আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সৃষ্টি হচ্ছে নতুন মহাসাগর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আফ্রিকা বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এই মহাদেশটি বিভক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন একটি মহাসাগর। গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন ভূমির যে দুটি অংশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় জনবহুল মহাদেশ তৈরি করেছে তা আলাদা হতে শুরু করেছে। আর এই বিভাজনের মধ্য দিয়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন মহাসাগর সৃষ্টির পথ তৈরি হচ্ছে। এভাবে ভূমি যদি পৃথক হতে থাকে তাহলে জাম্বিয়া এবং উগান্ডার মতো দেশগুলো একদিন তাদের নিজস্ব উপকূলরেখার দেখা পাবে।

এই বছরের শুরুতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে, বিজ্ঞানীরা আফ্রিকা বিভক্ত হতে শুরু করার সাথে সাথে একটি নতুন মহাসাগরের গঠন আবিষ্কার করেছিলেন।

জনপ্রিয় জার্নাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স অনুসারে, ভূতত্ত্ববিদরা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, আফ্রিকা মহাদেশ অর্ধেক ভাগ হয়ে যাওয়ায় একটি নতুন মহাসাগর তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশ ভাগ হওয়ার সঠিক জায়গাটিও সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যেখানে ৩০ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি মহাদেশটির খুব গভীর ভূগর্ভে প্রথম ভাগ হতে শুরু হয়েছিল।

ফাটলটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত। এটি এখন ধীরে ধীরে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ভূতাত্ত্বিকরা লক্ষ্য করেছেন, এই জটিল টেকটোনিক প্রক্রিয়াটি এখন থেকে কয়েক মিলিয়ন বছর পরে সম্পূর্ণ নতুন জলের জন্য জায়গাা তৈরি করবে। টেকটোনিক স্থানান্তরটি সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার কারণ হচ্ছে, এটি দুটি সংযুক্ত স্থলভাগের মধ্যে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর উভয়কে সৃষ্টি করেছে।

বিজ্ঞানীরা আরও আবিষ্কার করেছে, ফাটলটি পূর্ব আফ্রিকান রিফট নামে পরিচিত, বর্তমানে ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে ২০০৫ সালে প্রথম প্রদর্শিত হওয়ার পর এই ফাটল এ পর্যন্ত ৩৫ মাইল দীর্ঘ হয়েছে। ফাটলটি আফ্রিকান, আরব এবং সোমালি টেকটোনিক প্লেটের সীমানার সীমানায় অবস্থান করছে এবং বিগত ৩০ মিলিয়ন বছর ধরে আরব প্লেট ধীরে ধীরে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। উপরন্তু, সোমালি প্লেটটি পূর্ব আফ্রিকান রিফ্ট ভ্যালির মধ্য দিয়ে আফ্রিকান প্লেট থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে। 

লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ছাত্র ক্রিস্টোফার মুর পৃথিবীতে এটিই একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি অধ্যয়ন করতে পারেন কিভাবে মহাদেশীয় ফাটল একটি মহাসাগরীয় ফাটল হয়ে উঠছে। মুর পূর্ব আফ্রিকান অঞ্চলে আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ নিরীক্ষণের জন্য উপগ্রহ রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। তখন তিনি দেখতে পান একটি মহাদেশ ধীরে ধীরে বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে।

জিপিএস যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষকরা এই ভূমির গতিবিধির সুনির্দিষ্ট পরিমাপ করতেও সক্ষম হয়েছেন। সামুদ্রিক ভূ-পদার্থবিদ এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেরিটাস অধ্যাপক কেন ম্যাকডোনাল্ড বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, জিপিএস পরিমাপের সাহায্যে, আপনি প্রতি বছর কয়েক মিলিমিটারে চলাচলের হার পরিমাপ করতে পারেন। তিনি যোগ করেছেন: আমরা জিপিএস থেকে আরও বেশি পরিমাপ পাই, আমরা কী ঘটছে তার অনেক বেশি ধারণা পেতে পারি।

ম্যাকডোনাল্ড নিশ্চিত করেছেন, আফার অঞ্চলে এবং পূর্ব আফ্রিকান রিফ্ট উপত্যকায় এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগর প্লাবিত হবে এবং একটি নতুন মহাসাগরে পরিণত হবে সেই সঙ্গে পূর্ব আফ্রিকার সেই অংশটি তার নিজস্ব পৃথক ছোট মহাদেশে পরিণত হবে

ভূ-পদার্থবিদরা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তিনটি টেকটোনিক প্লেট বিভিন্ন গতিতে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, কিন্তু আরবীয় প্লেট প্রতি বছর প্রায় এক ইঞ্চি হারে আফ্রিকা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আফ্রিকান এবং সোমালি প্লেট উভয়ই প্রতি বছর আধা ইঞ্চি থেকে ০.২ ইঞ্চি পর্যন্ত আরও ধীর গতিতে ভেঙে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক কেন ম্যাকডোনাল্ড জোর দিয়ে বলেন, শুধু আমি নই, আমাদের মধ্যে আরও অনেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত। পৃথিবী একটি সর্বদা পরিবর্তনশীল গ্রহ, এবং এটি আমাদের অনেকের জন্য একটি ভীতিকর সম্ভাবনা হতে পারে। আমরা একশ বছরে আমাদের মহান নাতি-নাতনিদের সম্পর্কে ভাবছি কিনা বা এটি কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করতে পারে, আমাদের গ্রহের সঙ্গে কী ঘটছে তা জানা বরং গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, একটি মহাদেশ যা নিরন্তর পরিবর্তনশীল গ্রহ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তা হল আফ্রিকা। ২০১৮ সালে কেনিয়াতে হঠাৎ বড় ফাটল দেখা দেওয়ার পর, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ফাটলটি মিডিয়ার অনেক বেশি মনোযোগ পেয়েছে। এটি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে এবং একটি স্থানীয় মহাসড়কের প্রধান অংশ ধসে পড়েছে।

যদিও প্রাথমিক বিশ্বাস করা হয়েছিল, এটি পূর্ব আফ্রিকান ফাটলের সঙ্গে যুক্ত এবং এটির যে বৈশিষ্ট দেখা যাচ্ছে, তা সম্ভবত মাটি ক্ষয়ের কারণে হয়েছে। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ার ভূত্বক এবং ম্যান্টলের উপরের অংশ দ্বারা গঠিত। এটি টেকটোনিক প্লেটের একাধিক সংখ্যায় বিভক্ত। এই প্লেটগুলো স্টেশনারী নয়, এবং তাদের চারপাশে চলাফেরার কারণে সৃষ্ট আন্দোলনের কারণেও এটি ফেটে যেতে পারে।

পূর্ব আফ্রিকান রিফ্টে যা ঘটছে তা একটি ফাটল গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং একটি নতুন প্লেট সীমানা  তৈরি করতে পারে। ফাটলটির ৩,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দক্ষিণে এলাকাটি একটি সীমিত আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। কিন্তু আপনি যদি আফার অঞ্চলের দিকে যান, তাহলে দেখা যাবে পুরো ফাটল উপত্যকার মেঝে আগ্নেয়গিরির শিলা দ্বারা আবৃত। এর অর্থ হল লিথোস্ফিয়ার প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর্যায়ে পাতলা হযে গেছে।

কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে ফাটলটির পুরো দৈর্ঘ্য সমুদ্রতল পর্যন্ত চলে যাবে এবং একটি নতুন মহাসাগর সৃষ্টি করবে, যা দৃশ্যত ইতোমধ্যে ঘটতে শুরু করেছে। তারপরে মহাসাগর প্লাবিত হবে, আফ্রিকা মহাদেশকে ছোট করে রেখে ভারত মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়ার কিছু অংশ মিলে তৈরি করবে একটি বড় দ্বীপ।


আরও খবর



সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান ‍তিনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে পাঁচটি উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে বলে জানান সিইসি।


আরও খবর



আবার আটকে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি কোম্পানি ইতাল-থাইয়ের শেয়ার চীনের সাইনোহাইড্রো করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আবার আটকে যাওয়ায় সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পে নির্মাণকাজে ফের বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো।

গত সোমবার সাইনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন হাইকোর্ট। কিন্তু বাদী পক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের ওই আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ দিন আদালতে ইতালিয়ান-থাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। আর সাইনোহাইড্রোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ইতাল-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তাদের শেয়ার সাইনোহাইড্রোর কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতে হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ থেমে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মগবাজার অংশে। চলতি বছরেই অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তিন কোম্পানির এ দ্বন্দ্ব অবশ্য শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ২০১১ সালে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পায় থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইতাল-থাই। তবে অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় আট বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে চীনের দুই কোম্পানি শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সাইনোহাইড্রোকে যুক্ত করে শুরু হয় কাজ। এ কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের শেয়ার দাবি করে সাইনোহাইড্রো। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শুরু হয় আরবিট্রেশন। এদিকে বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যায় ইতাল-থাই। এরই মধ্যে প্রকল্পে ঋণ সহায়তা স্থগিত করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক। তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলা দ্বন্দ্বে থমকে যায় রাজধানীর যানজট নিরসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ। শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা নিয়েও।

বিওওটি ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে নির্মাণ চুক্তি হয়। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অংশ উদ্বোধন করা হয়। পরদিন এই অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেট-সংলগ্ন র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক দলের উদ্যোগে দুপুর সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে।

৫টি ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে, নানা রঙ্গের পোশাক পরে তারা সমাবেশে অংশ নিয়েছে। মাথায় লাল ক্যাপ পরিধান করেছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন জাতীয়, শ্রমিক ও অঙ্গ সংগঠন নেতারা। সভাপতিত্ব করছেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে এক পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুশাবের কাছে ট্রাক খাদে পড়ে নয় শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) মর্মান্তিক এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্রাকে যারা ছিলেন তারা সবাই মূলত শ্রমিক। কাজের উদ্দেশে তারা খুশাবে যাচ্ছিলেন।

২৩ জন যাত্রী নিয়ে ট্রাকটি খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। আর খুশাবের দিকে যাচ্ছিল। খুশাব শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সুন ভ্যালির শহরতলী দরবার পাঞ্জ পীর মানাওয়ান সড়কের কাছে এসে ট্রাকটি উল্টে যায়।

ডিসট্রিক্ট রেসকিউ অফিসার হাফিজ আব্দুল রাশেদ ধারণা করছেন, ব্রেক ফেইল হয়ে যাওয়ায় ট্রাকটি চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাশেদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুশাবের রেসকিউ কন্ট্রোল রুম একটি জরুরি ফোন পায়। তারপর উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।

একই পরিবারের ১৪ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আহতদের খুশাবের নওশেহরা তেহসিলের টিএইচকিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর সাতজনকে ডিএইচকিউ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ এ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বেলুচিস্তানের হাব জেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।


আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর