আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

স্বাধীনতার পর থেকেই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মাহফুজ আনাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাহফুজ আনাম একাধারে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রকারী, একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার অন্যতম কুশীলব, অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমস্ত কূটচাল ও এজেন্ডা নির্ধারক, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম হোতা। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন এই মাহফুজ আনাম। তবে তার মুখোশ উন্মোচিত হয় ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে। তিনি ছিলেন এককথায় ওই অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রাণভ্রোমরা।

মূলত, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হন মাহফুজ আনাম। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার অপতৎপরতা আরো বাড়তে থাকে। বিদেশে বিভিন্ন এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার সময় তিনি বারবার বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন। বাংলাদেশবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগসাজস রেখে ১৯৯১ সালে মাহফুজ আনাম যুক্ত হন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে। সেই থেকে একের পর এক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী প্রপাগান্ডার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার মিশনে নামেন তিনি। ২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দীন আহমদের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পাঠানো হয় ডেইলি স্টারের পদস্থ নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মোনায়েমকে। সেনা শাসনের পুরো সময়জুড়ে সেনা সমর্থিত অগণতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনকে স্বাগত জানিয়ে এবং উল্টোদিকে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে গালমন্দ করে ডেইলি স্টারে বড় বড় নিবন্ধ ছাপেন।

মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই মাহফুজ আনাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করে নিজের পত্রিকায় রায় দিয়ে গেছেন। সুযোগ বুঝে দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলে ভাঙন ধরানোর অপকৌশলে লিপ্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় পাকাপোক্ত করতে চালান নানামুখী অপতৎপরতা। একইসঙ্গে দেশের প্রায় সব শিল্পপতিকে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে হেনস্থা করতে শুরু করেন ডেইলি স্টারের মাধ্যমে।

শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে রাজনীতিতে নামারও শখ হয় মাহফুজ আনামের। তখন দেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব আরেক কুশীলব ড. মোহাম্মদ ইউনূসের। শান্তিতে নোবেল পেলেও দেশে অশান্তি ছড়ানোর মন্ত্র নিয়ে মাহফুজ আনামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাঠে নামেন। এক-এগারোর খালি মাঠে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেন। সেনাবাহিনীর সমর্থনে সুশীল সরকার প্রতিষ্ঠার সেই ষড়যন্ত্রও জনগণ ভন্ডুল করে দেয়।

২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয় মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেটের নতুন ষড়যন্ত্র। পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের ষড়যন্ত্রে ড. ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন মাহফুজ আনাম। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তারা। নিজের পত্রিকায় ক্রমাগত মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দেওয়ার ষড়যন্ত্রের খলনায়কও তিনি। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সেতু নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির মিথ্যা দাবি তুলে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন করা হয়। এর ফলে শুধু বিশ্বব্যাংক নয়, জাইকা, এডিবিসহ দাতাসংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নেয়। খোদ সরকারের বিরুদ্ধেই পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। যদিও শেষপর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানে ওইসব অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা মেলেনি।

দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এক সাক্ষাতকারে পদ্মা সেতু ইস্যুতে মাহফুজ আনামের ষড়যন্ত্রের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেন। চুপ্পু বলেছিলেন, নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকার পতন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেট। পদ্মাসেতু সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হওয়ায় এই সিন্ডিকেটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো এই সেতুকে ইস্যু বানিয়ে আওয়ামী লীগকে যে কোনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে ক্ষমতাচ্যূত করা। এর জন্য দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলো ডেইলি স্টার সম্পাদক।

এদিকে, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মৃত্যুর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে পদ্মা সেতু নিয়ে চারজন ষড়যন্ত্রকারীর নাম উল্লেখ করেন। তাদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মাহফুজ আনাম অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি করেন।


আরও খবর



বাপাউবোর নবনিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি ভবনের সভাকক্ষে নবনিযুক্ত ১৫ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তাগণের (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ) ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) ও মহাপরিচালক এঁর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এ. কে. এম তাহমিদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়া নবাগত কর্মকর্তাগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে অবহিত করে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) ও যুগ্মসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনাব কাজী নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিয়ন) মোঃ এনায়েত উল্লাহ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। উক্ত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত কর্মকর্তাগণের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম।


আরও খবর



মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরীফুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে। ফেরত পাঠানোদের মধ্যে রয়েছে বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য রয়েছেন।

এর আগে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, টাকা চেয়ে চিরকুটে নম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। শুধু তাই নয়, মিটার চুরি করে সেখানে আবার বিকাশ নম্বর লিখে যাচ্ছেন চোররা। বিকাশে টাকা ঢুকলেই ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে মিটার। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা।

সোমবার (১৩ মে) রাতে ধনবাড়ী পৌরসভার চালাষ এলাকা থেকে দুটি রাইস মিলের মিটার চুরি করে নিয়ে কাগজে ফোন নম্বর রেখে যায় চক্রটি।

ভুক্তভোগীরা জানান, আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েছে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিটার চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ডিমের হালি ৫৫ টাকা, কমেনি সবজির দামও

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানেও ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। কমেনি সবজির দামও।

এখন মাছ-মাংসের দাম বেশি, এমন সময় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ভরসা ডিম। তবে এই পণ্যের দাম হঠাৎ করে অস্থির হয়ে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করছেন অনেকে।

রামপুরার হাজিপাড়া বউবাজারে আসা গৃহকর্মী ফাতেমা খাতুন বলেন, বাচ্চাকাচ্চাকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারি না। ঝোলভাত খাওয়ার জেদ করলে এক হালি ডিম কিনে রান্না করে দিলে খুশি হতো। এখন সেটাও কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বউবাজারসহ রাজধানীর রামপুরা-মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ হুট করে কমে গেছে।

ঢাকায় ডিমের বড় দুটি পাইকারি বাজার আছে। এর একটি কারওয়ান বাজারসংলগ্ন তেজগাঁও রেলস্টেশন পাইকারি ডিমের বাজার। অন্যটি পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার। এই দুই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার পাইকারিতে ১০০ বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৮০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

যদিও প্রান্তিক খামারিরা ডিমের দাম কমা বাড়া নিয়ে তেজগাঁও আড়তমালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেন আড়তমালিকরা। যে সময় সারাদেশে ডিম হিমাগারে মজুত হয়েছে। এখন দাম বাড়িয়ে তারা মুনাফা করছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তারা (তেজগাঁও আড়তমালিকরা) ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।

তিনি বলেন, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।

এদিকে, বাজারে সবজির চড়া দাম প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাকরোল-বরবটিরও এমন দর। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা।

সবজির বাজার ছাড়াও বাড়তি উত্তাপ দেখা গেছে সব ধরনের মাছ, সোনালি মুরগি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামে। অন্যান্য পণ্যও চড়াদামে আটকে রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা কিংবা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে মিলছে না।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দামে ততটা হেরফের না হলেও সোনালি মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।


আরও খবর