গোপালগঞ্জে ইভটিজিংয়ের
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায়
সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইটের আঘাতে পুলিশ ও সংবাদকর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্ততঃ ১০ জন।
আহতদের মধ্যে
৪ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২১ নভেম্বর)
রাত ৯টা থেকে থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রনে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্র সায়েম (২২), সরোয়ার জয় (২৩), মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সাকিব (২০) ও সাখাওয়াত
হোসেনকে (২০) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা
জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল কলেজের মসজিদের সামনের
রাস্তার ওপর ক্রিকেট খেলেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার তারা রাস্তার ওপর ক্রিকেট খেলছিলেন। তখন মেডিক্যালের ছাত্ররা
তাদের খেলতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে সন্ধ্যায় মেডিক্যালের মধ্যে ঢুকতে বারন
করেন। তখন উভয় প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে উভয় প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা সংঘটিত হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন। প্রায়
আড়াই ঘণ্টা মেডিক্যাল ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর
ড. রাজিউর রহমানসহ অন্তত ২৫ ছাত্র, পুলিশ ও সাংবাদিক আহত হন। গুরুতর আহত ৪ ছাত্রকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ সায়েরা খাতুন
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্ররা রাতে
মেডিক্যাল কলেজের রাস্তার ওপর ক্রিকেট খেলে। এছাড়া বেশ কিছু ছাত্র মেডিক্যালের
ভেতর আড্ডা দেয়। তারা মেডিক্যালের ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় ইভটিজিং করে। এ কারণে তাদের সন্ধ্যার পর মেডিক্যালের
মধ্যে ঢুকতে নিষেধ ও রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে বারন করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে
শত শত ছাত্র সংঘঠিত হয়ে মেডিক্যালের ছাত্রদের ওপর হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের
কয়েকজন শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা
আমাদের গালিগালাজ করার এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। খবর শুনে আমাদের প্রক্টর মেডিক্যালে
আসলে তিনিও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড
টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।