আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ভারতীয় ভিসা আবেদন করার নিয়ম

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে ভারত অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির সরকার অনলাইনে ভিসা আবেদন করার সুযোগ রেখেছে। তাহলে চলুন জেনে নিই, ভারতীয় ভিসা আবেদন করার নিয়ম-

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইনে সাধারণত ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান বিজনেস ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল ই-ভিসা এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ই-ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। তবে ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার আগে আপনার ই-ভিসা (ই-ভিসা ইন্ডিয়া অনলাইন) এর জন্য যোগ্যতার শর্তগুলো জানতে হবে। আপনি যদি এই শর্ত পূরণ করেন তবে আপনি ইন্ডিয়ান ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে প্রবেশ করুন https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/Registration এখানে। নির্ধারিত তথ্য পূরণ সাপেক্ষে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। তার আগে চলুন জেনে নিই আরও কিছু তথ্য-

যেসব ডকুমেন্ট লাগবে

১। মূল পাসপোর্ট, ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগ থেকে সর্বনিন্ম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টে অন্তত দুটি সাদা পাতা থাকতে হবে। পাসপোর্টের অনুলিপি (দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং তৃতীয় পৃষ্ঠা এবং বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর এসডোর্সমেন্ট, যদি থাকে) সংযুক্ত করতে হবে।

২। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

৩। একটি সদ্য তোলা (৩ মাসের বেশি পুরোনো নয়) ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি যেনো পুরো মুখমন্ডল দেখা যায় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে।

৪। আবাসস্থলের প্রমাণপত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিলের অনুলিপি।

৫। পেশার প্রমাণপত্র : চাকরিদাতার কাছ থেকে সনদ। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র, বিজনেস ব্যক্তির বাণিজ্য সনদপত্র লাগবে।

৬। আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র: আবেদনকারীদের জন প্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট বা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড অথবা সর্বশেষ ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের অনুলিপি দিতে হবে।

৭। আবেদনকারীকে অনলাইন এপ্লিকেশন ফরম এ দেওয়া নির্ধারিত স্থানে ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

৮। সাক্ষাতের দিন আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে; সব পুরোনো পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।

৯। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভারতীয় ভিসার সাক্ষাৎ ওয়াক-ইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়।

অনলাইন নিবন্ধনের পর যা করবেন: অনলাইন নিবন্ধনের পর সাক্ষাতে ভিসার আবেদন দাখিল করতে হবে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী,  সিলেট, খুলনা বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের বসবাসকারীরা আইভ্যাক, ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক ) এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। অন্যরা আইভ্যাক, খুলনা/ আইভ্যাক, ময়মনসিংহ / আইভ্যাক, যশোর / আইভ্যাক, বরিশাল / আইভ্যাক, সিলেট- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।  যেসব পাসপোর্টধারী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা, যেমন- কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তারা আইভ্যাক, চট্টগ্রাম- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যারা রাজশাহী বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, রাজশাহী/ আইভ্যাক, রংপুর- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যারা সিলেট বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, সিলেট/ আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।

ভিসা ফি: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে কোন ভিসা ফি লাগবে না। তবে ভিসা প্রসেসিং ফি (ভিপিএফ) হিসেবে ৮০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করবেন যেভাবে: ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করতে প্রবেশ করুন https://payment.ivacbd.com এই লিংকে। এখানে প্রবেশ করে আপনার আবেদনের জন্য নির্বাচিত হাইকমিশন নির্বাচন করুন। ওয়েব ফাইল নাম্বার দিন (২বার)। এরপর আবেদনের জন্য নির্ধারিত আইভ্যাক নির্বাচন করুন। আপনার ভিসা আবেদনের টাইপ নির্বাচন করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিন (যেমনঃ নাম, নাম্বার, ইমেইল আইডি)।

সব তথ্য পূরণ শেষে অনলাইনেই পেমেন্ট করা যাবে। পেমেন্ট করা যাবে ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টার্স কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেসম ডিবিএল নেক্সাস, কিউ ক্যাশ, ফাস্ট ক্যাশ, সিটি টাচ, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, রকেট, বিকাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ ও এবি থেকে টাকা প্রদান করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: ভারতীয় ভিসা

আরও খবর



নারীর পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্ট, নিজেকে রক্ষায় মিথ্যা মামলায় হয়রানী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে রিপা আক্তার (৩০) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি দিয়ে তিন মাসের সন্তান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে মো: মাহাবুব (৫৫) গংয়ের বিরুদ্ধে। শুধু নির্যাতনেই নয়, নিজেদের বাঁচাতে উল্টো মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের।

নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা নারী ঠাকুরগাঁও সদর পৌর এলাকার ইসলামনগরের বাসিন্দা বিপ্লব খানের স্ত্রী। আর অভিযুক্ত মো: মাহাবুব গং একই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় রিপা আক্তারের পিতা মো: আব্দুর রহিম সোমবার (৬ মে) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, মাহাবুব ও তাঁর লোকজন বহুদিন আগ থেকেই আব্দুর রহিমের (৬০) বসতবাড়ির জমি জবর-দখল করার চেষ্টা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আব্দুর রহিম তার জমিতে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। দুপুরে তাঁর অনুপস্থিতিতে মাহাবুব গংয়ের লোকজন নির্মিত ঘর ও বাহিরের টাটি বেড়া ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয় আব্দুর রহিমের। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও বিলকিস আক্তার তাদের ভাংচুরের প্রতিবাদ জানালে মাহাবুবের হুকুমে ১৩ জনের একটি দল সংঘবন্ধ হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে তাদের উপড় ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু করেন এলোপাতাড়ি মারধর। এক পর্যায়ে মাসুদ (২২) ও আব্দুস সালাম (২৩) অন্তঃসত্ত্বা নারী  রিপা আক্তারের তলপেটে জোরে লাথি মারে। ফলে তার গর্ভপাত ঘটে। আর খয়রুল (৩০) অন্তঃসত্ত্বা নারীর গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করলে রিক্তা ও বিলকিস রিপাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে সুজন (২৫), শাহাবুদ্দীন (২৩), রত্না বেগম (৪৫), নাজমুল (৫০), হাসু (৩৫), সালমা (৪০), রেজিনা (৫০), সুফিয়া (৫০) ও সাহেরা বেগম (৪০) তাদের দুইজনকেই মারধর করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করেন। এসময় রত্না বেগম রিপা আক্তারের গলা থেকে স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় এবং পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করেন। মাহাবুব গংয়ের মারধরের ফলে তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিপ্লব খান ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ভর্তির পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম জানান, নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে হঠাৎ তারা একজোট হয়ে হামলা চালায়। যার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রয়েছে অথচ তারা কৌশলে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে শরীর কেটে মিথ্যা একটি মামলা করে আমাদের হয়রানী করছে। বিষয়টি তাদের তদন্ত কর্মকতা এএস আই হিরনময় চন্দ্র অবগত রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, মাহবুব তার মামলায় যে ঘটনাস্থল উল্লেখ করেছে সেখানে আসামি আকাশ, বিপ্লব ও মকছেদুল উপস্থিত না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আর বাকি আসামীরা বাসায় উপস্থিত থাকলেও মারপিটের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। উল্টো মাহবুব গংরাই মারপিট করে। তাই ভালভাবে তদন্ত হলে তা বেড়িয়ে আসবে। পরে উপায় না পেয়ে আমি বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি।

আর অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মো: মাহাবুব এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলাও হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



সিলেট থেকে ছেড়ে গেলো প্রথম হজ ফ্লাইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

৩৮৯ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট উড়াল দেয় বুধবার (২২ মে)। এদিন বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানের বিজি-২৩৭ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার।

তিনি জানান, সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের জন্য এবার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৫টি ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৯৫ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকিগুলো পরিচালিত হবে সিলেট-জেদ্দা রুটে। বাকি চারট ফ্লাইটের শিডিউল হচ্ছে আগামী ১, ৩, ৬ ও ৯ জুন। 

শাহনেওয়াজ মজুমদার বলেন, ঢাকা থেকে ২৯ জন হজ যাত্রী  নিয়ে এসে ফ্লাইটটি সিলেটের ৩৬০ জনসহ মোট ৩৮৯ জন নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বুধবার বিকালে।

সিলেট বিমানবন্দরে সিলেট-মদিনা হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট-২ আসনের এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।


আরও খবর



বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তা‌নদের বিও হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ ও ২৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার পুঁজিবাজারের ইলেকট্রনিক্স শেয়ার সংরক্ষণাগার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের নামে সব বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) (ফ্রিজ) রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই আদে‌শ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ অবরুদ্ধ হিসাবসমূহে জমা করা যাবে না বা কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।

আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের বিও হিসাব রয়েছে। সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব রয়েছে।

বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের সংশ্লিষ্ট আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৫টি ব্রোকারেজ হাউজে ৬টি বিও হিসাব পরবর্তী আদেশ না দেওয়া র্পন্ত অবরুদ্ধ কার নির্দেশ দেওয়া হলো। আদালতের আদেশ মোতাবেক ওই হিসাবগুলোর ওপর অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।

এর আগে গত ২৩ মে ৮৩টি দলিলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। সেই সঙ্গে ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও তার সিকিউরিটিজের (শেয়ার) টাকা ফ্রিজ করা হয়।


আরও খবর



উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির দাবি রাবি অধ্যাপকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ বা ড্রাগ টেস্ট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক উন্মুক্ত বার্তায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও সরকারের কাছে এ দাবি জানান তিনি ।

ব্যক্তিগত এক সাক্ষাৎকারে এই অধ্যাপক তার দাবি সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট আইন হচ্ছে। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। শিক্ষার্থীরা যদি ড্রাগে আসক্ত হয়ে যায় তারা দেশের সেবা কিভাবে করবে? তারা পিতা-মাতার স্বপ্নও পূরণ করতে পারবে না। তারাই তো ভবিষ্যৎ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৩য় তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটির অবস্থান। বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশেই  শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম। গত এক সপ্তাহ আগে সেখান থেকে ৮-১০টি ফেনসিডিল উদ্ধার করেন তিনি।

তারপর গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, 'ডোপ টেস্টের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ টেস্ট করানোর বিষয়টা কি আলোর মুখ দেখবে না? ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপের বিষয়টা যেমন গৃহীত হয়েছে তেমনি ডোপ টেস্টের বিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার।'

নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের শঙ্কা প্রকাশ করে  তিনি জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ আগে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক  ভবনে ছিল। সেখান থেকে ২০১৪ সালে এই (সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) ভবনে আসি। তখন থেকেই এখানের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা ওয়াশরুমটি অপরিষ্কার ছিল। সবাই তাদের অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ এখানে ফেলে রাখত।  শিক্ষার্থীদের আবদারে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পরে থাকা ওয়াশরুমটা পরিষ্কার করার চিন্তা করি। এই ওয়াশরুমের ছাঁদ পরিষ্কার করার সময় যারা কাজ করছিলেন তারা এখানে মাদকের আলামত পায়। আমি তখন অবাক হয়ে যাই।

অফিসের পিয়ন তারেকুর রহমান জানান গত সপ্তাহে পরিষ্কার করার সময় সেখানে ৮-১০ টা ফেনসিডিলের বোতল দেখতে পান তিনি। এগুলো সরিয়ে জায়গা পরিষ্কার করেছেন।

এই অধ্যাপক আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রফেসনাল ও সার্বক্ষণিক লোক রাখতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ডাটাবেইজ থাকবে। যেন র‍্যান্ডম সিলেকশন করে শিক্ষার্থীদের চেক করা যেতে পারে। সময়ে সময়ে আপডেট নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ জুন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য আইন তৈরি হচ্ছে (সংশোধন)। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। তবে, ২০২২ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করেছিল। এবং গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর