আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

টুপি-ওড়নায় ফিরল মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুরোনো ড্রেস কোডে ফিরেছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ছেলে শিক্ষার্থীদের আগের মতো টুপি পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ওড়না। এর আগে ২০২০ সালে ড্রেস কোড পরিবর্তন করা হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে। তবে মুসলিম বাদে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ড্রেসকোডে কিছুটা পরিবর্তন থাকবে।

জানতে চাইলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমাম হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এ ধরনের দাবি ছিল। তবে সম্প্রতি সরকারের পালাবদলের পর এ দাবি তীব্র হয়। এর প্রেক্ষিতেই গতকাল ড্রেস কোড পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মুসলিম ভিন্ন অন্য ধর্মাবলম্বীদের ড্রেস কোডে কিছুটা পরিবর্তন থাকবে। সেটিও আমরা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ জানিয়ে দিয়েছি।

এদিকে ড্রেস কোড পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু বলেন, অনেক চাপ সৃষ্টির পর আগের ড্রেস কোড ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে ড্রেস কোড ছিল তা ফেরত আনা হয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আগের ড্রেস কোড ফিরিয়ে আনার দাবি ওঠে। এক পর্যায়ে গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) ড্রেস কোড পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমাম হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাধারণ সময়ে ছেলেদের নেভি ব্লু রঙের ফুল প্যান্ট, সাদা রঙের ফুল শার্ট/হাফ শার্ট, সাদা রঙের নেটের গোল টুপি, সাদা রঙের জুতা ও সাদা রঙের মোজা পরতে হবে। তবে শীতকালীন সময়ে এই ড্রেসের সঙ্গেই থাকবে নেভি ব্লু রঙের হাফ হাতা/ফুল হাতা সোয়েটার (প্রভাতী শাখার ছাত্রদের ফুল হাতা)।

মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণ সময়ে সাদা রঙের সালোয়ার, সাদা রঙের কলার ও সাদা বেল্টসহ নীল রঙের ফ্রক (হাতা লম্বা হবে), মাথায় সাদা রঙের স্কার্ফ (প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত), গায়ে সাদা রঙের ওড়না ও একই রঙের ক্রস ওড়না (চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত), সাদা রঙের জুতা ও সাদা রঙের মোজা পরতে হবে। তবে শীতের সময় একই ড্রেসের সঙ্গে থাকবে নেভি ব্লু রঙের কার্ডিগান কলারসহ (সামনে বোতাম)।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যুদ্ধবিরতিতে রাজি নেতানিয়াহু: ব্লিংকেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হয়েছেন। হামাসকেও তা মেনে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার তেল আবিবে ব্লিংকেন জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেয়ানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাস তা মেনে নিক।

ব্লিংকেন বলেছেন, ইসরাইলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতি করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।

অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সফররত এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে, চুক্তির ক্ষেত্রে যে বিরোধ আছে, এখন তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।

রোববার নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরাইল নমনীয় হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের বদল হবে না।

এদিকে হামাস জানিয়েছে, নতুন শর্ত গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-জিম্মি মুক্তি চুক্তির পরিপন্থি। যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতেই এ শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

তেল আবিব থেকে ব্লিংকেন এখন কাতার যাবেন। কাতারও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।

মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

চলতি সপ্তাহের শেষদিকে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এই নিয়ে ৯ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিংকেন।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিচারপতি মানিক, নেওয়া হবে কারাগারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে মেডিক্যালের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর সুযোগ বুঝে খুবই সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হবে বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র।

মেডিক্যাল বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্রী বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এখন সুস্থ। তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন। সেজন্য তার সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সব প্রস্তুতি শেষে তাকে বিকালের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি জানান, মূলত শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সাধারণ কেবিনে দেওয়া হয়েছিল।

তবে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার দুপুরে  বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমাকে জানায়নি। তবে গত দুদিন আগে সাবেক বিচারপতি মানিককে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে আমাকে বলা হয়েছিল।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে আজ বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাকে কোথায় নেওয়া হবে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে তাকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সিলেট কারাগারে নিয়ে আসা হবে।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন (কারা হাসপাতাল) ডা. মো. ইনামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, কয়েদি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে (৭৪) ইনজুরি আউটসাইড অবস্থায় সতর্কতার সঙ্গে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করতে সুপারিশ করা হয়।

কারা সূত্র জানায়, ঢাকার আদাবর থানায় পোশাকশ্রমিক হত্যার ঘটনায় করা মামলায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শুনানির দিন গত ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেদিন তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ড তাকে ছাড়পত্র দেয়নি।

এ ছাড়া গত বুধবার (২৮ আগস্ট) তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই কেবিনটি প্রিজন সেল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

জানা যায়, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী ও আইনজীবী শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং লাঞ্ছিত করেন। সেখান থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রিমান্ড শেষে কারাগারে ইনু-মেনন-পলক-মামুন

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মাধবদীতে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর ৩৫ দিন পর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয় মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. সুমন রহমান অনিক (২১)। গত মাসের ১৮ জুলাই মাধবদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আহত হোন তিনি।

দীর্ঘ ৩৫দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মারা যান সুমন। পরে একইদিন বাদজুম্মা নামাজে জানাযা শেষে নিজ এলাকান কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, কোটাসংস্কার আন্দোলনে গিয়ে গত ১৮ জুলাই পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে, পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ পর্যন্ত চারবার তার পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সম্প্রতি তার পেটে ইনফেকশন হওয়ায় আবারও অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয় সুমনকে। সেখানেই আজ ভোর ৫টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান সুমন।

নিহত সুমন মাধবদী পৌর শহরের সিদ্দিক নগর মহল্লার মৃত হোসেন আলীর ছেলে এবং মাধবদীর জালপট্টি এমদাদিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। দরিদ্র পরিবারে বাবা মারা যাওয়ার পর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা সেবাসহ ভাইদের সঙ্গে তরকারি বিক্রি করে সংসার চালাতো সুমন।

স্বজনরা আরও জানায়, সংকটাপন্ন সুমনকে দেখতে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালের যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় সুমনের অবস্থা সংকটাপন্ন, তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।

এ ছাড়া আহত সুমনকে দেখতে হাসপাতালে যায়, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপি আহ্বায়ক সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। সুমনকে বাঁচাতে মাধবদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাসহ অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

কথা হলে নিহত সুমনের বড় ভাই মো. জুলহাস মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুরানবাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হয় সুমন। ভাইকে বাঁচানো জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাসহ, স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ভাই আমার সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলো।

তিনি নিহত সুমনের জন্য দেশবাসির কাছে দোয়া চান। সেই সঙ্গে খুনীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত সুমনের পেটে একাধিক অস্ত্রপাচার হয়েছে। একটি গুলি পিত্তথলির ভিতরে আটকে যায়। পরে পিত্তথলির কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু পেটে গুলির কারণে চামড়ায় সেলাই করলেই তা ছুটে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুমনকে উন্নত চিকিৎসায় জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর সিটি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়।

দুপুর ৩টা পর্যন্ত কয়েক দফায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কয়েকটি অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। বর্তমানে বন্দরবাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে সিটি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীর সঙ্গে অটোচালকের বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় অন্য ব্যবসায়ী ও চালকরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়ায় চালকরা পিছু হটেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে দু‘পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

অটোরিকশা চালকরা বলছেন, সিটি সুপার মার্কেটের সামনে একজন চালক গাড়ি পার্কিং করেছিলেন। এসময় একজন ব্যবসায়ী দোকান থেকে রাস্তায় পানি ফেললে চালকের ওপর পড়ে। এতে ওই চালক প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীরা তার ওপর চড়াও হন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, একজন অটোরিকশাচালক সিটি সুপার মার্কেটের সামনে গাড়ি পার্কিং করায় ব্যবসায়ীরা মারধর করেন। এতে ওই শ্রমিকের মাথা ফেটে গেলে অন্য শ্রমিকরা প্রতিবাদ করতে যায়। এসময় মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীরা এসে হামলা চালায়। ব্যবসায়ীরা অন্তত ৩০-৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এতে ৩০-৪০ জন শ্রমিক আহত হন। আহতরা সিলেট এমএজি ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের হামলায় তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা চালক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা চলছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতিতে’ বিস্মিত ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবেশি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত অবস্থায় রয়েছে। একদিকে যখন হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকার ভারতকে অবাক করেছে।

বিবিসির আনবারাসান এথিরাজন জানার চেষ্টা করেছেন এই দুই দেশের সম্পর্ক এখন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?

শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থী হিসেবে দেখা হয়। কারণ, তার ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময়টি ভারতের নিরাপত্তার জন্যও সুবিধাজনক ছিল। কারণ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ভারতবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দমন করেছিলেন এবং কিছু সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ভারতে তার অবস্থান নেওয়া এবং তিনি সেখানে কতদিন থাকবেন; সে বিষয়টি দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।

বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে ড. ইউনূসের গত সপ্তাহের এক সাক্ষাৎকারে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, দিল্লিতে থাকার সময় শেখ হাসিনাকে যেন রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।

ড. ইউনূস ওই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে শর্ত হচ্ছে তাকে চুপ থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা দিল্লিতে যাবার পর যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা বাংলাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল, ড. ইউনূস হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। যদিও এরপর থেকে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে আর কোনো বিবৃতি দেননি। জুলাই ও আগস্টে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য এবং তাকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের ভেতরে দাবি উঠেছে।

ড. ইউনূস সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন যে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দুই দেশের সম্পর্ক এখন নিম্ন পর্যায়ে আছে বলেও তিনি বর্ণনা করেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কর্মকর্তারা হতাশ বলে জানা গেছে।

এক ভারতীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে, সেগুলোর দিকে ভারত নজর রাখছে এবং ঢাকা থেকে সরকার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন, সেগুলোর দিকে ভারত লক্ষ্য রাখছে।

ইউনূসের এ ধরণের বক্তব্যকে ভারতের সাবেক কূটনীতিকরা মেগাফোন কূটনীতি হিসেবে বর্ণনা করছেন এবং বিষয়টিকে তারা বিস্মিত হয়েছেন।

ড. ইউনূস মিডিয়ার মাধ্যমে বিতর্কিত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছেন বলেও তারা মনে করেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এবং দুই দেশের সব উদ্বেগের জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভারত তাদের প্রস্তুতি থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে, বলছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি।

অবসরপ্রাপ্ত এই কূটনীতিক বলেছেন, এই সমস্যাগুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করা প্রয়োজন এবং কিসের ভিত্তিতে ড. ইউনূস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবিসি বাংলার মুকিমুল আহসানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতীয় নেতারা কি কোনো মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন না? ড. ইউনূসকে যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি অবশ্যই তার মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

আপনি যদি সমালোচনা করতে চান। তবে যে কোনো বিষয়েই সমালোচনা করতে পারেন, বলছিলেন তৌহিদ হোসেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ড. ইউনূস টেলিফোনে কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনো মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়নি।

ভারতে একটি বড় ধরণের ঐকমত্য রয়েছে বলে মনে হচ্ছে যে, শেখ হাসিনা যতদিন না অন্য কোন দেশে প্রবেশের অনুমোদন পাচ্ছেন, ততদিন তিনি ভারতে থাকতে পারবেন।

তবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিক্ষোভের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু তাকে বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি করা হয়েছে। আমরা তাকে আইনিভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানালেও শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার সম্ভাবনা কম।

ঢাকায় ভারতীয় সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, তিনি এখানে ভারতের অতিথি হিসেবে অবস্থান করছেন। আমরা যদি আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুর প্রতি মৌলিক সৌজন্যতা না করি, তাহলে ভবিষ্যতে কেন কেউ আমাদের বন্ধু হিসেবে গুরুত্ব সহকারে নেবে?

ড. ইউনূস তার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর কাছে না পৌঁছানোর জন্যও দিল্লির সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয়েছে যে, সবাই ইসলামপন্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইসলামপন্থী এবং বাকি সবাই ইসলামপন্থী এবং তারা এই দেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করবে। এবং বাংলাদেশ শুধুমাত্র শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। ভারত এই ব্যাখ্যাতেই বিমোহিত হয়ে আছে। কিন্তু ভারতীয় বিশ্লেষকরা ভিন্ন মত পোষণ করেন।

ভিনা সিক্রি বলেন, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই একমত নই। বাংলাদেশে আমাদের হাইকমিশনাররা কোনো লেবেল না দিয়েই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময় ঢাকা ও দিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ওই সময় ভারতের উত্তর-পূর্ব থেকে বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ঢাকাকে অভিযুক্ত করেছিল দিল্লি। যদিও বিএনপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।

তবে বাংলাদেশের অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, ভারতের উচিত বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করা। সামনে যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক না কেন এই দলটি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে কোনো ভারতীয় কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। আমি এটার কোনো কারণ জানি না।

উল্টো বিএনপির সঙ্গে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা নিয়মিত বৈঠক করছেন। শেখ হাসিনার পতনের পরের দিনগুলোয় নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়। এতে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীদের দ্বারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে যায়।

ভারত ইতোমধ্যে হিন্দুদের ওপর হামলার খবরে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মাজারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে সুন্নি মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং কট্টরপন্থীরা মাজার ও সমাধিকে ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে করে।

সিরাজগঞ্জ জেলায় আলী খাজা আলী পাগলা পীরের মাজারের তত্ত্বাবধায়কের স্ত্রী তামান্না আক্তার বলেন, কয়েকদিন আগে একদল লোক এসে আমার শ্বশুরের সমাধি ভাঙচুর করে এবং কোনো অনৈসলামিক অনুষ্ঠান না করার জন্য আমাদের সতর্ক করে।

বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন বলেছেন, যারা ধর্মীয় স্থানকে টার্গেট করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ইসলামী কট্টরপন্থীরা যদি বাংলাদেশে একটি শক্ত অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেটা যত ছোটই হোক না কেন, তা দিল্লির জন্য বিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে।

গত কয়েক সপ্তাহে একজন দণ্ডিত ইসলামী জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে নয়জন সন্দেহভাজন মৌলবাদী গত মাসে জেল ভেঙে পালিয়ে যায়- তাদের মধ্যে চারজনকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রাহমানি গত মাসে জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। শেখ হাসিনার সরকার এই গোষ্ঠীটিকে ২০১৬ সালে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ২০১৫ সালে এক নাস্তিক ব্লগারকে হত্যার অভিযোগে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যান্য বিচারাধীন মামলার কারণে কারাগারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিনি কারাগারে ছিলেন।

গত মাসে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ভারত চেনে, প্রাক্তন কূটনীতিক রিভা গাঙ্গুলি দাস একে একটি গুরুতর বিষয় বলে অভিহিত করেছেন।


আরও খবর