আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

উদ্বোধনের পরেও চালু হয়নি চিলাহাটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চিলাহাটি (নীলফামারী) প্রতিনিধি :

নীলফামারী জেলার চিলাহাটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হলেও জনবলের অভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় চিলাহাটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ সেবা কেন্দ্রটি। ডোমার উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ৫৫ হাজার মানুষের সেবা প্রদানের জন্য কল্যাণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক বছর অতিবাহিত হলেও শুরু হচ্ছে না সেবা প্রদানের কাজ।

ঠিকাদার মল্লিক এন্টারপ্রাইজ-আলম বিল্ডার্স জেভি দুটি ভবন নির্মাণ, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি প্রদান শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। চিকিৎসকসহ জনবল না আসার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার রোগীরা। এই দুটি ইউনিয়নের রোগীদের সেবা নিতে ২২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যেতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এলাকায় আর কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। চিকিৎসা সেবার অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ রোগীদের নিয়ে পড়েন মহাবিপদে। নিরূপায় হয়ে তাদের ছুটে যেতে হয় গ্রাম্য ধাত্রিদের কাছে। এতে অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে। চিলাহাটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি স্থাপনের পর এলাকার মানুষ আশার আলো দেখেন চিকিৎসা সেবা পেতে। কবে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে সেই অপেক্ষার দিন গুনছে সব শ্রেণির মানুষ।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহা আলম  বলেন, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী না আসায় কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে জনবল বরাদ্দর জন্য আবেদন করা হয়েছে। জনবল আশামাত্রই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু করা হবে।


আরও খবর



জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর



জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছে দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার (১০ মে) বার্তাসংস্থা এএফপি ও হিন্দুস্থান টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কেজরিওয়ালকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য ১ জুন পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। সেদিনটিই চলমান সাত ধাপের লোকসভা নির্বাচনের ভোটের শেষদিন।

এর আগে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কেন লোকসভা নির্বাচন শুরুর আগে গ্রেপ্তার করা হলো, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট।

গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) করা মামলায় আইনগত নিরাপত্তা চেয়ে কেজরিওয়ালের আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইডির একটি ১২ সদস্যের দল উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনস এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এতোদিন তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কারা-হেফাজতে বসেই দিল্লির সরকার চালিয়ে এসেছেন।


আরও খবর



সিলেটে বন্যার পদধ্বনি: বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুইদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। টিানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট জেলার সবকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী সারীনদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া।

পাহাড়ি, টিলা এলাকায় ও এর পাদদেশে বসবাসকারীদের কেও অতি সত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, আমাদের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাততো আমাদের দেশেও ছিল। তাছাড়া প্রাক বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি হলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অপরদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু প্রাক বর্ষাকাল চলছে তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। গত ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন  বলেন, আগামী তিনদিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমাল গভীর নিম্নচাপে পরিণত, দেশজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অদিদপ্তর। সোমবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ১১টায় আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে চলছে তীব্র ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। ফলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকেছে জোয়ারের পানি। এ ছাড়া ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। এরইমধ্যে রেমালের আঘাতে পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রেমালের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। রাজধানীতেও বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। সোমবার সারা দিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১২৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়।


আরও খবর



দেশের মাটিতে নাবিকদের কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত স্বজনরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত হয়ে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়ায়শরা জাহাজ থেকে নামার সাথেই ছোট বোন উনাইজা নিয়ে বাবার কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।

এসময় ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বলেন, বাবার জন্য পুরো ঘর খালি ছিল। ঈদও ভালোভাবে কাটাতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবে, বাবাকে দেখতে পাব। আজ ঠিকই বাবার কাছে। বাবার পাশে। সামনে পরীক্ষা আছে, সেগুলো শেষ করে বাবাকে নিয়ে বেড়াবো আর ঘুরবো। আমি আমার আরেক বোন এখানে এসেছি। আমার আরেক ছোট বোন ছোট থাকায়, তাকে বাসায় রেখে আসা হয়েছে।

ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান বলেন, দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা আর মনে করতে চাই না। এসব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আপনারা দোয়ার করবেন। দুই সন্তানকে কাছে পেলাম। বাসায় আরেক সন্তান কান্না করছে। তাঁর কাছে ফিরতে হবে দ্রুত।

মঙ্গলবার বিকেলে জলদস্যুমুক্ত ২৩ নাবিকদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ জাহান মনি-৩ করে চট্টগ্রাম বন্দরে নামেন। সেখানে তাঁদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। স্বজনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

চসিক মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দুই মাস মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছেন এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে তাদেরকে আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজকে আনন্দিত উচ্ছ্বসিত আবেগাপ্লুত। সন্তান ফিরে আসলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারে না তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। কবির গ্রুপের বহরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী মোট ২৩টি জাহাজ আছে ।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের আরেক জাহাজ জাহান মণি। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করেছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর