আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরা শিথিল হলো

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।


আরও খবর



বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা, উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা কী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেড (বিবিএস) কেবলের বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সালে কারখানা নির্মাণের জন্য গাছপালা কেটে সাতখামাইর ফরেস্ট বিটের তেলিহাটি মৌজার আরএস ২৯২৩, ২৯২৪ ও ২৯২৫ দাগের ১.৬১ একর সংরক্ষিত বনের জমি দখল করে নামি এই কেবল প্রতিষ্ঠানটি। দখল করা ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত আড়াই কোটি টাকা। বন বিভাগ দখল করা ওই জমি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। এরই মধ্যে নতুন করে কারখানার মূল ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির  প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসনাইন ওরফে হাসান বনের জমি দখল করে নির্মাণ করেছেন মার্কেট। ওই মার্কেট থেকে মাসে ভাড়া তুলছেন ৩০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, গাজীপুর সদরের নলজানী এলাকার অভিজাত ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার মাসিক আয় কোটি টাকার বেশি। শীত, গ্রীষ্ম এমনকি হরতাল-অবরোধেও এই রিসোর্টের ভিলা খালি থাকে না। ৯-১০ বছর আগে নির্মাণের সময় ভাওয়াল রিসোর্টের পাশে থাকা সংরক্ষিত বনের বাড়ইপাড়া মৌজার এসএ সিএস ৩, ২৭৯ ও ২৭১ দাগের ৩.৬৮ একর জমি দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় বন বিভাগ গ্রিনটেক রিসোর্টের দখল থেকে জমি উদ্ধারের জন্য গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলা করে। কিন্তু সেই জমি এখনো উদ্ধার হয়নি। এভাবে গাজীপুরে সংরক্ষিত বনের জমিতে কারখানা, খামার, আলিশান রিসোর্ট, পিকনিক ও শুটিং স্পট নির্মাণ করে বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্য করছে পৌনে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান।

ব্যক্তিগত প্রভাব এবং অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে থাকা বনের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। সংরক্ষিত বনে বা বন ঘেঁষে তৈরি করা এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ও সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৩২১ একর বনের জমি অবৈধ দখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে ৫০০ একর জমি। গত এপ্রিল মাসে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর উপজেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে মাত্র ৮.৭৯ একর বনভূমি। অবশিষ্ট ভূমি রিসোর্ট, বাড়িঘর-দোকানপাট, হাটবাজার ও কৃষিজমি হিসেবে দখল করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর তৈরি করে ২৩ হাজার ব্যক্তি দখল করেছে ১০ হাজার একরের বেশি বনভূমি। এতে বনভুমি উজাড় হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। অথচ এই আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বন বিভাগের। বরং নানা ফন্দিতে নতুন করে দখল হচ্ছে বনভূমি।

বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, শ্রীপুরে ধনুয়া মৌজায় আরএকে সিরামিকস চার একর, রশোওয়া স্পিনিং মিল চার একর, ডিবিএল সিরামিকস আট একর, অটো স্পিনিং মিলস ২.২০ একর, সাতখামাইর মৌজায় আকন্দ গার্ডেন ১৬ একর, রিফাত ব্যাগ ২৫ শতক, পটকা মৌজায় ট্রেড ম্যানেজমেন্ট করপোরেশন ৭.৬৪ একর, কেওয়া মৌজার মিতা টেক্সটাইল ২.২০ একর, মেঘনা কম্পোজিট ৪০ শতাংশ, জোবায়ের স্পিনিং এক একর, ওমেগা সুয়েটার এক একর, সোলার সিরামিকস ৯০ শতাংশ, ইকো কটন ৪.৮৬ একর, ভাওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ দুই একর, অনটেক লিমিটেড ৪.৯৪ একর, হাউআর ইউ টেক্সটাইল এক একর, অরণ্যকুটির ২.২২ একর, উইষ্টেরিয়া টেক্সটাইল ৫.৩৩ একর, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল দুই একর, এপেক্স নিট কম্পোজিট ১১.৬২ একর, গ্রেটওয়াল সিরামিকস ৭.৩৮ একর, টেপিরবাড়ি মৌজায় ডিবিএল গ্রুপ ছয় একর, তেলিহাটি মৌজায় কুঞ্জু বিথি এক একর, আলিফ অটো ব্রিকস ৭০ শতাংশ, টেপিরবাড়ী মৌজায় চায়না বাংলা প্যাকেজিং এক একর, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস ৭৬ শতাংশ, এইচ এস অ্যাগ্রো দেড় একর, রেক্স অটো ব্রিকস এক একর ৭০ শতাংশ, টেংরা মৌজায় শিশুপল্লী প্লাস সাড়ে ১২ একর, মম পোলট্রি ৭০ শতাংশ ও ওয়ারবিট স্টিল বিল্ডিং দুই একর বনের জমি দখল করেছে। পেলাইদ মৌজায় সিসিডিভি পাঁচ একর, সাইটালিয়া জামান পোলট্রি দুই একর, মাওনা মৌজার মনো ফিড ২.২৫ একর, এইচ পাওয়ার লিমিটেড ৩৩ শতাংশ, হোম ডিজাইন ১.২২ একর ছাড়াও বিবিএস কেবল, দি সোয়েটার, ইকো কটন মিলস, সিটিসেল লিমিটেডও বনের জমি দখল করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলায় বনভূমি দখলে সবচেয়ে এগিয়ে পারটেক্স গ্রুপ। পারটেক্স কটন লিমিটেড সদর উপজেলার ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাহাদুরপুর মৌজায় সিএস ২৫৪, ২৮৯, ২৯৪ ও ৩০০ নম্বর দাগে ১১.৬৭ একর, পারটেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড একই মৌজার সিএস ২০৮, ৫৮৫, ২০৮ ও ৫৮৬ নম্বর দাগে ৫.০৯ একর, আম্বার ডেনিম লিমিটেড আড়াইশ প্রসাদ মৌজায় আরএস ৮ থেকে ১৮ এবং ২৮ থেকে ৩২ নম্বর দাগে ২৬.২৪ একর মিলিয়ে ৪৩ একর বনভূমি দখলে রেখেছে। তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি পারটেক্স গ্রুপের কোনো কর্মকর্তা। মণিপুর এলাকায় বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৪২৮ ও ৫৯৮  নম্বর দাগে ৬.৫৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করেছে সান পাওয়ার সিরামিকস লিমিটেড। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে উচ্ছেদ মামলা করা হয়।

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে সান পাওয়ারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম ভূঞা বলেন, কারখানার জমির এসএ ও আরএস রেকর্ড আমাদের নামে। কিন্তু শুধু গেজেটে নাম থাকায় বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করছে। কারখানাটি বিদেশি বিনিয়োগে স্থাপিত। বনের দাবি করা জমির সমপরিমাণ জমি অন্যত্র কিনে বনায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৫৯৮ নম্বর দাগে ফু-ওয়াং সিরামিক ও ফু-ওয়াং ফুডের দখলে রয়েছে ৪.৪০ একর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৭ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উচ্ছেদ মামলা করে বন বিভাগ। কিন্তু ওই সময় দায়সারা মামলা করায় আজও জমি উদ্ধার হয়নি। এ প্রসঙ্গে ফু-ওয়াং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে বনের কোনো জমি নেই।’

এ ছাড়া প্যানাস অটোক্রিয়েশ গার্মেন্টস, ম্যাগডোনালস বাংলাদেশ, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনএজেড গার্মেন্টস বাংলাদেশ, ওয়ান্ডার ল্যান্ড টয়েস, বেন্টলী সুয়েটার, ওয়ান ডেনিম, ওয়ান স্পিনিং মিলস, এমআই ইয়ার্ন ডাইং, শরীফ বাড়ি খামার ও রেস্ট হাউস, ইপিলিয়ন স্টাইল, এটলাস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, এবি সিদ্দিক পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ, বেন ফিক্সস্টীল বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট, এসএম নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি কালেকশন, বাংলাদেশ মেইজপ্রডাক্ট, ইভিল টেক্স, তিতাস স্পিনিং, বেঙ্গল গার্মেন্টস, মালা পোলট্রি ফার্ম, মাসকাত পোলট্রি ফার্ম, টিএস ট্রান্সফরমার, ন্যাশানাল ফিড, মডার্ন ফিড, লিথি গ্রুপ, প্যারাগন পোলট্রি, স্কিন গ্রাফ, গর্ডন স্টিল মিলস, মোশারফ কম্পোজিট, প্যাকলাইন, আর্টিসান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিটি লিমিটেড, মিলেনিয়াম স্টিল মিলস লিমিটেড, কুইন্স পোলট্রি ফার্ম লিমিটেড, অমনী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, ঢাকা ফিশারিজ, রেডিয়াম এক্সেসরিজ, নির্জনা অ্যাপারেলস, গোলাম কিবরিয়া মৎস্য খামার, ইনডেক্স কনস্ট্রাকশন, সাহাবা ইয়ার্ন, এটিআই সিরামিক, গিভেন্সি ডেনিমস, খোরশেদ আলম অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, বেঙ্গল হরিকেন ডাইং প্রিন্টিং লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ এবং আদি অ্যাগ্রো ফার্মের দখলে রয়েছে কোটি কোটি টাকার বনভূমি।

কালিয়াকৈর সোহাগ পল্লী রিসোর্ট, চন্দ্রা বিটের কালামপুর এলাকার রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট ও চন্দ্রার শিল্পী কুঞ্জ, কোকোলা ফুড প্রডাক্টস, কৌচাকুড়ি মৌজায় সিএস ৯৪২ নম্বর দাগে ১৫.০৫ একর বনভূমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে হাজার হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। বন বিভাগ উচ্ছেদ মামলা করলেও নানা কারণে অভিযান এগোয়নি। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল থেকে উচ্ছদ অভিযান শুরু হয়েছে। শ্রীপুর ও সদর উপজেলায় ৮.৭৯ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বন বিভাগের বক্তব্য

বিবিএস কেবলের বনভূমি দখল প্রসঙ্গে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, বনভূমি দখলে বন বিভাগের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে বিবিএস কেবলসও রয়েছে। সেখানে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই উচ্ছেদ করে জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।’

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হোসেন বলেন, এসব জমি অনেক আগে দখল হয়েছে। গত কয়েক বছরে নতুন করে কোনো দখল হয়নি। এরই মধ্যে বন বিভাগ নিজস্ব উদ্যোগে শতাধিক বিঘা জমি উদ্ধার করে বনায়ন করেছে। তা ছাড়া দখল করা জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযানও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হবে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তালিকা ধরে উচ্ছদ কার্যক্রম চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’


আরও খবর



কাল থেকে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট চলবে।

গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. মুছা বলেন, চুয়েটে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের দুই ছাত্র নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।

এরই মধ্যে গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। পরবর্তীকালে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। ওই বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনও করে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন। যদিও জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।


আরও খবর



কাতারের আমির শেখ তামিম ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। দুদিনের সফরে আজ তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক এবং একটি পার্কের নামাকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে বাংলাদেশ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে থাকে। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের দাম এক বছর পর্যন্ত বাকি রাখতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাব কাতারের আমিরের সফরকালে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি কাতারের আমিরের এশিয়া সফরের অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার সফরটি রাজনৈতিকভাবেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো-১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা ৩. সাগরপথে পরিবহণ ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এ ছাড়া যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে সেগুলো হলো-১. শ্রমশক্তি বিষয়ক ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এদিকে, ঢাকায় কালশি এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির নামে নামকারণ করা হবে। ২৩ এপ্রিল বিকালে কাতারের আমির নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২০২৪ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি এই সফর করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সময়কালীন সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। গ্যাস আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে বাকিতে গ্যাস আমদানি করে বাংলাদেশ। কাতারের কাছ থেকেও বাকিতে গ্যাস আমদানির প্রস্তাব করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন।

সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের আমির আজ বিকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আগমন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কাতারের আমিরের এই সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ কাতার সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসাবে বিবেচিত।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসাবে বিবেচিত। তদুপরি কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাতারের আমিরের আসন্ন সফর তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যে এক বিরাট মাইলফলক।


আরও খবর



চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।

এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলোর আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন। এর আগেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।

আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। তবে ইরানের হামলার হুমকি কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের উদয়পুর ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ছয় শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার কারণে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন তারা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলেন সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়জিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উঁচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে খাগড়াছড়ির দিকে ফেরার পথে একটি ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গাড়িটিতে মোট ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। যার মধ্যে ৬ শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজ কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।


আরও খবর