আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সোনাইমুড়ি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ফিরিয়ে দিল ছাত্ররা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট করা সাতটি অস্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে ছাত্ররা। বিক্ষুদ্ধ জনতা এই অস্ত্রগুলো কেড়ে নিয়েছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে শটগান, থ্রি নট থ্রি রাইফেল, পিস্তল ও দোনালা বন্দুক।

আজ বুধবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে সোনাইমুড়ী থানা প্রাঙ্গণে সেনবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. ইফতেখারের কাছে এই অস্ত্রগুলো জমা দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে ছাত্ররা।

স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে আন্দোলন সমর্থনকারীদের সঙ্গে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ৩ পুলিশসহ ৬ জন নিহত হয়। ওই সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা সোনাইমুড়ী থানা থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়।

সেনবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. ইফতেখার জানান, ছাত্ররা অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে জমা দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে গত দুদিন ধরে নোয়াখালী জেলার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে ইউএনডিপি এবং ফরাসি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলারের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল, রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবেশগত এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মূল আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপি-এর মধ্যে টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় (ECA) বাস্তুতন্ত্র ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, হাওর অঞ্চলে স্থানীয়  ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই শক্তি, কম-কার্বন নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল জীবনধারা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ হ্রাস করা।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ধারাবাহিক অংশীদারিত্ব এবং নতুন উদ্ভাবনী সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে নতুন সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান এবং চলমান উদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ লিলার বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে ইউএনডিপি-এর প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে, ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের নেতৃত্বে একটি ফরাসি প্রতিনিধি দল পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বন সংরক্ষণ, আন্তঃসীমান্ত বায়ু দূষণ, নদী দূষণ, বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ, শিল্প দূষণ, পার্বত্য এলাকার সংরক্ষণ এবং সুন্দরবন, শাল বন এবং চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম (CHT) রক্ষা। বৈঠকে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞার জরুরি প্রয়োগ, জলবায়ু কর্ম সহযোগিতা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (NAP) বাস্তবায়ন, উপকূলীয় বনায়ন এবং অভিযোজন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকের পরে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।


আরও খবর



বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

রিজভী জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় ঢাকাসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) সমাধিতে দলের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

তিনি জানান, এদিন বাদ জোহর দলীয় কার্যালয়ের সামনে বন্যায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা, বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফলি অনুষ্ঠিত হবে।

একইভাবে সারা দেশে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হবে।


আরও খবর



সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৮টি জেলায় ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বেড়েছে সোনার চাহিদা। যার কারণে এক দিনের ব্যবধানে দেশের দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা। সোনার এই দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২০ হাজার ২৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৫ হাজার ২৪১ টাকায় বিক্রি করা হবে।

এক লাখ ২৪ হাজার ৫০২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ এক হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৪ হাজার ২১৪ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়নো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

২০ আগস্ট সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৩ হাজার ১৯৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এক লাখ ২৪ হাজার ৫০২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ এক হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৪ হাজার ২১৪ টাকায় বিক্রি করা হবে।


আরও খবর



বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের নামে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এই মামলার আবেদন করেন।

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহা-পরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু ও ২০১০ সালের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার এবং চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম।

বাদীর আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢামেকে চিকিৎসককে মারধর, ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীকে। এ ছাড়া মামলায় আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন (৫৩) বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এজাহার করেছেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন বিইউবিটির শিক্ষক শাহরিয়ার অর্ণব, শিক্ষার্থী পলজয়, সহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢামেকের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ডা. কানিজ ফাতেমা ইসরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাতনামা একজন সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়ে ভর্তি হয়। পরদিন শনিবার সকাল ৭টায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার বিকাল ৪টায় হঠাৎ নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০১ নম্বর ওয়ার্ডের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারের চিকিৎসক আল মাশরাফিকে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে মারতে তার গায়ের অ্যাপ্রোন খুলে ফ্লোরে ছুড়ে ফেলা হয় এবং হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তাকে মারধর করতে থাকেন।

বাদী আরও অভিযোগ করেন, সেই সময় চিকিৎসক মো. ইমরান হোসেনসহ আমি এগিয়ে যাই এবং চিকিৎসক ইমরান হোসেন স্যারকে কেন মারধর করা হচ্ছে, জানতে চাইলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে একজন বলে ওঠে, এই সেই ডাক্তার, যে গতকাল ডিউটিতে ছিল। তখন তারা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ডা. ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করে এবং টেনেহিচঁড়ে মারতে মারতে গায়ের পোশাক ছিঁড়ে হাসপাতালের পরিচালক স্যারের অফিস রুমে নিয়ে যান। পরে সেখানে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মারধর ও জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকেই জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান তারা।

পরে রবিবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকে তারা সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপদেষ্টা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