বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর অর্জন সাফল্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নির্দেশনায় ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
উল্লেখযোগ্য অর্জন ও সাফল্যসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রখ্যাত চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক
ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর বর্ণাঢ্য জীবনের উপর আলোকপাত করা হয়।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় ১লা জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে মিন্টো রোডস্থ বঙ্গমাতা
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিট অফথালমোলজি বিভাগ
আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বলা হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতি সব সময়ই আন্তরিক। প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ
চালু হয়েছে। দীর্ঘদিনের হতাশা দূর করতে নয় শতাধিক কর্মচারী চাকুরী স্থায়ী করেছেন। ইতোমধ্যে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন এবং বর্তমানে সেখানে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে কনসালটেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা
কার্যক্রম জোরদার হয়েছে বিশেষ করে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং, এন্টিবডি নিয়ে
ধারাবাহিক গবেষণা কার্যক্রম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ক্ষেত্রে উপাচার্য অধ্যাপক
ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর সময়ে নতুন মাত্রাযোগ হয়েছে। চক্ষুরোগের চিকিৎসা, অন্ধত্ব
নিবারণে অসামান্য অবদান রাখা, চক্ষুরোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রাখায় অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ সবাইকে ইংরেজি
হেপি নিউ ইয়ার ২০২৩ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রোগ প্রতিরোধে সব চাইতে গুরুত্ব দিতে
হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। বঙ্গবন্ধু
কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই করোনাভাইরাস মহামারী সফলভাবে মোকাবিলা
করা সম্ভব হয়েছে। মানুষকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে
বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ
সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। তিনি তার বক্তব্যে সবাইকে জনত্রেনী শেখ হাসিনার হাতকে
শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
মাননীয় উপাচার্য বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণের
লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের আরো সুনাম বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদার করতে প্রয়োজনে
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন দেশের এ্যাম্বাসিগুলোর মেডিক্যাল
এডুকেশনসহ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে গবেষণায় ব্যয় করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া
হবে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে এমএস কোর্স চালু করা হয়েছে। অন্ধত্ব দূরীকরণে
আরওপি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। পিএইচডি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। শীঘ্রই বোনম্যারো
ট্রান্সপ্ল্যান্টেটেশন বাস্তবায়ন করা হবে। রোবটিক সার্জারি চালু সময়ের দাবী, শীঘ্রই
তা চালু করা হবে। মাননীয় উপাচার্য তার বক্তব্যে শিক্ষার্থী ও ডাইভারদের চোখ পরীক্ষার
উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চোখের রোগের বিষয়ে জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য সামাজিক আন্দোলনকে
ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ একজন কাজ
পাগল মানুষ। কর্মঠ, পরিশ্রমী, সময়ের প্রতি অত্যন্ত সচেতন একজন মানুষ ও দক্ষ সংগঠক।
তিনি মিষ্টভাষী, সুবক্তা এবং তিনি জীবনে কারো সাথে রাগ করে কথা বলেননি। চিকিৎসা পেশার
মানোন্নয়ন ও চিকিৎসকদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যখাতের
উন্নয়নে তার রয়েছে অসামান্য অবদান।
অনুষ্ঠানে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)
অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ,
উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক
ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, ডিন অধ্যাপক
ডা. মাসুদা বেগম, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন
কুমার তপাদার, অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাননীয় উপাচার্য
মহোদয়ের সহধর্মিনী অধ্যাপক ডা. নাফিজা আহমেদ, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক
ডা. মোঃ জাফর খালেদ, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত
কবীর, সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী, সহযোগী অধ্যাপক শামস মোঃ নোমান সহকারী অধ্যাপক
ডা. নিরুপম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা.
মোহাম্মদ শীষ রহমান, কনসালট্যান্ট ডা. সোনিয়া আহসান। অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত চক্ষু
বিশেষজ্ঞগণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন
বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।