানাইজার মমতা খাতুন বলেন, গাইবান্ধাসহ উত্তরের ১১টি জেলায় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক ভাসমান বেডে সবজি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখান থেকে একটি পরিবার নিজের চাহিদা পূরণ করেও সপ্তাহে তিনশ থেকে চারশ টাকা আয় করছে। এ পর্যন্ত ঝাড়াবর্ষা বিলসহ এলাকার পৃথক তিনটি স্থানে ২৪টি বেড করা হয়েছে। একটি বেডে তিন থেকে চারবার লাল শাক, একবার পুঁই শাক, ডাটা শাক চাষ করা যায়। এক বেডে একবারে এক ফসল থেকে দুই-আড়াই হাজার টাকা আয় করা যায়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ হতে পারে ২৫-৩০ ফুট (ছোট-বড় হতে পারে)। প্রস্থ চার-পাঁচ ফুট। বেডটি দুটি স্তরে তৈরি করা হয়। এরমধ্যে নিচের স্তরে কলাগাছ দিয়ে একটি বেড তৈরি করা হয়। উপরের স্তরে কচুরিপানা দেওয়া হয়। কচুরিপানা পচে গেলে উপরে বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ হাওরাঞ্চলে বেশি হয়। গাইবান্ধার একটি উন্নয়ন সংস্থা ভাসমান বেডে সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, তাদের ভাসমান সবজি চাষে ওই এলাকার কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ভাসমান সবজি চাষে কৃষাণ-কৃষাণিদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: ভাসমান সবজি চাষ

আরও খবর



বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ, হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ’ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে লজ্জা এড়ালো রোডেশিয়ানরা। এই জয়ে ৪-১ ব্যবধান শেষ হলো বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

রবিবার (১২ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রিয়াদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই এগোতে থাকে সফরকারীদের দুই ওপেনার। তবে সাকিবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মারুমানি। এতে ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। সাকিবের আউট সাইট অফের ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভাঙেন জাকের আলী।

একপর্যায়ে সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ-ত্রয়ীতে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৩ রান দেন তারা। তবে পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ১৬ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি রাজা। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য (৭) ও তামিম (২)। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ব্যাটার। এতে ৪ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ভিন্ন পথে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল। এই জুটি ইনিংসের অষ্টম ওভারে ৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

তবে রিয়াদের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটির পর আউট হয়ে যান শান্ত। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।

শান্ত ফিরলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের গতি বাড়ান রিয়াদ। এই জুটিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাকিব। মিডউইকেটে দারুণ ডাইভে সাকিবের ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতে ১৭ বলে ২১ রান করে সাকিবকে ফিরতে হয়।

অন্যদিকে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



পিরোজপুরে বাসচাপায় প্রাণ গেল যুবলীগ নেতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিতোষ রায় (৫৪) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রুহিতলাবুনিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পরিতোষ রায় নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং উপজেলার পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পরিতোষ রায় একটি ভ্যানে করে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিরোজপুরগামী দোলা পরিবহনের একটি বাস পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ সড়কের রুহিতলাবুনিয়া এলাকায় সেই ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পরিতোষ রায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কমলেস জানান, দোলা পরিবহনের একটি বাস পরিতোষ রায়ের ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাটিতে পরে গেলে বাস তার গায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়।

নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় পরিতোষ রায় নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও বাসটিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর