আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সর্বোচ্চ বেতন পেতে যে আট দক্ষতার দরকার

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কর্মজীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। কিন্তু চলতি বছর আয় বাড়ানোর চিন্তা করতে হলে নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ, চাকরির বাজার ও শিল্প নিয়মিত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পূরণের জন্য নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য দরকার নতুন দক্ষতা অর্জন করা।

২০২৪ সালে প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতির জন্য অন্তত আটটি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস’–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অন্তত আটটি দক্ষতা অর্জন করতে পারলে এই বছর সর্বোচ্চ বেতন ও নিরাপদ পদোন্নতির সম্ভাবনা অনেক।

১. ডেটা অ্যানালাইসিস : তথ্য বিশ্লেষণের দক্ষতা নেতৃত্বের ভূমিকাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কর্মজীবনে কাজে আসে। চলতি বছর আপনি তথ্য বিশ্লেষণের দক্ষতা বাড়িয়ে ডেটা বিশ্লেষক হতে পারেন। এই দক্ষতা মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতে সহায়তা করে।

২. প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট : বিশ্বব্যাপী একাধিক শিল্পের চাহিদাসম্পন্ন আরেকটি দক্ষতা হলো প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট। প্রকল্প পরিচালকদের চাহিদা ২০৩২ সাল পর্যন্ত আগামী আট বছরের জন্য ৬ শতাংশ বাড়ছে। এর মধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাংগঠনিক ও পদ্ধতিগত দক্ষতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সম্পর্কনির্মাণ দক্ষতা ও শক্তিশালী দল ব্যবস্থাপনা, সহযোগিতা এবং যোগাযোগের দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত।

৩. ইউএক্স বা ইউআই : প্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা, মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপস এবং এসব পণ্যের ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ডিজাইন করা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজের জন্য ইউএক্স বা ইউআইয়ের দক্ষতা বাড়াতে হবে। স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর প্রায় ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। তাই এই দক্ষতা অর্জন করলে গ্রাহক, সরকারিবেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা খাতে উচ্চ বেতনের সম্ভাবনা বাড়বে।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং : ডিজিটাল মার্কেটিংও ইউএক্স বা ইউআই দক্ষতার মতোই। এই দক্ষতা অনলাইন অভিজ্ঞতার ওপর ফোকাস করে এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে, যাতে তাঁরা পণ্য বা পরিষেবার সঙ্গে জড়িত থাকেন। যদি ভিডিও সম্পাদনা, গ্রাফিক ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া, প্রভাবশালী বিপণন পছন্দ করেন বা ব্লগের জন্য কনটেন্ট লেখার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডিজিটাল বিপণন দক্ষতা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে নিজের দক্ষতা আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে।

৫. এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) : বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বিষয়ে দক্ষতা ছাড়া কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করা কষ্টসাধ্য হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি, যা প্রায় সারা বিশ্বের প্রতিটি শিল্প বা সংস্থায় সংযোজন করা হচ্ছে। ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খাতে ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন থেকে ৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পূর্বাভাস করা অর্থনৈতিক উন্নতিসহ অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

এআই দক্ষতা শেখার অর্থ এই নয় যে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার বা এআই বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য বছরের পর বছর পড়াশোনা করতে হবে; বরং নির্দিষ্ট কাজের প্রেক্ষাপটে নিজেকে এবং এআইয়ের আধুনিক ব্যবহারগুলো জেনে রাখতে হবে। এতে নিজের কাজের গুণমান ও আউটপুট বাড়বে এবং কাজের সময় কমবে। এই দক্ষতা ব্যবসায়িকভাবে সফল করতে পারে এবং ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

৬. নেতৃত্ব : নেতৃত্বের দক্ষতা একটি বিস্তৃত বিষয়, যা অন্যান্য দক্ষতার সঙ্গে বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা, কৌতূহল, আজীবন শিক্ষা, পিপল ম্যানেজমেন্ট, স্থিতিস্থাপকতা, প্রেরণা ও আত্মসচেতনতার মতো বিভিন্ন দক্ষতাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এসব দক্ষতাকে গত বছর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের চাকরির ভবিষ্যৎ প্রতিবেদনে উচ্চ স্থান দেওয়া হয়েছে। এই দক্ষতাগুলোকে উত্থানশীল দক্ষতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে চলতি বছর এসব দক্ষতার ওপর বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে কর্মজীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আয় বাড়ারও অনেক সম্ভাবনা আছে।

৭. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট : অন্যান্য অনলাইন দক্ষতার পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দক্ষতাও প্রয়োজন। ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস আগামী কয়েক বছরে এই কাজের চাহিদা ১৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অনলাইন কোর্স, বুটক্যাম্প ও কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি নেওয়ার মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

৮. সেলস : আপনার যদি দৃঢ় আন্তব্যক্তিক, সম্পর্ক-নির্মাণের দক্ষতা ও বহির্গামী ব্যক্তিত্ব থাকে, তাহলে সেলস ক্যারিয়ারের জন্য দক্ষতা অর্জন করা আপনার জন্য সহজ হবে। এই দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে আয় বাড়ার সম্ভাবনা সীমাহীন। কারণ, এই পেশাদাররা কেবল কমিশনই অর্জন করেন না, এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও বিভাগের পরিচালনার মাধ্যমে উচ্চ বেতনের পদের দিকে এগিয়ে যান।

অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের কোর্স করায়। এসব কোর্স করে নিজের দক্ষতাকে আরও তীক্ষ্ণ করে তুলতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: কর্মজীবন

আরও খবর



অবশেষে চট্টগ্রামে নামল বৃষ্টি, মানুষের স্বস্তির নিশ্বাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ দাবদাহে পুড়তে থাকা চট্টগ্রাম নগরবাসী অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন জায়গায়।

রাত থেকে শুরু হয় বাতাস, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃষ্টির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, চট্টগ্রামে বুধবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলা যশোরের তাপমাত্রা কমেছে। এই জেলায় শনিবার (৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল এই জেলায়। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিল মাসজুড়েই তীব্র তাপে পুড়েছে যশোর। এপ্রিলের শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এই জেলায়। সেদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতেই ভেঙে গেলো চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সব রেকর্ড।

এদিকে মে মাসের শুরুতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু গরম কমেনি। ১ মে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২ মে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও গতকাল রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৫ ও মোংলায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


আরও খবর



নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।  কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ডঅ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে, এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি।  একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানীর। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাথে  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালকদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে পোশাক শিল্পের ৭৫ শতাংশ কটনবেইজড পোশাক রপ্তানি হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ম্যান মেইড ফাইবার পোশাকের  কদর রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে কোরিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সমাধান প্রয়োজন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ম্যান মেইড ফাইবার তৈরিপোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। তাই আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে কোরিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহ লাইন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ফুডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোরিয়ার কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বাজার এবং বিদেশের চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

 এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া ও মোঃ রেজাউল করিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জ শহরের পুকুর থেকে ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ শহরের মধ্যকোর্টগাও এলাকার একটি পুকুর থেকে ফিরোজ (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত ফিরোজ স্থানীয় মৃত আফসু মুন্সির ছেলে।

এদিকে ফিরোজের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। নিহত ফিরোজ বিভিন্ন সময় মাদক গ্রহণ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। মাদক সেবনের পর মৃত্যু নাকি হত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পকেট থেকে ঘুমে ঔষধ পাওয়া গেছে, সে বিভিন্ন সময় মাদক সেবন করতো বলেও জানতে পেরেছি। মাদক সেবনের পর পুকুরে পরে গিয়ে মৃত্যু নাকি অন্য কোন ঘটনা আছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর