আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ

তিন হাজার ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পে সুফল মিলবে কি?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট থেকে রামগতি উপজেলা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মেঘনা নদীর উপকূল। খরস্রোতা হওয়ায় বর্ষা কিংবা শুষ্ক- দুই মৌসুমেই নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো। গত ৩০ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

উত্তাল মেঘনার এ করালগ্রাস থেকে দুই উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপণ্ডিতেরহাট এলাকা রক্ষায় সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গত বছরের শুরুর দিকে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতি ও কাজের ধীরগতির কারণে প্রতিনিয়তই ভাঙনের কবলে পড়ছে উপকূলবাসী। এবারের বর্ষায় ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।

মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সব প্যাকেজের কাজ একযোগে শুরু না হওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। কমলনগরের পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের বাঁধের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন জোয়ারের পানি আসা-যাওয়া করছে। এতে বাঁধ টেকসই ও সুফল মেলা নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্তাব্যক্তিরাও। তবে তাদের যুক্তি হলো, বর্ষার আগে বালি সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো করা যায়নি। এখন নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, মেঘনার ৩৩ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পাস হয়। এটি বাস্তবায়নে পুরো প্রকল্পকে ৯৯টি প্যাকেজে ভাগ করে একই বছরের আগস্টে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত পাউবোর পক্ষ থেকে ৪৩টি লটের বা সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমলনগরে আট ও রামগতিতে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। কমলনগর অংশে ২৬টি ও রামগতি অংশে ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে। নতুন করে আরো ৩৪টি লটের ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ অনুমোদনের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্বোধনের পর ১৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও তিন মাসের মাথায় বালি সংকটসহ নানা অজুহাতে তীররক্ষা বাঁধ বন্ধ রাখে। সম্প্রতি চাপের মুখে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই নির্মাণকাজে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে জোয়ারের পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর দিয়ে কয়েকদিন জোয়ারের পানি গড়াচ্ছে। এতে বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। নির্মাণাধীন বাঁধের ওই অংশের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে উপকূলের বাসিন্দারা জানায়, ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আগেও রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সেনাবাহিনী বাঁধ নির্মাণ করায় রামগতি বাজার ও আলেকজান্ডারের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা ভাঙন থেকে রেহাই পায়। তবে একই প্রকল্পে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মিত এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের পর আটবার ধসে পড়েছে।

সরেজমিন কমলনগর ও রামগতি উপজেলার কয়েকটি অরক্ষিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষায় তীব্র স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। বিলীন হচ্ছে গাছপালা, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছে উপকূলের বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি লটগুলোর বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু না হলে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়বে উপকূলবাসী। এতে ভেস্তে যেতে পারে সরকারের ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প।

কমলনগরের উপকূলীয় সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান জানান, রক্ষাবাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও যথাসময়ে একযোগে কাজ শুরু করা হয়নি। উদ্বোধনের পর দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে। এখনো অনেক স্থানেই জিও ব্যাগ ডাম্পিংই করা হয়নি। যথাসময়ে রামগতি-কমলনগর তীররক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন না হলে এখানকার মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। বর্ষা মৌসুম এলেই তীররক্ষা বাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। অরক্ষিত হয়ে পড়ে উপকূল। মেঘনাপাড়ের মানুষের সুরক্ষায় দ্রুত নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা জরুরি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীকে দিয়ে নদীর তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই কাজ শুরু করা হয়। এখানে শুষ্ক মৌসুমেও নদীভাঙন অব্যাহত ছিল। বর্ষার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করায় বর্ষায় কমলনগর-রামগতির বিস্তীর্ণ জনপদ এখন নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কমলনগরের চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সফিক মাঝি বলেন, পুরান সাহেবের হাট থেকে শুরু করে হাজিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ ১০ বছর ধরে ভাঙছে। এবারের বর্ষায়ও ভাঙছে, কিন্তু রক্ষাবাঁধ নির্মাণ বা জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। তারা এসে এসে শুধু দেখেই যায়।

নদীপাড়ের তেল ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, হাজিগঞ্জ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার নদী ভেঙেছে। এতে ১৫ বার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরাতে হয়েছে। এখন আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে। অথচ দুই পাশের ইউনিয়নে দুই লটে দুজন ঠিকাদারের লোকজন জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছেন। কিন্তু ভাঙন এলাকায় কারো চোখ পড়ে না।

