আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

শুভ জন্মদিন তুলির জাদুকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১০ আগস্ট বরেণ্য চিত্রশিল্পী শেখ মোহাম্মদ সুলতানের জন্মদিন। ১৯২৪ সালের এই দিনে তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মোহাম্মদ সুলতান। অবশ্য মহান এই শিল্পী এস এম সুলতান নামেই বেশি পরিচিত। তার বাবা মো. মেছের আলী ও মা মোছা. মাজু বিবির দেওয়া এস এম সুলতানের আদুরে নাম ছিল লাল মিয়া।

এস এম সুলতান তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তার ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণির দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। তার ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সুলতানের ৭০ বছরের বোহেমিয়ান জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামে ভেজা মেহনতী মানুষের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন পাট কাটা, ধানকাটা, ধান ঝাড়া, জলকে চলা, চর দখল, গ্রামের খাল, মৎস্য শিকার, গ্রামের দুপুর, নদী পারাপার, ধান মাড়াই, জমি কর্ষণে যাত্রা, মাছ ধরা, নদীর ঘাটে, ধান ভানা, গুন টানা, ফসল কাটার ক্ষণে, শরতের গ্রামীণ জীবন, শাপলা তোলার মতো বিখ্যাত সব ছবির মাধ্যমে।

১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালনী বিশ্ববিখ্যাত চিত্র শিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়। সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী যার ছবি এসব শিল্পীদের ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছে।

মহান এই শিল্পী ১৯৫৩ সালে দেশে ফিরে আসেন। কিছুদিন ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রাবাসে অবস্থান করে ফিরে যান মাতৃভূমি নড়াইলে। ১৯৫৫ সালে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি পুরুলিয়ায় নন্দন কানন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পী ১৯৫৬ সালে পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কয়েকদিন আবস্থান করেন। ১৯৬৮ সালে যশোর-খুলনা ক্লাবে তার একক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। ১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই সুলতানের মাছিমদিয়ার বাড়িতে দি ইনস্টিটিউট অফ ফাইন আটর্স উদ্বোধন করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শিল্পী জেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে-ঘুরে যুদ্ধের ছবি আঁকেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শিল্পী নিজ শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। ১৯৭৬ সালে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে তার একক চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মুলত এই প্রদশর্নীর মাধ্যমে এ দেশের সুশীল সমাজের তার নতুন ভাবে পরিচয় ঘটে।

কালোর্ত্তীণ এই চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর তিনি একুশে পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আটির্স্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান এস এম সুলতান।

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজ ট্যাগ: এস এম সুলতান

আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



পাবনার বেড়া ও সুজানগরে কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ অভিযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল বাতেন।

তিনি জানান, উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন স্থানীয় এমপি শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর পক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন।

বুধবার (৮ মে) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পায়না কেন্দ্রে রঞ্জনের অনুসারী ও বেলা পৌরসভার কাউন্সিলর কিরণের নেতৃত্বে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কেবলমাত্র হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় মোল্লাপাড়ায় ভোটারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা। কেন্দ্রে অপকর্ম করতে না পেরে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে রঞ্জনের ক্যাডার বাহিনী। বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আব্দুল বাতেন।

পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে এজেন্টদের বের করে দেয়ার চেষ্টা হলেও আমরা তা প্রতিহত করেছি। কেন্দ্রের বাইরে কোন ঘটনা ঘটলে সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।

পাবনার বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে। ভোটারদের বাধা দেয়ার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, সুজানগর উপজেলায় মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব। তবে বাধা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন।


আরও খবর



আমতলী উপজেলা নির্বাচন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনা আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন সহ মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমতলী উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া, গোলাম সরোয়ার ফোরকান, আলতাফ হাওলাদার, এলমান উদ্দিন আহমেদ সুহাদ, অ্যাড. মোশাররফ হোসেন মোল্লা।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, জেসিকা তারতিলা জুথী, মাকসুদ আক্তার জোছনা।

এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডার একেএম শামসুদ্দিন শানু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, নাজমুল হাসান সোহাগ, অ্যাড. মঈন পহলান।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ১২ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনটি পদে দাখিলকৃত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ও ১৫ মে প্রার্থীদের আপীল, ১৬ থেকে ১৮ মে প্রার্থীদের আপীল নিস্পত্তি, ১৯ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ২০ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



যেখানেই দুর্যোগ-দুর্ভোগ, সেখানেই আ.লীগ : রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু মারা গেছে। মহিলাসহ প্রায় বিশজন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কি দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব উজাড় করে দিচ্ছেন। সেখানে ফল হয় না, এটাতো আপনার কারণে। যেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট সেখানেই আওয়ামী সরকার। আজকে ব্যাংক, বিমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা না কি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে থু থু দিয়ে ইটের দালান গড়া যায় না। যেটা শেখ হাসিনা করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহর অভিশাপ। এই ভয়ংকর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এর আগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমি দস্যুদের তো বাধা দেন না। এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।

এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতারা বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

মিছিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, দীপু ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, জব্বার খান, করিম সরকার, আলমগীর হাসান সোহান, তানভীর আহমেদ সোহেল, আজিজুল হক আকন্দ, মাসুদ পারভেজ, পার্থদেব মণ্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুর রহমান রুমন, মেহেদী হাসান জুয়েলসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শাহজালালে তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার (৬ মে) থেকে পরবর্তী তিন দিন তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে। রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সোমবার থেকে বুধবার রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সব এয়ারলাইন্স ও সংস্থাকে নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) করেছে বিমাববন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৫ মে) বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে রানওয়ে ব্যবস্থাপনা। এ কাজের অংশ হিসেবে রানওয়ের সেন্টার লাইট ও মার্কিং সম্পর্কিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এজন্য সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এ তিন দিন তাদেরকে ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও পরবর্তী ফ্লাইটের সময় জানিয়ে দেবে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, এই তিন দিন যাত্রীদেরকে তাদের নিজ নিজ ফ্লাইট সম্পর্কে আগাম জানাতে এবং ফ্লাইট অপারেশন সমন্বয় করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে এরইমধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে অন্যান্য সেবাপ্রদানকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।


আরও খবর