আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সর্বজনীন পেনশন: প্রথমদিনে জমা ৮৭ লাখ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের পর প্রথমদিনে অনলাইনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশনে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। আর এ থেকে পেনশন ফান্ডে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ৮৭ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন ১১ হাজারের বেশি গ্রাহক।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ সর্বজনীন পেনশনে নাম নিবন্ধন করেছেন। অনেকে টাকা দিয়ে চূড়ান্তভাবে সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন। অর্থবিভাগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় নাম নিবন্ধন করে গ্রাহকরা পেনশন ফান্ডে টাকা জমা দিচ্ছেন।

ইউপেনশন নামে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার থেকে যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন। পেনশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হলে নিবন্ধনের কাজটি করতে হবে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) গিয়ে। পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সেখানে দেওয়া আছে। অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন করলে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হচ্ছে। তবে যারা অনলাইনের মাধ্যমে টাকা জমা দিচ্ছেন কেবল তারাই আপাতত ইউনিক আইডি নম্বর পাচ্ছেন। গ্রাহকদের সুবিধার্থে অনলাইন সিস্টেমটি আরও আপগ্রেড করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অনেকে ওয়েবসাইটে ঢুকে বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ কারণে ওয়েবসাইট আরও অত্যাধুনিক করা হতে পারে। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছে অর্থবিভাগ। এ প্রসঙ্গে অর্থবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রথমদিনেই ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজার ৬৬৬ জন গ্রাহক নাম নিবন্ধন করে ৮৭ লাখ টাকার বেশি জমা দিয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এ ফান্ডের টাকার পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বোঝা যাচ্ছে, পেনশন স্কিমে সাধারণ গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, টার্গেট গ্রুপকে পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারিভাবে আরও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, মানুষ ঘরে বসে যাতে পেনশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেলক্ষ্যে অনলাইন সিস্টেমটি প্রয়োজনে অত্যাধুনিক করা হবে। এখন পর্যন্ত সেরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  তবে পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। নাম নিবন্ধন করে দেশের সাধারণ মানুষ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। পেনশন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে যে কারো লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকার নিজে এর গ্যারান্টার হচ্ছেন। এ ছাড়া পুরো বিষয়টি সরকারিভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ কারণে এটা নিয়ে কারো দ্বিধা বা সংকোচ থাকার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে ইউনিক নাম্বার দেব প্রত্যেক পেনশনারকে, তারা কিন্তু ওই নাম্বার দিয়ে সবসময় চেক করতে পারবেন তার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে। পেনশনারগণ আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। জানা গেছে, আপাতত শুধু সোনালী ব্যাংকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের হিসাব খোলা হয়েছে। কেউ চাইলে সরাসরি সোনালী ব্যাংকে গিয়েও নিবন্ধন করতে পারবেন ও চাঁদা দিতে পারবেন। তবে শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কম্পিউটার সার্ভিসের দোকানগুলোতেও পেনশন আবেদনের নিবন্ধন ফরম পূরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পেনশন স্কিমে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন একজন গ্রাহক।

লাভজনক অবকাঠামোখাতে পেনশন ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ হবে॥ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেনশন তহবিলের সঠিক ব্যবহার ও বিনিয়োগে খুব শীঘ্রই পেনশন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি গঠন করা হবে। এই অথরিটি দেশের লাভজনক বড় বড় অবকাঠামোতে পেনশন তহবিলের টাকা বিনিয়োগ করবেন। এতে করে পেনশনাররা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু থেকে রেভিনিউ বা রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। ঠিক এ ধরনের লাভজনক বড় বড় প্রকল্পে পেনশন তহবিলের টাকা ব্যবহার করা হবে। যেখান থেকে মুনাফা পাওয়া যাবে। সর্বজনীন পেনশন ফান্ডে অর্থায়ন করতে সম্পৃক্ত হবে ব্যাংক ও বিমা খাতও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ দেশের মানুষের জন্য। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এসব স্কিমে যুক্ত হয়ে বেসরকারি খাতের কর্মচারী বা প্রবাসীরা তাদের মোট চাঁদার চেয়ে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩০ গুণ থেকে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩১ গুণ অর্থ পেনশন হিসেবে পাবেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের গ্রাহকদের প্রিমিয়াম ট্রেজারি বিল, আর্থিকভাবে শক্তিশালী বাণিজ্যিক ব্যাংক ও লাভজনক অবকাঠামোয় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ন্যাশনাল পেনশন অথরিটি (এনপিএ)। এ ছাড়া পেনশন ফান্ডের টাকা ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগের কথা ভাবছে এনপিএ। এই ২ খাতে সুদের হার প্রায় ৮ থেকে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক সব ঋণের ওপর থেকে সীমা তুলে নিয়েছে, তাই সুনাম থাকা ব্যাংকগুলোর ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে। পাশাপাশি লাভজনক প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ করা হলে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে মুনাফা আসতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পেনশন ব্যবস্থাটি যাতে সারাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে সেলক্ষ্যে ডিজিটাইল ক্যাম্পেন করা হবে।

ভবিষ্যতে সরকারি চাকরিজীবীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে॥ ভবিষ্যতে সরকারি কর্মকর্র্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে আসতে পারবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও সুবিধামতো সময়ে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে সরকার সুবিধামতো সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, যে দুটি স্কিম পরে চালু করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে শ্রমিক শ্রেণির জন্য একটি, শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যটি। চাঁদাদাতা তার পেনশন আইডি দিয়ে ইউনিভার্সাল পেনশন সিস্টেমে প্রবেশ করে সহজেই বছর শেষে মুনাফাসহ জমা হওয়া টাকার পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর তার ব্যাংক হিসাবে অথবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মাসিক পেনশন দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: সর্বজনীন পেনশন

আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর



ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রয়োজনে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। কারণ ধীরে ধীরে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, সামনের হিটওয়েভের জন্য প্রস্তুতি আছে। সময়মতো অর্থের জোগান দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তিতাসের পুরানো লাইন সংস্কারের পরিকল্পনা আছে। এই সংস্কার করানো গেলে গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে। এছাড়া আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট দুটো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

ডলারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর



এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির পর এবার রাজধানীতে সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

এক বার্তায় বিএনপি জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এক যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভা থেকে জানানো হয়, দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে আসলে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি জানানো হবে।

সভায় দাবদাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ মোকাবিলায় নাগরিকদের পাশে থাকার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



মেয়রের সামনে কাউন্সিলর রতনকে জুতাপেটা করলেন চামেলী

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও আলোচনায় এসেছেন সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। এবার ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর সামনেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করেছেন তিনি।

আজ সোমবার নগর ভবনে ডিএসসিসির বোর্ড সভায় এমন ঘটনা ঘটে। বোর্ড সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বলেন, আমি বুঝে উঠতে পারিনি। পেছন থেকে এসে এভাবে মারবে বুঝতে পারিনি। আমি হতভম্ব!

আপনার প্রতি এমন আক্রশের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না। এটা পারিবারিক শিক্ষার অভাব। একটা বোর্ড সভায় যেখানে মেয়র মহোদয় উপস্থিত সেখানে এরকম ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমি কোনো কথা বলিনি।

ঘটনা সম্পর্কে সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাকসানা ইসলাম চামেলী বলেন, আমি তো বোর্ড সভায় ছিলাম। এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। কেউ যদি প্রচার করে তাহলে সেই ভালো মন্দ বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না।

কাউন্সিলর রতনের গায়ে আপনি হাত তুলেছেন নাকি সেই আপনার গায়ে হাত তুলেছে জানতে চাইলে বলেন, আমি বলতে পারব না।

বোর্ড সভায় উপস্থিত আরও একজন কাউন্সিলর বলেন, আমি ভেতরে প্রবেশ করেই দেখি এমন কাণ্ড। এটা দুঃখজনক। মেয়র মহোদয়ের উপস্থিতি একজন কাউন্সিলর আর একজন কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তাদের ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব থাকলে সেটা বাইরে গিয়ে করতে পারতো। আমরা লজ্জিত।

২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমার কাজের ব্যস্ততা থাকায় আজ বোর্ড সভায় একটু পরে প্রবেশ করি। আমি দেখিনি। তবে শুনেছি এরকম ঘটনা ঘটেছে।

গত ২২ এপ্রিল ওই নারী কাউন্সিলরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৪ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ-পাকিস্তান-রাশিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, রাশিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি।’

শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত খুব বিপজ্জনক’ পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন।

এক সমাবেশে কেজরিওয়াল বলেন, বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, তিনি হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর পুতিন নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।’

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন।’

তিনি বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে।’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখন ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।’


আরও খবর