আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

স্বজনদের ঠিকানা ভুল: বাড়ি যেতে পারছে না ৯ মানসিক রোগী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাবনা প্রতিনিধি:

চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েও বাড়ি যেতে পারছে না ৯ জন অনেক বছর ধরেই আছেন পাবনার মানসিক হাসপাতালে। এদের মধ্যে কেউ ৩১ বছর কেউ ২১ বছর কেউ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানসিক হাসপাতালে আছে। ভুল ঠিকানায় ভর্তি করার পর এসব রোগীদের আর কোন খোঁজ রাখেনি পরিবার। তাই তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় হাসপাতালেই রয়ে গেছেন তারা । 

পাবনার মানসিক হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার রায় এমন তথ্যে নিশ্চিত করেছেন। এসব রোগীকে যখন ভর্তি করা হয়েছিল সে সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। ফলে রোগীর  স্বজনদের দেয়া তথ্যের উপর ভরসা করেই রোগী ভর্তি করা হতো যার কারণে কিছু রোগীর স্বজন প্রতারণা করে ভুল ঠিকানা দিয়েছে হাসপাতালকে। যদিও এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে বর্তমানে রোগী এবং রোগীর স্বজনদের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোন ভর্তি নেওয়া হয় না। এদিকে সুস্থ হয়ে ওঠা ৯ জনের স্বজনরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তারা। বর্তমানে আবারও মানসিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এদের বেশিরভাগই এখন বাড়ি ফিরতে চান। সুস্থ হয়েও হাসপাতালে অনেকটা বন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে এসব নারী ও পুরুষদের। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাদের। এদের মধ্যে অনেকেই এখন বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছেন। শেষ জীবনে পরিবারের সদস্য ছাড়া একাকিত্ব জীবন তাদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

এদের একজন বদিউল আলম। মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য স্বজনরা ২০০৫ সালে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রথম দিকে পরিবারের লোকজন খোঁজ খবর রাখলেও পরে আর কোন খবর রাখেনি। দীর্ঘদিন ডাক্তারের নিয়মিত চিকিৎসায় এক সময় বদিউল আলম সুস্থ হয়ে ওঠেন। ভর্তির সময় তার বাড়ির ঠিকানা অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে সেই ঠিকানা অনুযায়ী বদিউল আলমের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। ভর্তির সময় বদিউল আলম এর পরিবার থেকে ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। ভর্তির সময় বদিউল আলমের বয়স ছিলো ৩০ বছর। এখন তার বয়স চলছে ৪৪ বছর। পাবনা মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে বদিউল আলম অনেক আগেই ছাড়পত্রের জন্য উপযুক্ত ঘোষিত হয়েছে। স্বজনরা কেউ না আসায় তিনি এখন হাসপাতালেই জীবনের শেষ সময় পার করছেন। হাসপাতালের রেজিষ্ট্রেশন বই অনুযায়ী ভর্তির সময় পিতার নাম দেয়া ছিল, মৃত আঃ ওয়াদুদ সিকদার, ভাইয়ের নাম মো. জিয়াউল আলম (উজ্জল)। ২৪৩ মধ্য বাসাব সবুজবাগ ঢাকা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৫নং ওর্য়াডে আছেন।

সাঈদ হোসেন ১৯৯৬ সালের ২২ জুলাই পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির সময় তার বাবার নাম লেখা ছিল আবুল হাসেম মিয়া। মায়ের নাম লেখা ছিল হেলেনা বেগম। স্থানীয় ঠিকানা ছিল পাবনার দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকা। ভর্তির সময় সাঈদের বয়স ছিল ৩৬ বছর। বর্তমান তার বয়স হয়েছে ৫৯ বছর। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে মেডিকেল বোর্ড তাকেও ছাড়পত্রের জন্য উপযুক্ত বলে সুপারিশ করেছে। কিন্তু পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ঠিকানায় পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ আর যোগাযোগ করেনি। ফলে তিনিও অনেকদিন যাবত হাসপাতালের ৯ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা হয়ে আছেন।

জাকিয়া সুলতানা মাত্র ২১ বছর বয়সে ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই মানসিক রোগী হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বাবার নাম দেয়া ছিল মৃত বজলুর রশিদ, মায়ের নাম শাহনাজ। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল পাবনার রাধানগর এলাকার। জাকিয়া সুলতানার পরিবার প্রথম দিকে খোঁজ নিলেও পরে আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি। সময়ের ব্যবধানে তার পরিবার খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এখন ভালো হয়ে গেলেও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে তার বয়স ৩১ বছর। বর্তমান হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে আছেন। একই পরিণতি সিপ্রা রাণী রায়, নাজমা নিলুফার, নাইমা চৌধুরী, গোলজার বিবি, শাহানারা আক্তার, অনামিকা (বুবি)। এদের মধ্যে সিপ্রা রাণী রায় ছাড়া বাকি সবাই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছেন। মেডিকেল বোর্ড তাদেরকে সুস্থ বলে ছাড় পত্রের জন্য সুপারিশ করেছে। শিপ্রা রাণী রায় এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেনি। তার চিকিৎসা এখনও চলমান। এখন তারা কোথায় যাবে কোন ঠিকানা জানা নেই। চিকিৎসায় সেরে ওঠার পর যখন বুঝতে পারছে যে তাদের পরিবার তাদেরকে নিতে চাচ্ছে না তখন তাড়া হতাশ হয়ে পড়ছে। মানসিক রোগীর সাথেই জীবন কাটছে সেরে ওঠা এসব মানুষের। মানসিক কষ্ট বুকে চেপেই তারা চুপচাপ অন্যর স্বজনদের আসা যাওয়ার দৃশ্য দেখে। প্রতিনিয়তই তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের অপেক্ষায় থাকে। এই বন্দি পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় আজকের দর্পণকে বলেন, আগে একসময় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। ফলে রোগীর স্বজনদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই রোগী ভর্তি করা হতো। পরবর্তীতে দেখা গেছে কিছু রোগীর ঠিকানায় ভুল তথ্যে দিয়েছে স্বজনরা। সুস্থ হয়ে ওঠা এসব রোগীদের ঠিকানা অনুযায়ী আমরা খোঁজ নিয়ে তাদের কোন আত্মীয় স্বজনকে পাইনি। ফলে তারা এখন হাসপাতালেই রয়েছে। পরিবার থেকে খোঁজ খবর নেয় না এমন রোগীদের বেশির ভাগই নারী। রোগীদের কেউ চিনতে পারলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার অনুরোধ জানান ডা. রতন কুমার রায়।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় ‘অড সিগনেচার’ ব্যান্ডের পিয়াল নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ব্যান্ড অড সিগনেচার। এ দুর্ঘটনায় ব্যান্ডটির গায়ক ও গিটারিস্ট আহাসান তানভীর পিয়াল ও গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। খবরটি অড সিগনেচার ব্যান্ডের ফেসবুক পেজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ (১১ মে) ভোর সাড়ে ৫ টায় মহাসড়কের চৈতাব এলাকায় ড্রীম হলিডে পার্কের সামনে হানিফ পরিবহণ ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অড সিগনেচারের পেজ থেকে এদিন সকালে একটি পোস্টে বলা হয়, সিলেট যাওয়ার পথে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে অড সিগনেচারের গাড়ি মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে ব্যান্ডের সকল সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়। ড্রাইভার সাহেব সালাম আর ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য আহাসান তানভীর পিয়াল এই দুর্ঘটনায় নিহত হন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নরসিংদী ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহণ একটি যাত্রীবাহী বাস ড্রীম হলিডে পার্কের সামনে পৌঁছালে সে সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও এক যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের আরও তিন যাত্রী। দুর্ঘটনার পর হানিফ পরিবহনের বাসটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তার পিছু নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে আটক করে। তবে এরইমধ্যে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ খবর শুনে মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে। ব্যান্ডটির অনুরাগীরা নেট দুনিয়ায় নিহত পিয়ালের জন্য শোক প্রকাশের পাশাপাশি বাকি সদস্যদের সুস্থতা কামনা করেছেন।

অড সিগনেচার তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ব্যান্ড। ২০১৭ সালে এর আত্মপ্রকাশ। শ্রোতাদের কাছে গল্প ভিত্তিক গানের কারণে জনপ্রিয় দলটি। ব্যান্ডটির গানগুলোর মধ্যে ঘুম, আমার দেহখান, দুঃস্বপ্ন অন্যতম।


আরও খবর



সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী গত ১৫ মে মদিনায় মারা গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর



রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মানবপাচারের মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চার দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।


আরও খবর



গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি।

যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি শুক্রবার বলেন, আমরা নিজেদের রক্ষা করা থেকে কখনও বিরত থাকব না। হেগ আদালতের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি পদক্ষেপের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।’


আরও খবর