প্রায় দুই মাস ধরে দেশের মুরগির বাজারে অস্থিরতার
পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। প্রকারভেদে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির
দাম। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।
গত চারদিন আগেও ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি
দরে বিক্রি হয়েছিল এ পোল্ট্রি পণ্য। রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হাঁস-মুরগির
বাজারে গিয়ে নতুন মূল্যের এ তথ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, গত চারদিন আগে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ৩৯০ টাকা কেজি দরে। আজ সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। ৩৯০ টাকা কেজি দরে
বিক্রি হওয়া সাদা কক মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম ৩৬০
টাকা; চার দিন আগের বিক্রি ৪২০ টাকায়। ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লেয়ার এখন বিক্রি
হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
সম্প্রতি মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা
দিলে নড়ে-চড়ে বসে তদারকি সংস্থাগুলো। মুরগির দাম নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতা কমাতে দেশের
বড় চার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে
শুনানি শেষে ফার্ম থেকে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়
প্রতিষ্ঠান চারটি। এরপর থেকেই বাজারে কমতে থাকে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম।
বাজারে স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট
হতে পারেননি মুরগির ক্রেতারা। দাম কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এটা
যথেষ্ট নয়। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি হলে সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক হতো।
কিন্তু মুরগিসহ সবকিছুর দাম বেশি।