এদিকে কমলনগর উপজেলায় চারটি প্যাকেজের কাজ করছেন মেসার্স সালেহ আহম্মদ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, সাড়ে ১২ মিটার বাঁধ নির্মাণকাজ পেয়েছেন তারা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও মাটি ভরাট করে বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ব্লক নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। বর্ষায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাসময়ের মধ্যে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩০০ মিটার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পায় মেসার্স এম আর কনস্ট্রাকশন ও কে কে এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের চরলরেঞ্জ গ্রামে নদীপাড়ের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছে তারা। জানতে চাইলে যৌথ প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার কবির হোসেন জানান, কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেরিতে পাওয়ায় কাজও দেরিতে শুরু করেছেন তিনি। আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করার কথা রয়েছে তার। বর্ষার শেষে মাটি ফেলে ও ব্লক স্থাপন করে বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে কাজে কোনো গাফিলতি হচ্ছে না। 

লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, রামগতি-কমলনগর মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় এখন পর্যন্ত ৪৩টি লটের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বর্ষাকালীন নদী উত্তাল থাকায় প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আগামী অর্থবছরের মধ্যে ব্লক নির্মাণকাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে। যেসব স্থানে কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হয়নি তবে বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে, সেসব স্থান আপৎকালীন জরুরি মেরামতের আওতায় এনে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: লক্ষ্মীপুর

আরও খবর



ডিমের হালি ৫৫ টাকা, কমেনি সবজির দামও

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানেও ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। কমেনি সবজির দামও।

এখন মাছ-মাংসের দাম বেশি, এমন সময় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ভরসা ডিম। তবে এই পণ্যের দাম হঠাৎ করে অস্থির হয়ে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করছেন অনেকে।

রামপুরার হাজিপাড়া বউবাজারে আসা গৃহকর্মী ফাতেমা খাতুন বলেন, বাচ্চাকাচ্চাকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারি না। ঝোলভাত খাওয়ার জেদ করলে এক হালি ডিম কিনে রান্না করে দিলে খুশি হতো। এখন সেটাও কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বউবাজারসহ রাজধানীর রামপুরা-মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ হুট করে কমে গেছে।

ঢাকায় ডিমের বড় দুটি পাইকারি বাজার আছে। এর একটি কারওয়ান বাজারসংলগ্ন তেজগাঁও রেলস্টেশন পাইকারি ডিমের বাজার। অন্যটি পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার। এই দুই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার পাইকারিতে ১০০ বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৮০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

যদিও প্রান্তিক খামারিরা ডিমের দাম কমা বাড়া নিয়ে তেজগাঁও আড়তমালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেন আড়তমালিকরা। যে সময় সারাদেশে ডিম হিমাগারে মজুত হয়েছে। এখন দাম বাড়িয়ে তারা মুনাফা করছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তারা (তেজগাঁও আড়তমালিকরা) ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।

তিনি বলেন, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।

এদিকে, বাজারে সবজির চড়া দাম প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাকরোল-বরবটিরও এমন দর। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা।

সবজির বাজার ছাড়াও বাড়তি উত্তাপ দেখা গেছে সব ধরনের মাছ, সোনালি মুরগি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামে। অন্যান্য পণ্যও চড়াদামে আটকে রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা কিংবা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে মিলছে না।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দামে ততটা হেরফের না হলেও সোনালি মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।


আরও খবর



মুম্বাইয়ে বিলবোর্ড ভেঙে নিহত ১২, আহত অন্তত ৬০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের মুম্বাইয়ে ধুলিঝড়ের মধ্যে বিশালাকায় একটি বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ তথ্য জানা গেছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি ফুয়েল স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাউস আকৃতির বিলবোর্ডটি ফুয়েল স্টেশনটির বিপরীতে ছিল। প্রবল ধূলিঝড়ের মাঝে বিলবোর্ডটি ভেঙে ঠিক ফুয়েল স্টেশনটির মাঝখানে এসে পড়ে। এতে মানুষের পাশাপাশি চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও।

দুর্ঘটনার পর ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপ অনেকাংশে সরানো সম্ভব হয়। সংস্থাটির পরিদর্শক গৌরব চৌহান জানান, নিহতদের মধ্যে আটজনের মরদেহ ‍উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহরাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এ ঘটনায় বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।


আরও খবর



মিয়ানমার চেকপোস্টে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবুল কালাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতির ছড়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে। রোববার (১২ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফুলতলী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪৮/২ এস এর জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন আবুল কালাম। ওই সময় মিয়ানমারের বান্ডুলা চেকপোস্ট এলাকায় আরাকান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। সূত্রটি আরও জানায়, মরদেহটি বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।

নিহত আবুল কালাম বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী ও ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন আগে চোরাচালানের জন্য মিয়ানমার অনুপ্রবেশ করার সময় ৫ বাংলাদেশি মাইনবিস্ফোরণে আহত হয়েছিলো।


আরও খবর



পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

আজ সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সচিবালয়স্থ দপ্তরে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। প্রতিমন্ত্রী পানি সম্পদ খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতেও এসব সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ করেন।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারত কাজ করছে। শীঘ্রই দুই দেশের সচিব পর্যায়ে এবং ভারতে নির্বাচনের পরে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এ মর্মে ভারতীয় হাইকমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর