কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে
শরিয়তপুরে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের আদাশন
গ্রামে কৃষকের ধান কেটে দেন। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাবির মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক
সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ সজীব।
কৃষক বলেন, আমার পাকা ধান কাটতে শ্রমিকের
মজুরি লাগতো। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে দিয়েছে বিনামূল্যে। এতে আমার অনেক
উপকার হয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল বোরো মৌসুমে কৃষকের
ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ, তরুণ প্রজন্ম এবং ছাত্র ও যুব সমাজের
প্রতি আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ
ওয়ালী আসিফ ইনান।
ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে গাজীপুর জেলা ও মহানগর
ছাত্রলীগ, বগুড়া, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, শেরপুর, শরীয়তপুর, নরসিংদী, সিলেট, রাজশাহী,
রাজশাহী, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট ধান কাটায় অংশ নিয়েছে বলে জানা
গেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ও আমাদের
আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশে কৃষকের ধান কাটা সহায়তা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে।
আমাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর সারাদেশে কৃষকের ২০০ একর জমির ধান কাটতে নেতাকর্মীরা সহযোগিতা
করেছে। যতদিন পর্যন্ত ধান কাটার মৌসুম চলবে, ততদিনে পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত
থাকবে।
সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা দুর্যোগে দুর্বিপাকে শুধু নয় কৃষকের উন্নয়নে কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে স্মার্ট এগ্রিকালচারের সন্নিবেশের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। কৃষকের বিশ্বস্ততম বন্ধু শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বোরো মৌসুমে ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি। আমরা তরুণদের কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষি অর্থনীতিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে তরুণেরাই সমৃদ্ধ-কৃষকবান্ধব স্মার্ট-জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়বে।