আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সুন্দরবনে অপহৃত ১৩ জেলে এখনো উদ্ধার হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মোংলা থেকে নূর আলম(বাচ্চু),

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অজ্ঞাত পরিচয় বনদস্যুদের হাতে অপহৃত ১৩ জেলে এখনো উদ্ধার হয়নি। সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে বনদস্যুদের কাছে আটকে থাকা জেলেদের ওপর চলছে নির্যাতন। দাবিকৃত মুক্তিপণ না পেলে এসব জেলেদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে বনদস্যুরা। মুক্তিপণের টাকা শোধ করে দ্রুত ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইল ফোনে আকুতি জানিয়েছেন অপহৃত জেলেরা। এই অবস্থায় দিন যতো বাড়ছে আপহৃত এসব দরিদ্র জেলে পরিবারে উৎকন্ঠা ততোই বাড়ছে। কান্নার রোল পড়েছে অপহৃত জেলেদের পরিবারে। সন্তানকে ফেরত পেলে আর কোনোদিন সুন্দরবনে পাঠাবেন না বলেও প্রতিজ্ঞা করেছেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন বনদস্যুদের আস্তানায় জিম্মি থাকা জেলে সোহেল মল্লিকের মহাজন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রতিয়া রাজাপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. ছগির আকন। সোহেল বাগেরহাট সদরের ডেমা গুচ্ছগ্রামের হতদরিদ্র হাবিব মল্লিকের ছেলে। এদিকে, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে মঙ্গলবার থেকে র‌্যাব ও কোষ্টগার্ডের পাশাপাশি বাগেরহাট পুলিশের ৪টি টিম সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে প্রথম অপহবনের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে। ওইদিন রাতে কাঁকড়া আহরণে থাকা জেলেবহরে হানা দিয়ে অজ্ঞান পরিচয় একটি সশস্ত্র বনদস্যু দল ১০ জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণসহ ৭ মন কাঁকড়াসহ মালামাল লুটে নেয়। সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে আটকে রাখা জেলে প্রতি ১০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বনদস্যুরা। অপহৃত এসব জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট সদরের ডেমা, মোংলা ও রামপাল এলাকায়। দ্বিতীয় অপহবনের ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর চৌরি অফিস সংলগ্ন আলকি এলাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবীতে এই ৩ জেলেকে অপহরনের পাশাপাশি বনদস্যুরা লুটে নিয়েছে ১০ হাজার টাকার মাছ। মুক্তিপনের দাবীতে অপহৃত এই ৩ জেলের বাড়ী খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকায়। এরপরের দিন রবিবার রাত ৯টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়ীয়া ও চরাপুটিয়া ফরেস্ট অফিসের মাঝামাঝি বুজবুজে এলাকা বরশি দিয়ে আছ আহরনকালে দুটি নৌকায় এসে ৪ জেলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার মাছ লুটে নিয়েছে বনদস্যুরা।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. ছগির আকন জানান, মঙ্গলবার সকালে বনদস্যুদের আস্তানা থেকে তার নৌকার জেলে সোহেল ফোন করে জানিয়েছেন, বনদস্যুরা মুক্তিপনের দাবীতে তাদের ওপর নির্যাতন করছে। মুক্তিপণের টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সবাই কান্নাকাটি করছেন বলে জানিয়েছে সোহেল। জেলেদের আপহরণের বিষয়ে প্রশাসনের লোকদের সাথে মৎস্য ব্যবসায়ীদের কথা হয়েছে। বনদস্যুদের কোনো প্রকার টাকা না দিতে নিষেধ করা হয়েছে। যে কারণে আমরা বনদস্যুদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছিনা। এই মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, র‌্যাবের তৎপরতায় বনদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর গত ৪ বছর ধরে শান্ত ছিলো সুন্দরবনের পরিবেশ। গত কয়েক দিন ধরে সুন্দরবনে আকস্মিক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি বনদস্যু বাহিনী। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছি বনজীবী জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

সুন্দরবনে মুক্তিপনের দাবিতে অপহৃত জেলে সোহেল মল্লিকের বাবা বাগেরহাট সদরের ডেমা গুচ্ছগ্রামের হতদরিদ্র হাবিব মল্লিক ও মা ঝর্ণা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলেডারে ডাকাতি ধইরে নিয়ে গেইছে। ছাড়ায়ে আনতি মেলা টাকা চাচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ এতো টাকা কোয়ানে পাবো। আপনারা আমাগো ছেলেডারে ফেরত আইনে দেন। একবার আনতি পারলি আর কোনো দিন ওরে সুন্দরবনে কাড়া (কাঁকড়া) ধরতি পাঠাবো না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ মো. সাইদুর রহমান ও শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকরাম হোসেন জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে র‌্যাব ও কোষ্টগার্ডের পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে বাগেরহাটের রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থানা পুলিশের পৃথক চারটি টিম সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। খুব দ্রুতই অভিযান সফল হবে বলে আশা করছেন তারা।

মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মামুনুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে সব তথ্য বলা যাবে না। আমরা অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। অভিযান অব্যাহত আছে। তবে, সহসাই একটা ভালো খবর দিতে পারবো।


আরও খবর



পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েকজন গরু পারাপারকারী রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান। এ সময় বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুরুতর আহত হলে সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহতের মা মমতা বেগম বলেন, কালাম এখনও বিয়া করে নাই। এবার বিয়া করার কথা ছিল। কিন্তু কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল? আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করা হবে।’


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



মিরপুরে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা। চার ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশ বাস চলাচল শুরুর অনুমতি দিলে বিক্ষুব্ধ অটোরিকশা চালকরা তিনটি বাস ভাঙচুর করে।

রবিবার (১৯ মে) বেলা আড়াইটার দিকে মিরপুর গোলচত্বরে তিন বাস ভাঙচুর চালায় অটোরিকশা চালকরা। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

সরেজমিনে, বেলা আড়াইটার দিকে দেখা যায়, পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশাচালকেরা লাঠি ও ইট দিয়ে বাস ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির জানান, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাংচুর করে অটোরিকশা চালকরা। তবে পুলিশের বাধায় তারা সেখান থেকে সরে যায়।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক জামাল মিয়া বলেন, অটোরিকশা বন্ধ থাকায় তার কোনো উপার্জন নেই। কীভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন, পরিবারের খরচ চালাবেন, তা নিয়ে উদ্বেগ। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্ল্যা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা কালশী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা বেশ কয়েকজন প্যাডেলচালিত রিকশাচালককে মারধর করেন। মিরপুর-১১ এলাকায় বেশ কয়েকটি বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষোভকারীরা মিরপুর-১০ মোড়ে জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।


আরও খবর



ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রয়োজনে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। কারণ ধীরে ধীরে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, সামনের হিটওয়েভের জন্য প্রস্তুতি আছে। সময়মতো অর্থের জোগান দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তিতাসের পুরানো লাইন সংস্কারের পরিকল্পনা আছে। এই সংস্কার করানো গেলে গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে। এছাড়া আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট দুটো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

ডলারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর



আমতলীতে জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে মারধর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

জুয়া খেলার ছবি তোলায় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ও আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার সংবাদিক মোঃ মাহবুব বিশ্বাস টিটুকে জুয়ারীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় জুয়ারীরা তার ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আহত সাংবাদিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাস বাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে।

জানাগেছে, উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাস বাজার এলাকায় হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে কতিপয় জুয়ারী দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ওই জুয়ারী চক্র বাজারের কাছে কলাগাছের বাগানে বসে জুয়া খেলছিল। এ সময় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন দপ্তর সম্পাদক সংবাদিক মোঃ মাহবুব বিশ্বাস টিটু জুয়া খেলার ছবি তুলছিল। ছবি তুলতে দেখে জুয়ারী হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে জুয়ারীরা সাংবাদিক টিটুকে মারধর করে এবং তার হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিক টিটু বলেন, জুয়া খেলার ছবি তোলায় জুয়ারী হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করেছে এবং আমার ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।

আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, সাংবাদিক মাহবুব বিশ্বাস টিটুকে যেই জুয়ারীরা মারধর করেছে এবং ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর