আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির হাল কোন দিকে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ভাষায় দেশটি দেউলিয়া। গেল বছরের মে মাসে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপদেশটি সার্বভৌম ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়ে পড়ে। এক গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়ে যায়। পরে দেশটি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে থেকে ২৯৯ কোটি ডলারের ঋণ পায়। কিন্তু এ অর্থ এখনো ছাড় হয়নি।

কারণ, দেশটির অন্যতম দুই ঋণদাতা চীন ও ভারতের কাছ থেকে দ্বিপক্ষীয় ঋণ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আইএমএফ ঋণ ছাড় করবে না। তবে এতে কোনো অগ্রগতি নেই। তাই দেশটির মানুষের কষ্টও লাঘব হচ্ছে না।

আগামী কিছুদিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কা আর্থিক সহায়তার অর্থ পেলেও দেশটির অর্থনীতির পুনর্গঠনের কাজ যে দ্রুত সম্ভব হবে, তাও বলা যাচ্ছে না। বরং এটা একটা শুরুমাত্র। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির মডেলের একটা মৌলিক পরিবর্তন দরকার বলে মনে করা হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল টাইগারদের সঙ্গে ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধের পর ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক দিক থেকে একধরনের শান্তির লভ্যাংশ পায়।

সেই সময় দেশটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। শুধু চীন নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও ঋণ দিতে আগ্রহী হয়। অর্থনীতির এই প্রবাহ দেশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে। তবে এর ফলে নানা ধরনের ভারসাম্যহীনতাও সৃষ্টি হয়। দেশটির রপ্তানি ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে ছয় শ ডলার কোটি থেকে বেড়ে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। ওই সময় দেশটির অর্থনীতিতে রপ্তানির অবদান ২৩ শতাংশ থেকে লাফিয়ে ৩৯ শতাংশে গিয়ে ঠেকে।

২০২০ সালে করোনা অতিমারি আঘাত হানার আগপর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি ছিল। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এতটা জোরে ধাক্কা খাওয়ার একটি বড় কারণ এই ভারসাম্যহীনতা। এ সময় খাদ্য ও জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেয়। অর্থনীতির এই নাজুক অবস্থায় দেশটির রাজনীতি চরম সংকটে পড়ে। ব্যাপক জনবিক্ষোভ সামাল দিতে না পেরে গত বছরের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালান। ক্ষমতায় আসেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তাঁর কাছে এটি পরিষ্কার ছিল, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির উত্তরণ ঘটাতে হলে সংকটের উৎসে যে ভারসাম্যহীনতা, তা কমাতে হবে। মূল কথা, রপ্তানি বাড়াতে হবে।

গত বছর শ্রীলঙ্কার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমাদের বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানিমুখী অর্থনীতির দিকে যেতে হবে। এ ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশ এটি। আমাদের দেশের বাইরের বাজার দেখতে হবে। এখন শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির বড় প্রশ্ন হলো, আদৌ কি শ্রীলঙ্কায় প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়েছে? দেশটি কি উন্নতির দিকে সত্যিই যাচ্ছে?

শ্রীলঙ্কার রপ্তানির প্রথাগতভাবে কৃষিপণ্যকেন্দ্রিক। ষোড়শ শতকে শ্রীলঙ্কার দারুচিনি ইউরোপীয় অনেক ঔপনিবেশিক শক্তিকে আকর্ষণ করেছিল। এখন দেশটির সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য হলো চা। তবে বাইরের দেশ থেকে রাসায়নিক সার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে এ খাতে ২০২১ সালে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। উৎপাদন কমে যায় এক-পঞ্চমাংশ। ভবিষ্যতে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে নীতিনির্ধারকদের। দুই শতাব্দী পুরোনো চাশিল্পে এখনো পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ চলে। হাত দিয়েই চাপাতা তোলার রীতি চালু আছে।

শ্রীলঙ্কার চাশিল্পের শীর্ষে থাকা নুয়ারু এলিয়া এলাকার পেড্রো চাবাগানের প্রধান রোশন রাজাদুরাই বলেন, প্রথাগত রীতির বাইরে তিনি নতুন ধারা আনতে চান চাশিল্পে। কিন্তু শ্রমিকেরা এ ধারায় বাধার সৃষ্টি করছে। চায়ের বাইরে শ্রীলঙ্কার রপ্তানি পণ্যের মধ্যে আছে পোশাকশিল্প। কিন্তু এ শিল্পের কাঁচামাল ও জ্বালানির জন্য দেশটিকে পুরোপুরি বাইরের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এসব সামগ্রীর দাম কমলেও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির গতি আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাহলে শ্রীলঙ্কা এখন কি রপ্তানি করতে পারে? মালয়েশিয়া বা ভিয়েতনামের মতো ইলেকট্রনিক সামগ্রীর উৎপাদন শ্রীলঙ্কায় হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে প্রাণের সঞ্চার করতে পারে বন্দরগুলো। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান এসব বন্দরের ব্যবহার আরও বাড়ানোর উপযোগী।

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে বলেন, ভারত মহাসাগরে যেখানে শ্রীলঙ্কার অবস্থান, সেখানে অন্য দেশের পণ্য পরিবহনের একটি কেন্দ্র হতে পারে দেশটি। এখানে বন্দর ও আনুষঙ্গিক সুবিধা আছে। এভাবে রপ্তানির গতিও বাড়তে পারে। ধারণা করা হয়, ভারত মহাসাগর দিয়ে বিশ্বের খোলা পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ পরিবহন হয়। কিন্তু জাতীয় পরিকল্পনার অভাবে এর সুযোগ নিতে পারছে না দেশটি। গত বছর অর্থনৈতিক সংকটের সময় মার্কিন ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার মূল্যমান অর্ধেকে নেমে যায়। এতে রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল। দেশটির আরেকটি সংস্কারের দিক তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। সেটা হলো আমদানি শুল্ক কমানো। বেশি শুল্কের কারণে আমদানি পণ্যের দাম অনেক বেশি হয়ে যায়। ভোক্তা পণ্যে আমদানি শুল্ক আরোপের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা বিশ্বের সবচেয়ে রক্ষণশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত।

রপ্তানির ক্ষেত্রে এসব বাধা দূর করার উদ্যোগ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। দেশের শিল্পকে আরও দক্ষ করতে পারে, সেই সঙ্গে বাড়তে পারে রপ্তানিও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সরকার বদলের পরও রনিল বিক্রমাসিংহে বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করার মতো রাজনৈতিক সমর্থন পাবেন কি না। তবে আশার দিক হলো, গত বছরের ভয়াবহ পরিস্থিতির পর সংস্কারের ভাবনা এখন জোরোশোরেই ভাবা হচ্ছে।


আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর



হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ সৌদির

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলিম নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। এ সময় হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। পাশাপাশি অনেকেই খণ্ডকালীন কাজেও নিযুক্ত হন দেশটিতে। কিন্তু এ বছর আর সেই সুযোগ থাকছে না।

সম্প্রতি হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের ভিসায় জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন হজযাত্রীরা।

সৌদির এই মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৪ সালের হজ ভিসা কেবল হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি হিসাবে কাজ করবে। সৌদি আরবে কোনও কাজে নিযুক্ত হওয়া, বসবাস কিংবা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়।

নতুন বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারীরা ভবিষ্যতে সৌদিতে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি পাবেন না বলেও সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি। এমনিক হজ ভিসার শর্ত অমান্যকারীদের সৌদি থেকে প্রত্যাবাসনও করা হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর হজযাত্রীরা ছাড়া অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের মধ্যে যারা হজ করতে চান তাদের অবশ্যই হজের ভিসা নিতে হবে।

নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী, সৌদি আরবের সরকারের ইস্যু করা হজের ভিসা কেবল হজ মৌসুমের জন্য বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসাধারীদের ওমরাহ পালন অথবা যেকোন ধরনের বৈতনিক বা অবৈতনিক কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদনকারীরা আগামী ৭ জিলহজের মধ্যে অথবা হজযাত্রী কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর



অপহৃত দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার সেই দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।

এর আগে সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দুই প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠায় গত রোববার তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ দেলোয়ার হোসেনকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

লুৎফুল হাবিব রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সিংড়ার সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে তার ভাইসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে একই এলাকা থেকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছু পরে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রার্থী দেলোয়ারকে গ্রামের বাড়ির (সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে যায় মাইক্রোবাসটি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই দিন রাতে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন।

অপহরণের ওই ঘটনায় লুৎফুল হাবীবকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর



লক্ষীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



হজ প্যাকেজের খরচ কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব কথা বলেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হজের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজযাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর