আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

ট্রেনে নাশকতার তথ্য নেই: র‌্যাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে নাশকতা বা সহিংসতার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য যদি থাকে বা আশঙ্কা থাকে তা যেন আমরা যথাসময়ে জানতে পারি সে বিষয়ে আমাদের মেকানিজমও কাজ করছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এবং অন্য যারা কাজ করছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বলছি, কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। স্টেশনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এখানে আছেন। বিভিন্ন স্টেশনে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য নিয়োজিত করেছি। গোয়েন্দারাও কাজ করছেন, আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডও নজরদারি করছি। আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে।

ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদে নাড়ির টানে ঢাকাবাসীর অনেকেই বাড়ি চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সেই শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের মোটরসাইকেল পেট্রোলের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়। এছাড়া যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি, যাতে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাই।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় র‌্যাব-৩ সার্বক্ষণিক বেশ কিছুদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি দালাল বা টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা কেউই প্রকাশ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে জড়িত ছিল, যারা এই টিকিটকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনার প্রতারিত হবেন না। নিয়ম মেনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ যাত্রা উপভোগ করুন।


আরও খবর



সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন: বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। প্রার্থী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব মন্ত্রী-এমপির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পাশাপাশি বেপরোয়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও যে কোনো সময় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা আজ সোমবার রাতে শেষ হচ্ছে। এসব এলাকার প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী বুধবার (৮ মে) উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।

জানা গেছে, প্রথম ধাপের ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৪১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পরবর্তী ধাপগুলোর জন্যও একইভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে ইসি।

নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। সে অনুযায়ী আজ সোমবার মধ্যরাতেই প্রথম ধাপের প্রচার শেষ হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচার ঘিরে অনেক উপজেলায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীরাও এরই মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোট নিয়েও অনানুষ্ঠানিক প্রচারে রয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আর নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো উপজেলায় সংঘাত-সহিংসতা এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। আর নানা ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন ও অভিযোগ আসছে নিয়মিত। এর মধ্যে অনেক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসিতে। ইসি থেকে বারবার বিধি মেনে প্রচারের কথা বলা হলেও মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই তা অবজ্ঞা করে চলেছেন। ভোটারদের মন জয় করার পরিবর্তে পুলিশ প্রশাসন ও মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া প্রভাবশালীরা।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অভিযোগ উঠেছে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর পক্ষে সরাসরি মাঠে রয়েছেন মন্ত্রিপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল। ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর মন্ত্রী ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন।

মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, এমপি তার ছেলেকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

অভিযোগ এসেছে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এ ডি এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য ঝিনাইগাতী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায়ের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছেন।

চাঁদপুরের মতলব উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত দিয়েছেন ওই উপজেলার একজন প্রার্থী।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিমকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভায় সরাসরি ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম। এ-সংক্রান্ত একাধিক অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং স্থির চিত্রসহ নির্বাচন কমিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাফর আলম।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ওসির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী (সেলিম)। অভিযোগে তিনি বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে চেয়ারম্যান আতাহার ইশরাক চৌধুরী সাবাব ওরফে সাবাব চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। আর এ কাজে ওসি সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তার এমন অভিযোগের পর শনিবার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যেই বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ও বিতর্ক ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বর্তমান কমিশন। ওই নির্বাচনে সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় দেয়নি ইসি। শোকজ, তলব, তিরস্কার ও মামলা করা হয় তাদের অনেকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কঠোর পদক্ষেপের পরও বাগে আনতে না পারা এমপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের মতো সর্বোচ্চ পদক্ষেপও নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এবারের উপজেলা নির্বাচনেও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে। গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে আসছে মাঠের সেসব তথ্য। ফলে বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নির্বাচনের সেই ফর্মুলাই বেছে নিচ্ছে কমিশন। সম্প্রতি ডিসি-এসপিসহ মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটি। ওই বৈঠকে ডিসি-এসপিসহ অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নির্বাচনী মাঠের চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় বেশিরভাগ বক্তাই মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া এমপিদের লাগাম টানতে এরই মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরও অনেকেই কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার তথ্য আসছে। এ অবস্থায় মাঠ প্রশাসনের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তার কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এবার ৪৭৪টিতে চার ধাপে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন জমা ও প্রত্যাহার শেষে দ্বিতীয় ধাপের ১৬০ উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনের জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শেষ হয়েছে। এ ধাপের তপশিল অনুযায়ী, গতকাল রোববার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আজ সোমবার থেকে ৮ মে পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল চলবে। আপিল নিষ্পত্তি হবে ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ২৯ মে এ ধাপের ভোট গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৫ জুন। তপশিল অনুযায়ী, শেষ ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে।


আরও খবর



রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলা, নিহত ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এর মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। পূর্ব রাফাহর একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) ফিলিস্তিনের তথ্যকেন্দ্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে রাফাহ। শহরের আল-জাইনা এলাকায় আল-হামসের বাড়িতে ইসরাইলি বোমার আঘাতে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি তথ্যকেন্দ্র বলছে— এর আগেও দুটি বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

অ্যাসোসিয়েট প্রেস এজেন্সি (এপি) জানিয়েছে, ইসরাইলি বেশ কিছু ট্যাংক রাফাহ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

এদিকে সোমবার রাফাহ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরই রাফায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মিশরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে ইসরাইলের এমন হামলায় তা ভেস্তে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রায় মাস ধরে গাজার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। তাদের নির্বিচারে বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিন মুসলিম মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয়। শুরুর দিকে রাফায় ক্ষতি না হলেও সোমবার সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এতে প্রাণ বাঁচাতে রাফাহ থেকে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন সাধারণ মুসলিম ফিলিস্তিন।


আরও খবর



বাড়ছে লবণাক্ততা, কয়রায় সুপেয় পানির সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবন ঘেষা কয়রা উপজেলার চারিদিকে নদ-নদীতে অথৈ পানি থাকার পরেও বিশুদ্ধ পানির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে এই এলাকার জনসাধারণ বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অনেকেই অতিমাত্রায় লবণ ও কাঁদাযুক্ত পুকুরের পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত জটিল রোগে।

লোনা পানিতে উপকূলের মানুষের জীবনটাই যেন লোনা হয়ে গেছে। পানি যখন সুপেয় না হয়, তখন তা হয়ে ওঠে নানা অসুখ, নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মরণেরও কারণ। এখানে শুধু সুপেয় পানির অভাব এমনটাই নয়, পানিশূন্যতা, লবণাক্তসহ নানা চর্মরোগসহ দূর থেকে পানি আনায় শারীরিক বিভিন্ন ঝুঁকিও আছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এসব জনপদের চারদিকে পানি থাকলেও তা লবণাক্ত। বেশির ভাগ নারী লবণ পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারছেন। এক কলসি পানি সংগ্রহের জন্যে নারী-পুরুষ আর শিশুদের ছুটতে হয় সেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো টিউবওয়েল বসানো যায় না। তারপরও যা আছে তা দিয়ে লবণ পানি ওঠে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি পানিও ধরে রাখা যায় না, পানি নষ্ট হয়ে যায়। এসব পানি খেলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে।

২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক জরিপে দেশের উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ খাওয়ার পানির দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। জরিপে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকার ৭৩ শতাংশ মানুষকে অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করতে হয়।

কয়রা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুকুর ও জলাধার শুকিয়ে গেছে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপে পানি কম উঠছে। ফলে সংকট বেড়েছে।

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাধ্য হয়ে উপকূলের মানুষ পুকুরের পানি পান করে এ কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়া ও চর্মরোগ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসে। লবণাক্ত পানি পানের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করছে উপকূলের মানুষ, যা তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে। লবণাক্ত পানি পানের কারণে গর্ভবতী নারীদের কিডনি ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান বলেন, বছরের পর বছর লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষের কারণে মিঠাপানির পুকুরগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোতাসিম বিল্লাহ মনে করেন, উপকূলের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অপরিকল্পিত আর দায়সারা কাজে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলছে না।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মজুরি বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। এ সময় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার আহ্বান জানান। বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বোও না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা।’

শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন,  সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করবো। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলবো। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর