আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২২ এর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মিরাজ হত্যা মামলার আসামী মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলম ও তার পুত্র আতাউর রহমান ও নাতি আরমান এবং গালিবের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

সোমবার (৩জানুয়ারি) ১১ টায় শহরের চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর উপজেলা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা আকবরের পরিবারের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্বারকলীপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মিরাজ হত্যার প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার না করে মিরাজের সাথে যারা আহত হয়েছিল তাদের গ্রেফতার করে জেলে দেওয়া হয়েছে। মামলার সুষ্ঠ তদন্ত না করেই নির্দোষ ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করে হয়রানী করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর পুত্র নাতিসহ পরিবারের সকলকে গ্রেফতার করে জেলে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত না করেই জেলে দিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আর উনি বৃদ্ধ মানুষ অনেক অসুস্থ। তাই ঘটনার সুষ্ঠ ও সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডর সুবোধ চন্দ্র রায়, সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডর আমিনুল ইসলাম বুলু, মুক্তিযোদ্ধা নরেন্দ্র নাথ সরকার, শংকর কুমার দে ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর পরিবারের সদস্য হারুন অর রশিদ প্রমূখ।

মানববন্ধনে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর পরিবারের সদস্যে ও প্রতিবেশিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারনামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তার আবেদনে সাড়াও মেলে প্রচুর। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১৬টির বেশি নম্বর এবং তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকা জমা হয়। এর বাইরে অনেকেই তার প্রতিষ্ঠানে সরাসরি অনুদান দিয়ে আসেন। মানবিক কাজের জন্য এখন পর্যন্ত তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন মিল্টন সমাদ্দার।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি সেই ট্রেনের উদ্ধার অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৩ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগি রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।


আরও খবর



অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাইদুর রহমান (৪৫)। তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষার ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহচর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. মারুফসহ ১১ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর