আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটনের বিকাশ, আশীর্বাদ না অভিশাপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের অন্যতম শীতল জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর।  দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জের ওই হাওর বর্তমানে বাংলাদেশের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ, আসতে শুরু করেছে বিদেশি পর্যটকরাও। সম্ভাবনার বিশাল এই জলাধারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নৌ-পর্যটন। দেশের অন্যতম সুন্দর, বড় ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এ হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির ঠিকানা। পরিযায়ী পাখি আর দেশীয় মাছের অভয়ারণ্য এ হাওর সুন্দরবনের পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। আগে অল্প-বিস্তর মানুষের আনাগোনা হলেও গত এক দশকের মধ্যে এই হাওরে পর্যটন বিকশিত হয়েছে দ্রুতগতিতে এবং তা রুপ নিয়েছে বাণিজ্যিক আকারে। দেশের বিভিন্ন এলাকার তরুণরা হাওরের জলে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন, নামিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনচালিত অভিজাত নৌকা। এসব নৌকায় পর্যটকরা আসছেন, থাকছেন এবং রাত যাপনও করছেন। নৌকায় রান্না হচ্ছে, হাওরের মাঝে হচ্ছে উচ্চ শব্দে গান বাজনা, শীতল জলে গা ভেজাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

পর্যটনের এমন অনিয়ন্ত্রিত আনাগোনা কি জীববৈচিত্র্যের আঁধার এ হাওয়ের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ এই আলোচনা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে । পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের আনাগোনা বাংলাদেশের পর্যটনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। অপরদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন হাওরে অনিয়ন্ত্রিত আনাগোনার কারণে বিশাল এই জলাভূমির জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে কমতে শুরু করেছে জলজ উদ্ভিদ, মাছ এবং পাখি। পর্যটকরা এসে হাওরে থাকছেন। পায়খানা প্রস্রাব করছেন, প্লাস্টিক ফেলছেন হাওরের জলে, নৌকার তেল মিশছে হাওরের জলে। এর ফলে মারাত্মকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় হচ্ছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন আশীর্বাদ: টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটনের শুরুটা কিন্তু খুব বেশি দিনের নয়। দেশীয় কিছু তরুণ পর্যটক নিজ উদ্যোগ হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য নৌকা নিয়ে হাওরের বুকে ভেসে বেড়াত। তারপর আস্তে আস্তে এর ব্যাপকতা লাভ করতে শুরু করে। এখন তা বাণিজ্যিক আকার ধারণ করেছে। কয়েক হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা হয়ে উঠেছে খাতটি।

এ বিষয়ে কথা হলে ট্যুর গ্রুপ বিডির (টিজিবি) উদ্যোক্তা মো. ইমরানুল আলম জানান, বাংলাদেশ একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা, তা বিগত ৫ বছরের সমৃদ্ধি খেয়াল করলেই মোটামুটি ধারনা পাওয়া যায়। এদেশের মানুষ চমক পছন্দ করে, নতুনত্ব পছন্দ করে। এরই ধারাবাহিকতায় হাওরে নৌকায় রাত্রিযাপন একটি নতুন চমক এদেশের পর্যটকদের জন্য। বিগত চার থেকে পাঁচ বছর ধরেই মানুষ ক্রমান্বয়ে এই চমক পরখ করে আসছে যা প্রতি বছরই বেড়েই চলেছে। প্রথমে শুরু হলো সাধারণ যাত্রীবাহী নৌকায় কোনোভাবে রাত্রিযাপন, সেখানে মানুষের প্রচুর আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তারপর নৌকায় এলো ভালো ওয়াশরুম, ফ্যান-লাইট, জেনারেটর। তারই ধারাবাহিকতায় আসলো নৌকার ভেতরে আরামে হাঁটাচলা করার ব্যাপারটা, সঙ্গে এলো নান্দনিকভাবে উপস্থাপন। সর্বশেষ নৌকার ভেতরে কেবিন, লবি, আইপিএসসহ রিসোর্ট সমমানের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন হাউজ বোট। প্রতিটি ধাপেই মানুষের আগ্রহের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ছুটির দিনগুলোতে নৌকা পাওয়াই দুষ্কর হয়ে যায়। এতে স্পষ্টতই বলা যায় হাওরের পর্যটন অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। সাথে এও বলা উচিত যে হাওরের পর্যটন এর ওপর ভিত্তি করে পুরো সুনামগঞ্জ জেলা এবং আশেপাশের কিছু থানারও জীবনযাত্রার মান এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ছে। এর কারণে ক্রমান্বয়ে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে। এটিও সম্ভাবনার আরো একটি কারণ বলা যায়।

আরেক ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ন্যানেবেজ ট্রাভেলার্সের পরিচালক মো. রাফিউল হক বলেন, একদম ফিক্সড করে বলতে না পারলেও আনুমানিক বলতে পারি। টাঙ্গুয়ার হাওরে ঢাকার মালিকের বোট আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ টা হবে। সুনামগঞ্জ এর স্থানীয়দের ও বোট সংখ্যাও প্রায় এর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে ১২০ থেকে ১৫০ বোট চলে আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওরে। প্রতিটা নৌকায় মাঝি, বাবুর্চি, গিয়ার ও কেয়ারটেকার এসব পোস্ট এ মিনিমাম চার জন করে স্টাফ থাকে। চার জন করে যদি প্রতি নৌকায় থাকে তাহলে ১৫০ নৌকায় ৬শ জন স্টাফ। এর মানে ৬শ পরিবার। ৬শ পরিবারে কয়েক হাজার মানুষ। এরা সবাই ওই খাতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

টাঙ্গুয়ার হাওরের তাহিরপুর এলাকার বাসিন্দা আজমান আলী বলেন, এখানকার মানুষ সারা বছর মুখিয়ে থাকে হাওরের পর্যটন মৌসুমের জন্য। মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য এটি এখন অনেক বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক গরিব-অসহায় মানুষের পেট চলে পর্যটন মৌসুমে কাজ করে। 

যা বলছে মৎস্য বিভাগ:  পর্যটকদের এই অনিয়িন্ত্রিত আনাগোনাকে পরিবেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন বিভাগ। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মণ্ডল বলেন, আমরা দেখি অনেক সময় মাছের পেটের মধ্যে প্লাস্টিক পাওয়া যায়। এটি হচ্ছে পর্যটকদের অতিরিক্ত আনাগোনার কারণে। এ ধরনের কার্যক্রমের কারণে হাওরের বায়োডাইভারসিটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকার কারণে হাওরের পানিতে তেল পড়ছে। এটাও হাওরের পানির দূষিত করছে। এর ফলে অ্যাকুয়াটিক প্ল্যানও (জলজ উদ্ভিদ) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাওরের প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে হাওরে প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করতে হবে এবং মাছের জন্য অভয়াশ্রম করতে হবে। যেখানে পর্যটকরা যেতে পারবে না এবং জেলরাও মাছ ধরতে পারবে না। এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিশাল এই জলাধারকে বলা হয় দেশি মাছের আঁধার। এক জরিপে দেখা যায় এ হাওরে আছে প্রায় ১৪১ প্রজাতির বেশি স্বাদু পানির মাছ। এছাড়াও হাওরে ১৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রায় ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১১ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটি ও ২১ প্রজাতির সাপ দেখা যায়। অস্তিত্বের হুমকিতে থাকা ২৬ প্রজাতির বন্য প্রাণীর আবাসভূমিও ওই হাওর। 

টনক নড়েছে প্রশাসনের:  টাঙ্গুয়ার হাওর মূলত সুনামগঞ্জের ছোট-বড় প্রায় ১২০টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত। তবে প্রধান বিল ৫৪টি এছাড়াও এ হাওরের ভেতরে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য খাল ও নালা। বর্ষা মৌসুমে সব খাল, বিল ও নালা মিলেমিশে একাকার হয়ে রূপ নেয় নীল জলের সমুদ্রে। জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৪৬টি গ্রামসহ পুরো হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১শ বর্গকিলোমিটার, যার দুই লাখ ৮০ হাজার ২৩৬ হেক্টরই জলাভূমি। বিশাল এই সম্পদকে রক্ষা করার জন্য ইতোমধ্যেই টনক নড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের।  সম্প্রতি রামসার কনভেনশনের আওতায় সংরক্ষিত এ হাওরে পর্যটক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ১২টি শর্ত দিয়েছে প্রশাসন।  বাধ্যতামূলক নিবন্ধনসহ ১২টি শর্ত না মানলে কোনো নৌযান পর্যটক নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ করতে পারবে না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ১২টি শর্তের মধ্যে দুটি নৌযানের নিবন্ধন সংক্রান্ত এবং বাকি ১০টি পর্যটন পরিবহন ও পরিবেশ সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত। নিবন্ধিত নৌযানকে পর্যটন পরিবহনে যে ১০ শর্ত মানতে হবে। তা হলো:

১. নদী, হাওর, বিল, পুকুরের পানি ও উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা যাবে না। ২. নৌযানে অবস্থানকালে প্রতিটি নৌযানে সংরক্ষিত ঢাকনাযুক্ত বড় ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। ৩. নৌযানে লাউডস্পিকার, মাইক প্রভৃতিসহ উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ৪. লাইফ জ্যাকেটসহ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না। বিরূপ আবহাওয়ায় নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না। ৫. নৌযানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। ৬. নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ৭. নৌযানে ভ্রমণের সময় কোনো ধরনের অসামাজিক কাজ কিংবা অনৈতিক কাজ কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটায় এমন কাজ করা যাবে না। ৮. স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাবাবেগ ও সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে ৯. অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। ১০. নৌযানে চলাচলের সময় পর্যটকদের মালামাল রক্ষার বিষয়ে ও দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট, স্থানীয়, পরিবেশ কর্মী ও মৎস্যবিদ সব পক্ষই বলছেন নিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কথা। যারা হাওর দেখতে যাবেন তারা যদি হাওরের পরিবেশগত দিক মাথায় রেখে আচরণ করেন তাহলে দেশের ওই বিশাল সম্পদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। 

নিউজ ট্যাগ: টাঙ্গুয়ার হাওর

আরও খবর



স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে যা বললেন কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হওয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর এ বিষয়ে নিজ স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ডিবি কার্যালয়ে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এদিন সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় তাকে তলব করে প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন? প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর বলেন, আমার স্ত্রী কোনো ভুল করেছে কি না আমি জানি না। আমি তার বিষয়ে কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা তার কাছে কি তথ্য পেয়েছে সেটিও জানি না। আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।

তাহলে আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।

কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কতগুলো হয়েছে।

সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।

২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চায় মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিল্টনের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে মৃত্যুর সনদ তৈরি করা কিংবা মরদেহে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত মর্মে কমিশন মনে করে।

কমিশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

আগামী ৩০ মের মধ্যে সংস্থাগুলোকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।

এরপর শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

গতকাল বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছিল। সেটার চিকিৎসার জন্যই গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে।


আরও খবর



নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশের সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

এদিকে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।


আরও খবর