আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিএসএফ বলেছে, ভারতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আরও শত শত বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে অপেক্ষা করছেন। অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

বিএসএফের উপ-মহাপরিদর্শক অমিত কুমার ত্যাগী এএফপিকে বলেছেন, এখনও সীমান্ত পার হওয়ার জন্য কয়েকশ বাংলাদেশি নাগরিক নো-ম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষা করছেন।

এদিকে, সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত ব্শ্বিশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে চার বাংলাদেশি নাগরিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের করিমগঞ্জ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশ কার্যকরভাবে জিরো পয়েন্টে হস্তক্ষেপ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভারতে তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে; যার বেশিরভাগ অংশই অরক্ষিত। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হিন্দুরা সংখ্যায় বৃহৎ। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তারা অনেকেই পার্শবর্তী ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীও ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর
উত্তরপ্রদেশে ভবন ধসে নিহত ৮, আহত ২৮

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশন প্রধানদের অপসারণের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশনের প্রধানদের আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর উল্লেখ করে তাদের আজকের মধ্যেই অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় সচিবালয় ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) নিজেদের ফেসবুক পোস্টে এমন ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাদিক কায়েম।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সকল কমিশনের প্রধানকে আজকের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সকল কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। আজকের মধ্যেই সকল ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দিতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক সাদিক কায়েম বলেন, সকল সচিব এবং দপ্তর, অধিদপ্তর, ও কমিশন প্রধান কে আজকের মাঝে অপসারণ করতে হবে। না করলে প্রশাসনের ভেতরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা সরাতে সচিবালয় ঘেরাও হবে।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৪ উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন, ৮ জনের পুনর্বণ্টন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও চার উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। ইতোমধ্যে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়াসহ পুরোনোদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন ও পুনর্বণ্টন করা হয়।

নতুন চার উপদেষ্টার কে কোন দায়িত্ব পেলেন?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন চার উপদেষ্টাকে একাধিক মন্ত্রণালয় ও কার্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, লে. জেনারেল জাহাংগীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন

সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান; ফারুক-ই-আজম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ব্রি. জেনা. (অব.) এমন সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।

পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর বিলুপ্ত করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢাকা মেডিকেলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্পাস ও হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়াও বৈঠকে আরও চার দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিচে সব সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হলো

ঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক

১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন;

২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সকল শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;

৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাস এবং ডা. আলীম চৌধুরী ছাত্রীবাসে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, অন্যান্য এবং নতুনভাবে গঠিত কোনো ছাত্র সংগঠন) স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;

৪. ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে প্রকাশ্যে বা গোপনে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি আনয়ন, চর্চা, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও তাতে অন্যদের আহ্বান এবং তাদের সমর্থনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রচার/প্রচারণায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল থেকে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;

৫. তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্মারক নম্বর: ৫৯.১৪.৪০০০.০২৫.২৬.০০০.২৪.২৪১৬ (৫) তারিখ: ১২/০৬/২০২৪ খ্রি. মোতাবেক একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসে অবস্থান, একাডেমিক ক্লাস ও ক্যাম্পাসে আগমনের নিষিদ্ধকরণ সিদ্ধান্ত আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা আজ থেকেই হতে বলবতযোগ্য।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরীসহ একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তবে ঢামেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের আয়কর বিভাগের রাজধানীর কর অঞ্চল-১৫ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এসংক্রান্ত চিঠি সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

এস আলম শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। সদ্য বিদায়ী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী ছিল এস আলম গ্রুপ।

কর অঞ্চল-১৫ সূত্রে জানা গেছে, এস আলমের (সাইফুল আলম) স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম এবং ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে। এর মানে, এস আলমসহ তার পুরো পরিবারের সদস্যদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর।

এ ছাড়া তাদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য চেয়েছে কর অঞ্চল-১৫।

এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসান হলেন এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের পরিচালক। আর এস আলমের মা চেমন আরা বেগম এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিসের পরিচালক।

এস আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশকে ব্যাংক দখল, অর্থ পাচারসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে তিনি এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর কর্মকর্তা জানান, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের কর নথির সঙ্গে বাস্তব সম্পদের তথ্য যাচাইবাছাই করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে থাকবো: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রজনতার জন্য সর্বাত্মকভাবে পাশে থাকবে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার সাথে সাক্ষাৎ করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে ডিউটিরত চিকিৎসকবৃন্দের সাথে কথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে আহত প্রায় ৩৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং ৩ জনের চোখ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের যেকোন জরুরী প্রয়োজন সমাধান ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আমাদের দুইজন কর্মকর্তাকে নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে৷

এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ব্যক্তিভেদে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় এবং সর্বমোট ২৬ জনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্স এবং একজনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর) এ প্রেরণের জন্য এম্বুলেন্স-এর ব্যবস্থাও করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জেলা প্রশাসক বলেন, শুধুমাত্র চিকিৎসা এবং আর্থিক সহায়তা নয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রজনতার পরিবারের পাশে দীর্ঘমেয়াদে থাকতে আমরা বদ্ধপরিকর। আজ সকালে আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পরলোকগত শহীদ ইশমামের বড় ভাই মুহিবুল হকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছি। একইভাবে শুধুমাত্র শহীদ ইশমাম নয়, আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রজনতার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এরূপ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে; তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর