আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সুনামগঞ্জে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে: আহত ১৫

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সুনামগঞ্জ থেকে দুলাল মিয়া

সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ডাবর পয়েন্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ৩ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকীরা দূর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথে চিকিৎসার জন্য সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কৈতক হাসপাতালে চলে যান।

বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ৭ টায় পাগলা বাজার সংলগ্ন ডাবর পয়েন্টে এ ঘটনাটি ঘটে। পারিচয় পাওয়া আহতরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাজাপুরের শাহেরা খাতুন (৪০), মিনারা খাতুন (৩৫) ও সুনামগঞ্জের শহিদুল ইসলাম (৪২)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার পথে বিরতিহীন যাত্রীবাহী বাস (সিলেট-জ-১১-০৩৯০) ডাবর পয়েন্টে এলে সিলেট থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাককে পাস দিতে গেলে বাসের চাকা রাস্তার নিচে পড়ে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে ১৫জন যাত্রী আহত হন। আহতরা উন্নত চিকিৎসা নিতে তাৎক্ষণিকভাবে সুনামগঞ্জ, সিলেট ও কৈতকের হাসপাতালে চলে যান।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সাথেই আমার ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩/৪ জন আহত লোক পেয়েছেন। তাঁরা আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন। তবে আমরা গিয়ে তাদের পাইনি।

নিউজ ট্যাগ: সুনামগঞ্জ

আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১০৮ বার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৮ বার পেছাল। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর



অস্ত্র মামলায় যুবকের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জুয়েল চন্দ্র ওরফে জুয়েল রানা (২৭) নামে এক যুবকের ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (১২ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন ।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন চরবাটা গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে। আদালতের রায়ের সময় আসামী অনুপস্থিত ছিলেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অস্ত্র মামলায় আসামী জুয়েল রানা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

আদালত তাকে অস্ত্র আইনের ১৯ ধারায় ১০ বছর ও ১৯ এফ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত মো. সুজন (৩৩) নামে অপর আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। সুজন রামগতির চরগাজী গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। মো. জুয়েল নামে এ মামলার আরেক আসামী কিশোর হওয়ায় তার মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হয়।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির হাজিরহাট বাজার থেকে পুলিশ একটি একনলা দেশীয় বন্দুক ও নয়টি কার্তুজসহ জুয়েল রানা ও জুয়েলকে আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, অস্ত্রটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য মো. সুজন নামে এক ব্যক্তি জুয়েলের কাছ থেকে অস্ত্র ভাড়া করেন। পরে নির্বাচন শেষে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটক করে।

এ ঘটনায় রামগতি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বাদী হয়ে আটক দুজনসহ পলাতক সুজনকে আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। একই বছরের ১১ এপ্রিল থানার এসআই মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত জুয়েল ও সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন। অন্য আসামী জুয়েল কিশোর হওয়ার বিচারের জন্য পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন কিশোর আদালতে দাখিল করা হয়। 


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশের সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

এদিকে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।


আরও খবর



তাপদাহের প্রভাব সবজির বাজারে, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে যেটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হতো সেটি আজকের বাজারে ৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি আমদানি করা এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল।

এ ছাড়া স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে পটল ও ঢেঁড়স ছাড়া ৮০ টাকার নিচে ঢাকার বাজারে কোনো সবজি নেই।

তবে বাজারে গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শুধুমাত্র পেঁপেই সারাবছর কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি পেঁপের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। অথচ, গত সপ্তাহে বাড়তি দামের মধ্যেও ৫০ টাকায় পেঁপে কিনেছিলাম। দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে?

বিক্রেতারা বলছেন, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির কারণে কারওয়ান বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। তার আগে প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে রোজার ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।


আরও খবর