আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে দুই দিনের ব্যবধানে আগুনে পুড়ল আরও ৯টি বসতঘর

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে দুই দিনের ব্যবধানে আবারো আগুনে পুড়লো মালামালসহ ৯টি বসতঘর পুড়ে গেছে। সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে স্বরূপকাঠি পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের জগন্নাথকাঠি এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

ওই এলাকার আব্দুল জলিলের বসত ঘরে থেকে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত  বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি বলে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর মালিক সুত্র জানায়। জানাগেছে, ওই এলাকার আব্দুল জলিলের বসত ঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রা ডাক চিৎকার দিলে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নেছারাবাদ ও বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অকুস্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় আব্দুল জলিলের বসত ঘর, মো. কালামের দোতলা বসত ঘর, রাশেদুলের বসত ঘর, মো. জাকিরের বসত ঘর, মো. নজরুল ইসলামের বসত ঘর,সাহানা বেগমের বসত ঘর, মো. আবু হানিফের বসত ঘর, মো. মিন্টু মিয়ার বসত ঘর মালামালসহ সম্পূর্ণ এবং মো. জাহিদ হোসেনের বসতঘর আংশিক পুড়ে যায়।

নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের ষ্টেশন ম্যানেজার আব্দুস সালাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় ঘন্টা খানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে বলেও তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রসংগত, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ছারছিনা বাসষ্ট্যান্ড মার্কেটে সংগঠিত এক অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ এর সব আরোহীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় তারা শোক জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

পৃথক এক শোকবার্তায় রাইসিকে একজন বড় মাপের নেতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা। ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি তিনি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। পরে দীর্ঘসময় উদ্ধার অভিযান চালানোর পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় তারা। এরপর হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী জীবিত নেই বলে নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের। তিনি বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


আরও খবর



১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



গরু বিতর্কের জবাব দিলেন আশনা হাবিব ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে। ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা। এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না।

হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা। মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী।

ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী। গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে।

গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন। এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না। তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন। নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



এবার বেনজীরের কোম্পানি-ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তির দলিল ১১৪, ঢাকায় ফ্ল্যাট চারটি, চারটি শতভাগ মালিকানা কোম্পানি, ১৫ টি  আংশিক মালিকানা কোম্পানি ও চারটি বিও একাউন্ট দুদকের পক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেন। আদালত তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

এর আগে, ২৩ মে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ৮৩ দলিলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে নতুন অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নোবলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এবার তার বিরুদ্ধে নিজ ও পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস কর্পোরেশন লিমিটেডকে বেআইনিভাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ প্রদান, ঋণ মওকুফ ও কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর কাছে গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) প্রদীপ কুমার কুমার সাহা এ অভিযোগ দেন। এ সময় ব্যাংকটির আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রায়ই বলে থাকেন তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কখনো ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা গ্রহণ করেননি। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে নিজ পারিবারিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে অবস্থিত প্যাকেজেস কর্পোরেশন লিমিটেডকে দাতা সংস্থার শর্ত লঙ্ঘনপূর্বক গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আনা এবং ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করার বিষয়ে আপত্তি উত্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার বাবা দুলা মিয়া, তিনি নিজে এবং তার অপর দুই ভাই আব্দুস সালাম ও মুহাম্মদ ইব্রাহীম।

এছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত স্বনামধন্য নিরীক্ষা ফার্ম কর্তৃক ১৯৮৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের কমপ্রিহেনসিভ নিরীক্ষা রিপোর্টে প্যাকেজেস কর্পোরেশনকে বেআইনিভাবে ঋণ প্রদান, ঋণ মওকুফ ও কোটি কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদান সম্পর্কিত ব্যাপক দুর্নীতির দালিলিক তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে অরিজিনাল ভাউচার, অ্যাডভাইস, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ঋণ ও বিলের অনুমোদন পত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বলেন ডিএমডি প্রদীপ।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকাকালীন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আইন ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বের চূড়ান্ত অবমাননা করে ১৯৯০ সাল থেকে পারিবারিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস কর্পোরেশনকে সাড়ে ৯ কোটি টাকা অবৈধ সুবিধা প্রদান করেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা শুধু ভূমিহীন দরিদ্র ঋণগ্রহীতাদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি আইন ভঙ্গ করে তার পরিবারিক রুগ্ন ও লোকসানি প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস কর্পোরেশনকে বিপুল অংকের ঋণ প্রদান করেছেন। পরে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুদ, এমনকি আসলেরও কিছু অংশ সুকৌশলে মওকুফ করিয়ে নিয়েছেন।

প্রদীপ কুমার বলেন, পরিচালানা পর্ষদের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রামীণ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রেষণে নিয়োগ দেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের অফিস বিনাভাড়ায় ব্যবহার করেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দর নির্ধারণী কমিটি গঠন করেন। তিনি নিজের প্রণীত ও স্বাক্ষরিত গ্রামীণ ব্যাংক ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজের মালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়াই উচ্চদরে গ্রামীণ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকার প্রিন্টিং সামগ্রী ছাপানোর কার্যাদেশ প্রদান করেছেন। এভাবে নিজে ও পরিবারিকভাবে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। আজ এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে ন্যায়বিচার দাবি করছি।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।


আরও খবর