আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

স্বচ্ছ লেনদেন খাঁটি মুমিনের পরিচয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একবার নবীজি (সা.) সাহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি জানো নিঃস্ব কে? তারা বললেন, যার অর্থ-সম্পদ নেই আমরা তো তাকেই নিঃস্ব মনে করি। তখন নবীজি (সা.) বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের ময়দানে নামাজ, রোজা, জাকাতসহ (অনেক নেক আমল) নিয়ে হাজির হবে। তবে সে হয়ত কাউকে গালি দিয়েছে বা কারো উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে বা কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে বা কাউকে খুন করেছে অথবা কাউকে আঘাত করেছে। ফলে প্রত্যেককে তার হক অনুযায়ী এই ব্যক্তির নেক আমল থেকে দিয়ে দেয়া হবে। যদি কারও হক বাকি থেকে যায় আর এই ব্যক্তির নেক আমল শেষ হয়ে যায়, তাহলে হকদার ব্যক্তির পাপ পাওনা অনুসারে এই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে। (সহীহ মুসলিম, হাদিস ২৫৮১; জামে তিরমিজি, হাদিস ২৪১৮)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের ময়দানে কোনো বান্দা তার এক পাও নড়াতে পারবে না। যতক্ষণ না তাকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে- ১. সে তার জীবন কোন পথে শেষ করেছে। ২. যতটুকু ইলম শিখেছে তার উপর কতটুকু আমল করেছে। ৩. সম্পদ কোন পথে আয় করেছে। ৪. এবং কোন পথে ব্যয় করেছে। ৫. নিজের যৌবনকে কোন পথে শেষ করেছে। (জামে তিরমিযী, হাদিস ২৪১৭)

অন্যের অবৈধ সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কঠোরতা

কোনো মুমিন নিজে তো অস্বচ্ছ ও অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করবেই না। এমনকি অন্যের অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদও সে ব্যবহার করবে না।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জেনেশুনে চুরি করে আনা মাল ক্রয় করল, সেও চুরির পাপের মধ্যে শামিল হল। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস ২২৫৩)

লেনদেনে অস্বচ্ছতার কারণে দুআ-ইবাদত কবুল হয় না

আমরা নামাজ-রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আর তিনি সেই আমলের দ্বারাই সন্তুষ্ট হন, যে আমল তার কাছে গ্রহণযোগ্য। যে ব্যক্তি অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ থেকে তার প্রয়োজন পুরা করে; আল্লাহ পাক তার ইবাদত-বন্দেগী ও দুআ-মুনাজাত কবুল করেন না। হাদিস শরীফে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র (আমল) ছাড়া গ্রহণ করেন না। তিনি রাসূলগণকে যে আদেশ করেছেন। একই আদেশ করেছেন মুমিনদেরকে। তিনি বলেছেন- (হে রাসূলগণ! আপনারা উত্তম (হালাল) রিযিক থেকে আহার করুন এবং নেক আমল করুন।

তিনি মুমিনদেরকেও বলেছেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার প্রদত্ত হালাল রিযিক থেকে আহার কর। অতপর নবীজি একজন লোকের বর্ণনা দিলেন যে ,দীর্ঘ সফর করেছে। চুলগুলো এলোমেলো, শরীর ধূলি ধূসরিত। আসমানের দিকে হাত উত্তোলন করে দুআ করছে- হে আমার রব! হে আমার রব!! অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দুআ কবুল হবে? (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১০১৫; জামে তিরমিজি, হাদিস ২৯৮৯)

ইবনে রজব হান্বলী রাহ. হাদিসটির ব্যাখ্যায় লিখেছেন, এই হাদিসে উদাহরণস্বরূপ শুধু দুআর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। নতুবা হারাম দ্বারা প্রতিপালিত হলে তার কোনো আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। (জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম, পৃ. ১৮৫)

আল্লাহ তায়ালা অবৈধ সম্পদের দান কবুল করেন না

ইসলামের সুস্পষ্ট ঘোষণা হচ্ছে, কেবলমাত্র নেক আমলই বদ আমলকে নির্মূল করে। বদ আমল কখনো অন্য বদ আমলকে নির্মূল করতে পারে না। অর্থাৎ আমরা দান-সদকা, জাকাত-ফিতরা আদায় করি, যাতে আমাদের পাপ মোচন হয় এবং সম্পদ পবিত্র হয়। কিন্তু এ কাজ পাপের পথে অর্জিত সম্পদ দ্বারা সম্ভব নয়। কারণ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করাই একটি পাপ। সুতরাং সেই পাপ দ্বারা অন্য পাপ মাফ হওয়ার আশা নেই। তেমনই অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ অপবিত্র, সুতরাং তা দ্বারা নিজের সম্পদ পবিত্র করাও অসম্ভব। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এমন হবে না যে, কোনো বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করবে অতপর তা থেকে (বৈধ ও নেক কাজে ) খরচ করবে আর তাতে বরকত দান করা হবে। সে তা থেকে সদকা করবে আর তা কবুল করা হবে। বরং ঐ ব্যক্তি ঐ সম্পদ (মিরাছ হিসাবে) তার মৃত্যুর পর রেখে গেলেও তা তাকে আরো বেশি করে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা পাপ দ্বারা অপর পাপকে নির্মূল করেন না। তবে নেক আমল দ্বারা পাপকে নির্মূল করেন। নিশ্চয়ই নাপাক বস্তু অপর নাপাক বস্তুর নাপাকি দূর করতে পারে না। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৩৬৭২; মুসনাদে বায্যার, হাদিস ২০২৬)

হাদিস শরীফে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করেন না এবং আত্মসাতের মালের ছদকা কবুল করেন না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২২৪)

এর বিপরীতে হালাল ও বৈধ সম্পদ সদকা করার ব্যাপারে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক কেবল (হারামের মিশ্রণ থেকে) পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে এক মুষ্ঠি খেজুরও দান করে আল্লাহ পাক তা নিজ হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা ওই  ব্যক্তির জন্য প্রতিপালন করতে থাকেন। যেমন তোমাদের কেউ উটের বাচ্চা প্রতিপালন করে। বৃদ্ধি পেতে পেতে এক সময় ওই সামান্য খেজুরমুষ্ঠি পাহাড়সম হয়ে যায়। (সহিহ বুখারী, হাদিস ১৪১০; সহিহ মুসলিম, হাদিস ১০১৪)

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যখন তুমি তোমার সম্পদের জাকাত আদায় করলে তখন তুমি এ সম্পদের ব্যাপারে তোমার অবশ্যকরণীয় বিধান পালন করলে। যে ব্যক্তি হারাম মাল উপার্জন করবে অতপর তা সদকা করবে সেই সদকায় তার কোনো সওয়াব হবে না বরং অবৈধ উপার্জনের পাপের বোঝা তার ঘাড়ে চেপেই থাকবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩২১৬) তাবেঈ কাসেম বিন মুখায়মিরাহ রাহ. (সাহাবীর মধ্যস্থতা উল্লেখ না করে সরাসরি রাসুলের থেকে) যেসকল হাদিস বর্ণনা করেছেন তার একটি হল, নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো পাপের পথে সম্পদ উপার্জন করল অতপর তা আত্মীয়তা রক্ষায় খরচ করল বা সদকা করল অথবা তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল; তাহলে (কিয়ামতের মাঠে) এসবকিছুই একত্রিত করা হবে অতপর তা জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (কিতাবুল মারাসীল, আবু দাউদ, হাদিস ১৩১)

বিখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. কে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো, যে ব্যক্তি এখন নেক আমল করছে। তবে পূর্বে জুলুম-অত্যাচার করত এবং হারাম গ্রহণ করত। এখন সে নেকদিলে তওবা করে পূর্বের সেই সম্পদ দিয়ে হজ্ব করল, গোলাম আযাদ করল এবং আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকা করল (তার ব্যাপারে কী বলেন?)। জবাবে তিনি বললেন, নিশ্চয়ই নাপাকী অপর নাপাকীকে দূর করতে পারে না। (মুসনাদে বায্যার, হাদিস ৯৩২)

সুতরাং যারা হারাম পথে সম্পদ উপার্জন করে আর মনে মনে ভাবে, এখান থেকে কিছু সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেব;  ব্যস, সাত খুন মাফ, তাদের উচিত, নবীজি (সা.) এর এই বাণীগুলো ভালোভাবে স্মরণ রাখা।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর একটি বড় শিক্ষণীয় ঘটনা আছে। তার সময়ে বসরার আমির ছিল আব্দুল্লাহ বিন আমের। সে মুসলমানদের বায়তুল মাল থেকে তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি গ্রহণ করত। কিন্তু তার স্বভাব ছিল, সে এসব সম্পদ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিত, মসজিদ নির্মাণের কাজে খরচ করত, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করত। যখন সে মৃত্যুশয্যায় উপনীত হল তখন লোকজন তার চারপাশে ভীড় জমাল এবং তার দান-দাক্ষিণ্য ও মানুষের প্রতি তার অনুগ্রহের ভূয়সী প্রশংসা করতে লাগল। তবে ইবনে ওমর রা. চুপচাপ রইলেন। যখন বসরার আমির ইবনে আমের স্বয়ং তাকে কথা বলতে ও নিজের জন্য দুআ করতে আবেদন করল।

তখন তিনি তাকে নবীজি (সা.) এর একটি হাদীস শোনালেন-আল্লাহ পাক আত্মসাতের মালের ছদকা কবুল করেন না। অতপর তাকে বললেন, তুমি তো বসরা শহরেরই আমির ছিলে। অর্থাৎ আমি তোমার কীর্তি-কর্ম সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত যে, তুমি বায়তুল মালের সম্পদ না-হকভাবে গ্রহণ করতে। সুতরাং কীভাবে তোমার এসকল দান-সদকা কবুল হবে? আর তোমার জন্যে দুআ করলে সেই দুআই বা কীভাবে কবুল হবে? (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২২৪)

হারাম হতে সৃষ্ট শরীর জান্নাতে যাবে না

হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন-এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৪৪৪১; মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, হাদীস ২০৭১৯; মুসনাদে আবদ ইবনে হুমাইদ, হাদীস ১১৩৮

নবীজী (সা.) একবার হযরত কাব বিন উজরাহ রা.-কে ডেকে বললেন, হে কাব! শুনে রাখো, ওই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম হতে সৃষ্ট। কেননা জাহান্নামের আগুনই তার অধিক উপযোগী।-জামে তিরমিযী, হাদীস ৬১৪; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, ১৯/২১২


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. মারুফসহ ১১ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১০

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে এক গেস্টহাউসে আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মীরা ১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল প্রদেশের ফায়ার বিভাগ বলেছে, শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে তিনতলা ভবনটি আগুনে পুড়ছে দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করছেন। ফায়ার বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

প্রদেশের গভর্নর এডুয়ার্ডো জানান, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে। তিনি এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স' এ পোস্টে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক ডজন কর্মীসহ ৫টি ইউনিট কাজ করছে। ভয়াবহ এ ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধান করা হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা। শহরের মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর